
চট্রগ্রাম ব্যুরো ## চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে লালখান বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তিনটি পক্ষ। আওয়ামী সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল এবং মনোনয়ন বঞ্চিত দিদারুল আলম মাসুমের সমর্থকদের সঙ্গে অন্য একটি পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা।
বুধবার সকাল নয়টার দিকে লালখান বাজার শহীদ নগর সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তিন পক্ষের মধ্যে চলা দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দুই কাউন্সিলর প্রার্থী। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, সকাল আটটার পর ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সির প্রার্থী আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল ও তার সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী ফজল কবীর আহম্মেদ ওরফে এফ কবীরের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষ আবুল হাসনাতের বিরুদ্ধে এফ কবীরের সঙ্গে যোগ দেয় লালখান বাজার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীদারুল আলম মাসুম ও তার ছেলেরা। এ সময় তিন পক্ষের লোকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপে উভয় দলের কমপক্ষে ২১ জন আহত হন।
চট্টগ্রাম উত্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার বসাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের শান্ত করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বলেন, এফ কবীরের সঙ্গে দীদারুল আলম ও তার ছেলেরা মিলে আমার ও সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে। তারা আমার ভোটারদের সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদানে বাধা দিয়েছে এবং এজেন্টদের মারধর করেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এফ কবীর বলেন, আবুল হাসনাতের লোকেরাই তার ওপর হামলা করে অনেক মানুষকে আহত করেছে।
খুলশি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান বলেন, ‘কেন্দ্রের বাইরে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা হয়েছিল। পুলিশ-বিজিবি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বর্তমান পরিবেশ শান্ত আছে।’
নিজস্ব সংবাদদাতা 







































