
সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ ## ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে বড় পুঁজি এনে দেয়ার পরে বল হাতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করে বাংলাদেশকে বড় লিড এনে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ২৫৯ রানে। বাংলাদেশের লিডের পরিমাণ ১৭১ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জার্মেইন ব্ল্যাকউড মিরাজের শিকার হলে চা বিরতিতে যায় দুই দল। চা বিরতির পরে ফিরেই তৃতীয় বলেই কেমার রোচকে শিকার করেন মিরাজ। নিজের পরের ওভারের প্রথম বলেই রাহকীম কর্নওয়ালকে বোল্ড করেন এই অফস্পিনার।
তাইজুল ইসলাম এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ২৫৯ রানে। বাংলাদেশ পেয়ে মিরাজ শিকার করেছেন মোট ৪টি উইকেট। তার আগে ব্যাট হাতে করেছিলেন ১০৩ রান।
তার আগে দ্বিতীয় সেশনে তারা দুইজন দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়ে এই দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান এগিয়ে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। চা বিরতির ঠিক আগে জসুয়াকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন নাঈম।
উইকেটরক্ষক লিটন দাসের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন জসুয়া। তার আগে ব্ল্যাকউডের সাথে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। জসুয়ার ব্যাট থেকে আসে ১৪১ বলে ৪২ রান। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফেরার পরে উইকেটে এসেছেন রাহকীম কর্নওয়াল।
আরেক প্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে লড়াই করেন ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান ব্ল্যাকউড। অর্ধশতক হাঁকান তিনি। জসুয়া ফেরার পরের ওভারেই মিরাজের বলে আবার লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৫ বলে ৮৬ রান।
তৃতীয় দিনের প্রথম বলেই এনক্রুমাহ বনারকে শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দী হয়ে ফেরেন তিনি। ওই ওভারেই কাইল মেয়ার্সের ক্যাচ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। মেয়ার্স ও কাইল ব্রাথওয়েট সকালে বেশ দ্রুত রান তুলতে থাকেন।
অল্প সময়ের মধ্যেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলো মেয়ার্স ও ব্রাথওয়েটের মধ্যকার জুটি। ৬৮ বলে ৫৫ রানের এই জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। দুর্দান্ত টার্ন করা এক ডেলিভারিতে ব্রাথওয়েটকে বোল্ড করেন এই ডানহাতি স্পিনার। ১১১ বলে ৭৬ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। তার ইনিংসটিতে ছিলো ১২টি চার।
তাইজুল-নাঈমদের ওপর ছুরি ঘুরিয়ে মাঠের চারদিকে বাউন্ডারি তুলে নিচ্ছিলেন মেয়ার্স। ব্রাথওয়েটের বিদায়ের পরে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের সাথে জুটি গড়েন তিনি। তৃতীয় দিনে নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেই মেয়ার্সকে শিকার করেন মিরাজ। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফেরেন ৪০ রান করে। তার ৬৫ বলের ইনিংসটি ছিলো ৭টি চারে সাজানো। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেট হারিয়েছিলো ১৫৪ রানে। সংক্ষিপ্ত স্কোর:-বাংলাদেশ ১৭১ রানে এগিয়ে।
নিজস্ব সংবাদদাতা 








































