শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেতু একজন সফল গুণী সাহসী নারী উদ্যোক্তা

বেনাপোল প্রতিনিধি ## উন্নত বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে একজন নারী শুধু গৃহীনি নয় , বরং নিজের সাহসী চেষ্টায় একজন সফল  উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন সাহিদা রহমান সেতু। বন্দরনগরী বেনাপোলে ছোট থেকে বেড়ে ওঠা এমনই গুণী, সাহসী, পরিশ্রমী ও সৃজনশীল ব্যক্তি উদ্যোক্তা সাহিদা রহমান সেতু ।

সেতু  বেনাপোলে গড়ে তুলেছেন রহমান চেম্বার নামে এক বিশাল ব্যবসায়ী বাজার। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, সহ সেক্টর কমান্ডার, প্রয়াত আলহাজ্ব মশিউর রহমাণের অনুপ্রেণায় বাবার আদর্শকে ধারণ করে এমন উদ্যোগ হাতে নেন সাহিদা রহমান সেতু। বাংলাদেশের সীমান্ত নগরীর দৃষ্টি নন্দন মেগা প্রকল্প এইটি বলা যায়।

ভারত এবং বাংলাদেশে দুই দেশের সকল সীমান্ত ব্যবসায়ী রহমান চেম্বারের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন । সেতু ৩৭ শতক পারিবারিক জমির ওপর গড়ে তুললেন বিংশ শতকের কমপ্যাটিবল স্ট্রাকচার।

কি নেই রহমান চেম্বারের, এখন হাত বাড়ালেই সব কিছুই পেয়ে যাবে সীমান্ত নগরী বেনপোল বাসী। একই ছাদের নিচে সকল ভালো মানের পন্য পাওয়া যাবে, একইসঙ্গে এখান থেকে সেবা নিয়ে প্রয়োজনীয় অভাব মিটাবে আগত ক্রেতারা খুব সহজেই।

সেখানে রয়েছে ২০০ টি শো-রুম, ব্যাংক হাউজ, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং আধুনিক হোটেল সুইট। সব থাকছে এক স্ট্রাকচারের মধ্যেই। গ্রাউন্ড এবং ফার্স্ট ফ্লোরে অত্যাধুনিক সব ব্র‍্যান্ড আউটলেটস এবং ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল প্রোডাক্টস। এ তো গেলো শপিং লাভারসদের কথা। ২ তলা এবং ৩য় তলায় রয়েছে ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, জিম এবং বিলিয়ার্ড জোন। ৪ তলা পুরোটাই অফিস স্পেস। ৯০০০ স্কয়ারফিট। ৫ তলায় বেনাপোল ইম্পেরিয়াল সুইট, ৩৭টি স্টেট অব আর্ট সুইট।

এদিকে, রহমান চেম্বারে গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ উদ্বোধন হয়েছে সিকদার ইন্সুরেন্স। একই ফ্লোরে রয়েছে আরও দুইটি ভিন্ন কোম্পানির ইন্সুরেন্স।   রহমান চেম্বারের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে সেতুস কফি হাউস, হীরা বিউটি পার্লার, তৃতীয় তলায় রয়েছে  সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ( এসবিএসি), ন্যাশনাল ব্যাংক এবং  ৭ তলায় পাবেন দ্যা  সান রুফ ।

তাছাড়া, আধুনিক রুচিকে এগিয়ে রাখতে পরিবর্তনের আর নতুনত্বের ছোঁয়া দিতে, ১৭ নভেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে আনুষ্ঠানিক ভাবে পথা চলা শুরু করলো জনপ্রিয় ইতালিয়ান ব্র্যান্ড ‘লোটো। পাবেন বারবিকিউ এন্ড পার্টি লাউঞ্জও।

তাছাড়া আরও রয়েছে অত্র এলাকার বিখ্যাত কাপড়ের শো রুম বায়তুল’স যেটি রহমান চেম্বারের দ্বিতীয় তলায় পাবেন। গ্রাউন্ড ফ্লোরের রয়েছে সেলুন, দেশী-বিদেশী মোবাইল ফনের শো রুম এবং ডিপার্টমেন্টাল স্টোর।

