মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলমান বিধিনিষেধ ৫ মে পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি

ইদ্রিস আলী ## করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে চলমান বিধিনিষেধ ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বুধবার (২৮ এপ্রিল) এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যদিও গত সোমবার মৌখিকভাবে বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।

তবে লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া আগের মতো জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ভারতের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এটা আমাদের দেশেও ছড়িয়ে যেতে পারে। সেজন্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে অবস্থাটা আছে সেটি আরও এক সপ্তাহ কন্টিনিউ করা। না হলে এটা আরও ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করতে পারে। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেজন্য বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত বিধিনিষেধ দেয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এরইমধ্যে ১৮ এপ্রিল রাতে এক বৈঠকে চলমান বিধিনিষেধ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেই বিধি নিষেধ আরও এক সপ্তাহে বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল ও দোকান খোলা রাখার কথা বলা হলেও ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতার বালাই নেই। একইভাবে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি ও অটোরিকশার দাপটে সড়কে চলা দায়। আর এসব ক্ষেত্রেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিভিন্ন স্থানে গণহারে ভাড়ায় চলাচাল করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

জনপ্রিয়

১০ দলীয় সমঝোতায় সিরাজগঞ্জের তিন আসনে এনসিপির প্রার্থিতা প্রত্যাহার

চলমান বিধিনিষেধ ৫ মে পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশের সময় : ০১:৫২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
ইদ্রিস আলী ## করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে চলমান বিধিনিষেধ ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বুধবার (২৮ এপ্রিল) এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যদিও গত সোমবার মৌখিকভাবে বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।

তবে লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া আগের মতো জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ভারতের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এটা আমাদের দেশেও ছড়িয়ে যেতে পারে। সেজন্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে অবস্থাটা আছে সেটি আরও এক সপ্তাহ কন্টিনিউ করা। না হলে এটা আরও ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করতে পারে। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেজন্য বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত বিধিনিষেধ দেয়া হলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এরইমধ্যে ১৮ এপ্রিল রাতে এক বৈঠকে চলমান বিধিনিষেধ ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেই বিধি নিষেধ আরও এক সপ্তাহে বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল ও দোকান খোলা রাখার কথা বলা হলেও ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতার বালাই নেই। একইভাবে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি ও অটোরিকশার দাপটে সড়কে চলা দায়। আর এসব ক্ষেত্রেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিভিন্ন স্থানে গণহারে ভাড়ায় চলাচাল করছে।