মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলারোয়ায় মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সংলাপ

আতাউর রহমান, সাতক্ষীরা ব্যুরো ## কলারোয়ায় অগ্রগতি সংস্থার আয়োজনে মঙ্গলবার  বেলা ১১টায় কয়লা  ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে আশ্বাস প্রকল্পের ইউনিয়ন মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির (সিটিসি) সাথে এক সংলাপ সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা  আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে  সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি)এর অর্থায়নে এবং উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় উন্নয়ন সংগঠন অগ্রগতি সংস্থা এই সংলাপের আয়োজন করে।

সিডাব্লিউসিএস এর  কাউন্সিলার তামান্না আঞ্জুমান সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  বিট অফিসার কলারোয়া থানার এস আই ইস্রাফিল হোসেন,এ এস আই আছাবুর রহমান, মাহমুদুল হাসান (সোসাল মবিলাইজার), (সিডাব্লিউসিএস), আসাদুজ্জামান রিপন, কলারোয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম লিটন,ইউনিয়ন সচিব আজমীর আহম্মেদ ,  আনিছুর রহমান,জাহিদ হাসান, শাবনুর খাতুন, রাবেয়া খাতুন প্রমুখ।
সংলাপে বক্তারা বলেন, সভ্যতা বিবর্জিত জঘন্য অপকর্ম ‘মানব পাচার’ একটি সামাজিক ব্যাধি। কোনো ব্যক্তিকে তার দেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে বিক্রি বা পাচারের উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখা, আশ্রয় দেয়া, অন্য কোনভাবে সহায়তা করা হলে মানবপাচার হিসাবে গণ্য হয়। আমাদের দেশে পশ্চাৎপদ এলাকার কিছু মানুষের ধারণা, কোনো রকমে একবার বিদেশে পাড়ি জমাতে পারলেই ভাগ্য বদলে যাবে। এ ধরনের অজ্ঞ মানুষগুলো বিশেষভাবে প্রতারণার শিকার হন। কোনভাবেই আমরা যেন এসব মানব পাচারকারীদের কবলে না পড়ি সে দিকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে।
সংলাপে আরো বলা হয়, সমাজের এ অবক্ষয় প্রতিরোধে বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রের পরিচয় জানা এবং মেয়ের অভিভাবকের ছেলের পারিবারিক অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া প্রয়োজন। পাচারের পরিণতি সম্পর্কে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং পরিবারের সবাইকে সচেতন করা দায়িত্ব । কাজের লোক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে ছবি তুলে রাখা এবং প্রাক-পরিচয় যাচাই করে নেয়া আবশ্যক। বাড়ির শিশুকে নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর মুখস্থ করানো, অপরিচিত লোকের দেয়া কোনো খাবার বা জিনিস যাতে গ্রহণ না করে সে বিষয়ে পরিবার থেকেই শিশুকে সচেতন করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে এ বিষয়ে তথ্যকেন্দ্র পরিচালনা করা প্রয়োজন, যাতে পাচার, শোষণ, অবহেলা, নির্যাতন বা অন্য যে কোনো নেতিবাচক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে  সমাজ ব্যবস্থার অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব । পাশাপাশি মানব পাচার রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

ট্রানজিশনাল প্রসেসকে বাধাগ্রস্ত করতে ভয়ংকরভাবে চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল

কলারোয়ায় মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সংলাপ

প্রকাশের সময় : ১২:৫৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আতাউর রহমান, সাতক্ষীরা ব্যুরো ## কলারোয়ায় অগ্রগতি সংস্থার আয়োজনে মঙ্গলবার  বেলা ১১টায় কয়লা  ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে আশ্বাস প্রকল্পের ইউনিয়ন মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির (সিটিসি) সাথে এক সংলাপ সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা  আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে  সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি)এর অর্থায়নে এবং উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় উন্নয়ন সংগঠন অগ্রগতি সংস্থা এই সংলাপের আয়োজন করে।

সিডাব্লিউসিএস এর  কাউন্সিলার তামান্না আঞ্জুমান সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  বিট অফিসার কলারোয়া থানার এস আই ইস্রাফিল হোসেন,এ এস আই আছাবুর রহমান, মাহমুদুল হাসান (সোসাল মবিলাইজার), (সিডাব্লিউসিএস), আসাদুজ্জামান রিপন, কলারোয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম লিটন,ইউনিয়ন সচিব আজমীর আহম্মেদ ,  আনিছুর রহমান,জাহিদ হাসান, শাবনুর খাতুন, রাবেয়া খাতুন প্রমুখ।
সংলাপে বক্তারা বলেন, সভ্যতা বিবর্জিত জঘন্য অপকর্ম ‘মানব পাচার’ একটি সামাজিক ব্যাধি। কোনো ব্যক্তিকে তার দেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে বিক্রি বা পাচারের উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখা, আশ্রয় দেয়া, অন্য কোনভাবে সহায়তা করা হলে মানবপাচার হিসাবে গণ্য হয়। আমাদের দেশে পশ্চাৎপদ এলাকার কিছু মানুষের ধারণা, কোনো রকমে একবার বিদেশে পাড়ি জমাতে পারলেই ভাগ্য বদলে যাবে। এ ধরনের অজ্ঞ মানুষগুলো বিশেষভাবে প্রতারণার শিকার হন। কোনভাবেই আমরা যেন এসব মানব পাচারকারীদের কবলে না পড়ি সে দিকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে।
সংলাপে আরো বলা হয়, সমাজের এ অবক্ষয় প্রতিরোধে বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রের পরিচয় জানা এবং মেয়ের অভিভাবকের ছেলের পারিবারিক অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া প্রয়োজন। পাচারের পরিণতি সম্পর্কে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং পরিবারের সবাইকে সচেতন করা দায়িত্ব । কাজের লোক নিয়োগ করার ক্ষেত্রে ছবি তুলে রাখা এবং প্রাক-পরিচয় যাচাই করে নেয়া আবশ্যক। বাড়ির শিশুকে নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর মুখস্থ করানো, অপরিচিত লোকের দেয়া কোনো খাবার বা জিনিস যাতে গ্রহণ না করে সে বিষয়ে পরিবার থেকেই শিশুকে সচেতন করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে এ বিষয়ে তথ্যকেন্দ্র পরিচালনা করা প্রয়োজন, যাতে পাচার, শোষণ, অবহেলা, নির্যাতন বা অন্য যে কোনো নেতিবাচক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে  সমাজ ব্যবস্থার অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব । পাশাপাশি মানব পাচার রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।