এদিকে আগামী ১৫ জানুয়ারী রহমান চেম্বারের  উদ্বোধন হতে যাচ্ছে হাজার উদ্যোক্তার হাজার পণ্য নিয়ে  ঐক্য স্টোর। এইটি তাদের তৃতীয় আউটলেট।

সাহসী এই উদ্যোক্তা বলেন, নিজের স্থানে কিছু একটা করা, এমন কিছু যা গতানুগতিক নয়। এমন কিছু যা প্রজন্মকে নিজের শেকড় চেনাবে, উদ্যোগ আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে এবং বিশ্বমানে নিজের প্রজন্মের জন্য করবে কাজ। সেবা দিবে নিজের দেশকে। নিজের দেশের মানুষকে।

সেতু আরও বলেন, ৪ ছেলেমেয়েকে নিয়ে এবং নতুন প্রজন্মের সন্তানদের জন্য আমার এই উদ্যোগ, আমি আমার বাবা-মার স্বপ্ন বাস্তবে করে দেখাতে চাই, এই মেগা স্ট্রাকচারকে দিয়ে আমার কর্ম দিয়ে, আমার এই সীমান্ত অঞ্চলকে সেবা দিয়ে যেতে চাই এমটাই প্রত্যাশা আর বাস্তবে বাস্তবায়ন করতে স্বপ্ন বুনছেন সেতু।

সেতু ইংরেজি সাহিত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। ৮০’র দশকে “গোধূলী লগ্ন” কবিতা লেখা সাহিত্যের ছাত্রী সেতু সূর্যাস্তকে ভীষণ ভালোবাসেন। ভালোবাসেন মানুষেকে ।প্রকৃতির নেশায়, প্রকৃতিকে আপন করে নিতে ভীষণ ভালোবাসেন প্রকৃতিপ্রেমী সাহিদা রহমান সেতু

 

জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলের শাড়ি পরে বড়দিন উদযাপন করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার

সেতু একজন সফল গুণী সাহসী নারী উদ্যোক্তা

প্রকাশের সময় : ০৭:২৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

বেনাপোল প্রতিনিধি ## উন্নত বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে একজন নারী শুধু গৃহীনি নয় , বরং নিজের সাহসী চেষ্টায় একজন সফল  উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন সাহিদা রহমান সেতু। বন্দরনগরী বেনাপোলে ছোট থেকে বেড়ে ওঠা এমনই গুণী, সাহসী, পরিশ্রমী ও সৃজনশীল ব্যক্তি উদ্যোক্তা সাহিদা রহমান সেতু ।

সেতু  বেনাপোলে গড়ে তুলেছেন রহমান চেম্বার নামে এক বিশাল ব্যবসায়ী বাজার। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা, সহ সেক্টর কমান্ডার, প্রয়াত আলহাজ্ব মশিউর রহমাণের অনুপ্রেণায় বাবার আদর্শকে ধারণ করে এমন উদ্যোগ হাতে নেন সাহিদা রহমান সেতু। বাংলাদেশের সীমান্ত নগরীর দৃষ্টি নন্দন মেগা প্রকল্প এইটি বলা যায়।

ভারত এবং বাংলাদেশে দুই দেশের সকল সীমান্ত ব্যবসায়ী রহমান চেম্বারের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন । সেতু ৩৭ শতক পারিবারিক জমির ওপর গড়ে তুললেন বিংশ শতকের কমপ্যাটিবল স্ট্রাকচার।

কি নেই রহমান চেম্বারের, এখন হাত বাড়ালেই সব কিছুই পেয়ে যাবে সীমান্ত নগরী বেনপোল বাসী। একই ছাদের নিচে সকল ভালো মানের পন্য পাওয়া যাবে, একইসঙ্গে এখান থেকে সেবা নিয়ে প্রয়োজনীয় অভাব মিটাবে আগত ক্রেতারা খুব সহজেই।

