বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমলকির জুস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

বার্তাকন্ঠ ডেস্ক।।   করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার অন্যতম হাতিয়ার হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই, ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সুষম খাদ্য গ্রহণ, ইমিউনিটি ড্রিঙ্ক পান, শরীরচর্চা ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিকে নজর দিচ্ছে মানুষ।

আজ এমন একটি ফলের কথা উল্লেখ করব, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। লো ক্যালরি, লো ফ্যাটের কারণে এই ফলের জুস প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলে খুব ভালো। এটি একটি সহজলভ্য ও স্বাস্থ্যকর ফল, যার নাম আমলকি।

আমলকির স্বাস্থ্যগুণ অসামান্য। এতে প্রচুর ভিটামিন সি, পলিফেনল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টস আছে। প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ক্যারোটিন আছে।

এগুলি আমাদের নানা রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকির জুস পানে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, হজম ভাল হয়, কোলেস্টেরল ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমে। ত্বকের বয়স হওয়া প্রতিরোধ করে ত্বকে জৌলুসও আনে আমলকি। জুস, গুড়ো, কাঁচা যে ভাবে ইচ্ছে খান। তাই আমলকি থেকে তৈরি করা জুসেরও রয়েছে সমান উপকারিতা। আমলকির জুস লিভারের কার্যক্রম ভালো রাখে, হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।

দিল্লির ওজন ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ডা. গার্জি শর্মার মতে, ফ্লু ও কফ দূর করতে আমলকির জুস বেশ শক্তিশালী ঘরোয়া ওষুধ। দুই চা চামচ আমলকির রস মধু দিয়ে প্রতিদিন খেলে কফ ও ঠান্ডা প্রতিরোধ হয়। পানির মধ্যে এক চা চামচ রস নিয়ে দুই বেলা গার্গল করলে মুখের আলসার দূর হয়।

নিয়মিত আমলকির জুস খেলে শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমে। এর মধ্যে থাকা এমাইনো এসিড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের বেশ উপকার করে। এ ছাড়া অ্যাজমা কমাতেও সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এলকেলাইন প্রকৃতির জন্য হজমকে ভালো করে এবং শরীর পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি লিভারের কার্যক্রম ভালো রাখে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।

ভিটামিন সি বাদেও এর মধ্যে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের জন্য এটি একটি পুষ্টিকর পানীয়ও বটে। আমলকির মধ্যে থাকা এমাইনো এসিড ও প্রোটিন চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি চুলপড়া প্রতিরোধ করে।

আমলকির রস তুলায় ভিজিয়ে মুখে লাগান। এতে দাগ, ব্রণ দূর হবে। এ ছাড়া আমলকির জুস মুখের ছিদ্রভাব দূর করে।

আমলকির রস হেয়ার টনিক হিসেবে কাজ করে। চুলের যত্নে এর বিকল্প নেই। আমলা শুধু চুলের গোড়া শক্ত করে না, মাথায় চুলও বাড়ায়। তার সঙ্গে খুশকি ও অকালে চুলপড়া তো রোধ করবেই।

আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া অন্ত্রের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। ভাঁজমুক্ত ত্বকের সঙ্গে লাবণ্যময় চেহারার জন্য প্রতিদিন সকালে একগ্লাস করে আমলকির জুস পান করুন।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও উপকারী আমলকির জুস। খোস পাঁচড়া, চোখে অকারণে পানি ঝরা সমস্যা দূরীকরণেও এর জুড়ি নেই।

আমলকির জুস প্রতিদিন খেলে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা দূর করবে। দাঁতকে করবে শক্তিশালী।

 

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

আমলকির জুস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

প্রকাশের সময় : ০৭:০১:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
বার্তাকন্ঠ ডেস্ক।।   করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার অন্যতম হাতিয়ার হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই, ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সুষম খাদ্য গ্রহণ, ইমিউনিটি ড্রিঙ্ক পান, শরীরচর্চা ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিকে নজর দিচ্ছে মানুষ।

আজ এমন একটি ফলের কথা উল্লেখ করব, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। লো ক্যালরি, লো ফ্যাটের কারণে এই ফলের জুস প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলে খুব ভালো। এটি একটি সহজলভ্য ও স্বাস্থ্যকর ফল, যার নাম আমলকি।

আমলকির স্বাস্থ্যগুণ অসামান্য। এতে প্রচুর ভিটামিন সি, পলিফেনল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টস আছে। প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ক্যারোটিন আছে।

এগুলি আমাদের নানা রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকির জুস পানে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, হজম ভাল হয়, কোলেস্টেরল ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমে। ত্বকের বয়স হওয়া প্রতিরোধ করে ত্বকে জৌলুসও আনে আমলকি। জুস, গুড়ো, কাঁচা যে ভাবে ইচ্ছে খান। তাই আমলকি থেকে তৈরি করা জুসেরও রয়েছে সমান উপকারিতা। আমলকির জুস লিভারের কার্যক্রম ভালো রাখে, হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে।

দিল্লির ওজন ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ডা. গার্জি শর্মার মতে, ফ্লু ও কফ দূর করতে আমলকির জুস বেশ শক্তিশালী ঘরোয়া ওষুধ। দুই চা চামচ আমলকির রস মধু দিয়ে প্রতিদিন খেলে কফ ও ঠান্ডা প্রতিরোধ হয়। পানির মধ্যে এক চা চামচ রস নিয়ে দুই বেলা গার্গল করলে মুখের আলসার দূর হয়।

নিয়মিত আমলকির জুস খেলে শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমে। এর মধ্যে থাকা এমাইনো এসিড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের বেশ উপকার করে। এ ছাড়া অ্যাজমা কমাতেও সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এলকেলাইন প্রকৃতির জন্য হজমকে ভালো করে এবং শরীর পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি লিভারের কার্যক্রম ভালো রাখে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।

ভিটামিন সি বাদেও এর মধ্যে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের জন্য এটি একটি পুষ্টিকর পানীয়ও বটে। আমলকির মধ্যে থাকা এমাইনো এসিড ও প্রোটিন চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি চুলপড়া প্রতিরোধ করে।

আমলকির রস তুলায় ভিজিয়ে মুখে লাগান। এতে দাগ, ব্রণ দূর হবে। এ ছাড়া আমলকির জুস মুখের ছিদ্রভাব দূর করে।

আমলকির রস হেয়ার টনিক হিসেবে কাজ করে। চুলের যত্নে এর বিকল্প নেই। আমলা শুধু চুলের গোড়া শক্ত করে না, মাথায় চুলও বাড়ায়। তার সঙ্গে খুশকি ও অকালে চুলপড়া তো রোধ করবেই।

আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া অন্ত্রের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। ভাঁজমুক্ত ত্বকের সঙ্গে লাবণ্যময় চেহারার জন্য প্রতিদিন সকালে একগ্লাস করে আমলকির জুস পান করুন।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও উপকারী আমলকির জুস। খোস পাঁচড়া, চোখে অকারণে পানি ঝরা সমস্যা দূরীকরণেও এর জুড়ি নেই।

আমলকির জুস প্রতিদিন খেলে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা দূর করবে। দাঁতকে করবে শক্তিশালী।