মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছেলেকে বাঁচাতে বাবার আকুতি

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
মাত্র ৪ বছর বয়স থেকে এক দিনও পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ বাদ দেননি শিশু ফেরদৌস (৬)।অন্য শিশুদের চেয়ে সে একটু আলাদা সম্ভাবের। আযানের শব্দ শুনলেই ছুটে যা মসজিদে। গত বছরে হার্টে সমস্যা দেখা দেওয়া পর সে আর হাটতে পারেনা ফেরদৌসের। অসুস্থ্যর মাঝেও পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়েন নি। কখনও মায়ের কালে কখনও বা দাদীর কোলে চরে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। এর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হার্টের ছিদ্র ধরা পড়ে শিশুটির। তার এমন রোগে হতাশ হয়ে পড়েন দরিদ্র অটোরিকসা চালক বাবা ও তার মা।লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নিজ গড্ডিমারী গ্রামের অটোরিকসা চালক মঞ্জরুল ইসলাম ও ফেরদৗসী দম্পতির এক মাত্র সন্তান। ছোট এই শিশুর রোগ আক্রান্ত অবস্থা দেখে হতাশায় পড়ছেন দরিদ্র অটোরিকসা চালক বাবা ও মা। মাত্র ৬ বছর
বয়সের এই শিশুর অপারেশনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ৪ লাখ টাকা।
দারিদ্রতার কারণে তার অপারেশন করাতে পাচ্ছেন না পরিবার। জায়গা জমি বলতে বাড়ি ভিটে মাত্র ২ শত জমির উপর বাড়ি। অটোরিকশা চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে সংসার।শিশুটির অপারেশন জন্য লাগবে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। ছেলেকে বাঁচাতে পারবেন না-এমন চিন্তায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা মঞ্জরুল ইসলাম।  এর আগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক(কার্ডিওলজি) ডা: মো: হাসানুল ইসলাম এর মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে আবারও পরীক্ষা-নীরিক্ষায় পরামর্শ দেন।ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাঃ ইলিয়াস পাটোয়ারীকে দেখানোর পর পরীক্ষা-নীরিক্ষায় একটি হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে পাশাপাশি দুই ভেইন(রগ) চিকন হয়ে গেছে তাই দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন। টাকার অভাবে অপারেশন করতে না পেরে শিশু ফেরদৌসকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
অপারেশনসহ চিকিৎসা বাবদ খরচ হবে প্রায় ৪ লাখ টাকা। কিন্তু পরিবারের সেই টাকা জোগাড় করার মতো অবস্থা নেই। যা ছিল এতদিন চিকিৎসা করাতে শেষ হয়ে গেছে। কোনো উপায় না থাকায় একমাত্র ছেলে সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন মঞ্জরুল ইসলাম।শিশু ফেরদৌসের দাদী মোহসেনা বেওয়া জানান, আযান শুনলেই তাকে কোলে উঠে মসজিদে নিতে হবে তা না হলে কান্নাকাটি শুরু করেন দেন। তাই কোন উপায় না পেয়ে ফজর থেকে তাকে কোলে করে মসজিদে নিতে হয়। মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, একবছর ধরে ছেলে চিকিৎসা করতে সব শেষ করে ফেলেছি। এখন পরীক্ষা-নীরিক্ষায় একটি হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে অপারেশন করতে প্রায় ৪ লাখ টাকা প্রয়োজন এত টাকা আমি কই পাব। তাই সমাজের মানুষে কাছে হাতজোড় করছি আমার ছেলেকে বাঁচান।গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন,সে অত্যন্ত দরিদ্র অটোরিকসা চালক অনেক কষ্টে সংসার চলে। তার ছেলে অপারেশন করতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন তাই সকলেই কিছু করে অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন। তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে নগদ অর্থের ব্যবস্থা করব।
শিশু ফেরদৌসের অপারেশনের জন্য সহযোগিতা করতে….
(বিকাশ নম্বর) ০১৭৪২-১৬১০৩৬ , ০১৭৪৪-৮১২৩৭৪
শিশুটির বাবা মঞ্জরুল ইসলাম।
জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ সিজেডএমের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের কৈজুরি পাথালিয়াপাড়া এলাকায় সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে ৬০০ হতদরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈজুরি বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও কৈজুরি মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা মো. জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেডএমের জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্র, শাহজাদপুর উপজেলা শাখার প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. ইসমাইল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একাউন্টস অ্যান্ড অ্যাডমিন অফিসার হাফিজুর রহমান, ফিল্ড অফিসার মো. শহিদুল ইসলামসহ জীবিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। শীতবস্ত্র পেয়ে উপকারভোগী নারী ও পুরুষরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শীত মৌসুমে এ সহায়তাকে সময়োপযোগী ও মানবিক উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।

