মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের দলনেতা নদীসহ ৭জন রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার ## আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক নদী আক্তার ওরফে ইতি ওরফে নুর জাহানসহ সাতজনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে সিএমএম আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- ওই চক্রের সদস্য তরিকুল ইসলাম, আল আমিন সোহেন, সাইফুল ইসলাম, বিনাস সিকদার, আমিরুল ইসলাম এবং পলক মন্ডল।

আজ আদালতে হাতিরঝিল থানার ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যশোরের শার্শা থেকে আল আমিন, সাইফুল, আমিরুলকে, বেনাপোল থেকে নদী আক্তার, পলক মন্ডল, তরিকুলকে এবং নড়াইল থেকে বিনাস সিকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলায় বলা হয়, আসামিরা পাচারের উদ্দেশে আনা মেয়েদের যশোর সীমান্তে একটি বাড়িতে রেখে সুযোগমতো ভারতে পাচার করতেন। পাচারকৃত প্রত্যেক মেয়ের জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্য এক হাজার টাকা করে নিতেন। পাচারকালে কোনো মেয়ে বিজিবির কাছে আটক হলে সেই ইউপি সদস্য তাকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতেন।

২০০৫ সালে সন্ত্রাসী রাজীব হোসেনের সঙ্গে নদীর বিয়ে হয়। ২০১৫ সালে রাজীব বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। এরপর থেকেই নদী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পাচারকৃত ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নদীর দশটির মতো নাম পাওয়া যায়। নদী ভারত, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ের নারী পাচার চক্রের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জে সরকারি চাল আটক–অভিযোগের মুখে ট্যাগ কর্মকর্তা

আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের দলনেতা নদীসহ ৭জন রিমান্ডে

প্রকাশের সময় : ১০:০৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ## আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক নদী আক্তার ওরফে ইতি ওরফে নুর জাহানসহ সাতজনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে সিএমএম আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- ওই চক্রের সদস্য তরিকুল ইসলাম, আল আমিন সোহেন, সাইফুল ইসলাম, বিনাস সিকদার, আমিরুল ইসলাম এবং পলক মন্ডল।

আজ আদালতে হাতিরঝিল থানার ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত প্রত্যেকের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যশোরের শার্শা থেকে আল আমিন, সাইফুল, আমিরুলকে, বেনাপোল থেকে নদী আক্তার, পলক মন্ডল, তরিকুলকে এবং নড়াইল থেকে বিনাস সিকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলায় বলা হয়, আসামিরা পাচারের উদ্দেশে আনা মেয়েদের যশোর সীমান্তে একটি বাড়িতে রেখে সুযোগমতো ভারতে পাচার করতেন। পাচারকৃত প্রত্যেক মেয়ের জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্য এক হাজার টাকা করে নিতেন। পাচারকালে কোনো মেয়ে বিজিবির কাছে আটক হলে সেই ইউপি সদস্য তাকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতেন।

২০০৫ সালে সন্ত্রাসী রাজীব হোসেনের সঙ্গে নদীর বিয়ে হয়। ২০১৫ সালে রাজীব বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। এরপর থেকেই নদী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পাচারকৃত ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নদীর দশটির মতো নাম পাওয়া যায়। নদী ভারত, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ের নারী পাচার চক্রের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।