সেখানে রয়েছে ২০০ টি শো-রুম, ব্যাংক হাউজ, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এবং আধুনিক হোটেল সুইট। সব থাকছে এক স্ট্রাকচারের মধ্যেই। গ্রাউন্ড এবং ফার্স্ট ফ্লোরে অত্যাধুনিক সব ব্র‍্যান্ড আউটলেটস এবং ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল প্রোডাক্টস। এ তো গেলো শপিং লাভারসদের কথা। ২ তলা এবং ৩য় তলায় রয়েছে ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, জিম এবং বিলিয়ার্ড জোন। ৪ তলা পুরোটাই অফিস স্পেস। ৯০০০ স্কয়ারফিট। ৫ তলায় বেনাপোল ইম্পেরিয়াল সুইট, ৩৭টি স্টেট অব আর্ট সুইট।

এদিকে, রহমান চেম্বারে গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ উদ্বোধন হয়েছে সিকদার ইন্সুরেন্স। একই ফ্লোরে রয়েছে আরও দুইটি ভিন্ন কোম্পানির ইন্সুরেন্স।   রহমান চেম্বারের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে সেতুস কফি হাউস, হীরা বিউটি পার্লার, তৃতীয় তলায় রয়েছে  সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ( এসবিএসি), ন্যাশনাল ব্যাংক এবং  ৭ তলায় পাবেন দ্যা  সান রুফ ।

তাছাড়া, আধুনিক রুচিকে এগিয়ে রাখতে পরিবর্তনের আর নতুনত্বের ছোঁয়া দিতে, ১৭ নভেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে আনুষ্ঠানিক ভাবে পথা চলা শুরু করলো জনপ্রিয় ইতালিয়ান ব্র্যান্ড ‘লোটো। পাবেন বারবিকিউ এন্ড পার্টি লাউঞ্জও।

তাছাড়া আরও রয়েছে অত্র এলাকার বিখ্যাত কাপড়ের শো রুম বায়তুল’স যেটি রহমান চেম্বারের দ্বিতীয় তলায় পাবেন। গ্রাউন্ড ফ্লোরের রয়েছে সেলুন, দেশী-বিদেশী মোবাইল ফনের শো রুম এবং ডিপার্টমেন্টাল স্টোর।

এদিকে আগামী ১৫ জানুয়ারী রহমান চেম্বারের  উদ্বোধন হতে যাচ্ছে হাজার উদ্যোক্তার হাজার পণ্য নিয়ে  ঐক্য স্টোর। এইটি তাদের তৃতীয় আউটলেট।

সাহসী এই উদ্যোক্তা বলেন, নিজের স্থানে কিছু একটা করা, এমন কিছু যা গতানুগতিক নয়। এমন কিছু যা প্রজন্মকে নিজের শেকড় চেনাবে, উদ্যোগ আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে এবং বিশ্বমানে নিজের প্রজন্মের জন্য করবে কাজ। সেবা দিবে নিজের দেশকে। নিজের দেশের মানুষকে।

সেতু আরও বলেন, ৪ ছেলেমেয়েকে নিয়ে এবং নতুন প্রজন্মের সন্তানদের জন্য আমার এই উদ্যোগ, আমি আমার বাবা-মার স্বপ্ন বাস্তবে করে দেখাতে চাই, এই মেগা স্ট্রাকচারকে দিয়ে আমার কর্ম দিয়ে, আমার এই সীমান্ত অঞ্চলকে সেবা দিয়ে যেতে চাই এমটাই প্রত্যাশা আর বাস্তবে বাস্তবায়ন করতে স্বপ্ন বুনছেন সেতু।

সেতু ইংরেজি সাহিত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। ৮০’র দশকে “গোধূলী লগ্ন” কবিতা লেখা সাহিত্যের ছাত্রী সেতু সূর্যাস্তকে ভীষণ ভালোবাসেন। ভালোবাসেন মানুষেকে ।প্রকৃতির নেশায়, প্রকৃতিকে আপন করে নিতে ভীষণ ভালোবাসেন প্রকৃতিপ্রেমী সাহিদা রহমান সেতু