ছেলেকে বাঁচাতে বাবার আকুতি

প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
মাত্র ৪ বছর বয়স থেকে এক দিনও পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ বাদ দেননি শিশু ফেরদৌস (৬)।অন্য শিশুদের চেয়ে সে একটু আলাদা সম্ভাবের। আযানের শব্দ শুনলেই ছুটে যা মসজিদে। গত বছরে হার্টে সমস্যা দেখা দেওয়া পর সে আর হাটতে পারেনা ফেরদৌসের। অসুস্থ্যর মাঝেও পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়েন নি। কখনও মায়ের কালে কখনও বা দাদীর কোলে চরে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। এর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হার্টের ছিদ্র ধরা পড়ে শিশুটির। তার এমন রোগে হতাশ হয়ে পড়েন দরিদ্র অটোরিকসা চালক বাবা ও তার মা।লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নিজ গড্ডিমারী গ্রামের অটোরিকসা চালক মঞ্জরুল ইসলাম ও ফেরদৗসী দম্পতির এক মাত্র সন্তান। ছোট এই শিশুর রোগ আক্রান্ত অবস্থা দেখে হতাশায় পড়ছেন দরিদ্র অটোরিকসা চালক বাবা ও মা। মাত্র ৬ বছর
বয়সের এই শিশুর অপারেশনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ৪ লাখ টাকা।
দারিদ্রতার কারণে তার অপারেশন করাতে পাচ্ছেন না পরিবার। জায়গা জমি বলতে বাড়ি ভিটে মাত্র ২ শত জমির উপর বাড়ি। অটোরিকশা চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে সংসার।শিশুটির অপারেশন জন্য লাগবে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। ছেলেকে বাঁচাতে পারবেন না-এমন চিন্তায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা মঞ্জরুল ইসলাম।  এর আগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক(কার্ডিওলজি) ডা: মো: হাসানুল ইসলাম এর মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে আবারও পরীক্ষা-নীরিক্ষায় পরামর্শ দেন।ঢাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাঃ ইলিয়াস পাটোয়ারীকে দেখানোর পর পরীক্ষা-নীরিক্ষায় একটি হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে পাশাপাশি দুই ভেইন(রগ) চিকন হয়ে গেছে তাই দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন। টাকার অভাবে অপারেশন করতে না পেরে শিশু ফেরদৌসকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
অপারেশনসহ চিকিৎসা বাবদ খরচ হবে প্রায় ৪ লাখ টাকা। কিন্তু পরিবারের সেই টাকা জোগাড় করার মতো অবস্থা নেই। যা ছিল এতদিন চিকিৎসা করাতে শেষ হয়ে গেছে। কোনো উপায় না থাকায় একমাত্র ছেলে সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন মঞ্জরুল ইসলাম।শিশু ফেরদৌসের দাদী মোহসেনা বেওয়া জানান, আযান শুনলেই তাকে কোলে উঠে মসজিদে নিতে হবে তা না হলে কান্নাকাটি শুরু করেন দেন। তাই কোন উপায় না পেয়ে ফজর থেকে তাকে কোলে করে মসজিদে নিতে হয়। মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, একবছর ধরে ছেলে চিকিৎসা করতে সব শেষ করে ফেলেছি। এখন পরীক্ষা-নীরিক্ষায় একটি হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে অপারেশন করতে প্রায় ৪ লাখ টাকা প্রয়োজন এত টাকা আমি কই পাব। তাই সমাজের মানুষে কাছে হাতজোড় করছি আমার ছেলেকে বাঁচান।গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন,সে অত্যন্ত দরিদ্র অটোরিকসা চালক অনেক কষ্টে সংসার চলে। তার ছেলে অপারেশন করতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন তাই সকলেই কিছু করে অর্থ দিয়ে সাহায্য করুন। তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে নগদ অর্থের ব্যবস্থা করব।
শিশু ফেরদৌসের অপারেশনের জন্য সহযোগিতা করতে….
(বিকাশ নম্বর) ০১৭৪২-১৬১০৩৬ , ০১৭৪৪-৮১২৩৭৪
শিশুটির বাবা মঞ্জরুল ইসলাম।