
ঢাকা ব্যুরো।। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে পুরো রাষ্ট্রের কাঠামোকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। এটা ভয়াবহ একটা অপরাধ। যা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে ভাবনা-আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে রাষ্ট্রের চরিত্র আমরা নির্ধারণ করেছিলাম-গণতান্ত্রিক চরিত্র, সেটিকেই তারা পুরোপুরিভাবে বদলে দিতে শুরু করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই রাষ্ট্রের চরিত্র পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে। আর সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনও একটা বিশাল ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় একটা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তার দিকনির্দেশনা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হব। আমরা আশা করি, আগামী দিনগুলোতে সেই লক্ষ্যেই আমাদের সব কাজ, শক্তি, মেধাকে আমরা নিয়োগ করব।
বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-বিএনআরসির উদ্যোগে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের সরকারি সিদ্ধান্ত : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার পুনরায় লুণ্ঠনের এক নতুন ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক এই সভা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ। আলোচনায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নীতিনির্ধারণী বক্তব্য দেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, চোরে শুনে না ধর্মের অনুশাসন। এই সরকার গায়ের জোরের সরকার, ভোটবিহীন সরকার। তারা তো কোনো সময়ে ধর্মের অর্থাৎ আমরা যে সংবিধানের অনুশাসনের কথা বলছি তা মানবে না। এর একমাত্র সমাধান জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা। সে জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।
বিএনআরসি’র পরিচালক বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব আব্দুর রশিদ সরকার ও ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
মগবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি : এদিকে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আহতদের দ্রুত সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানান।
নিজস্ব সংবাদদাতা 







































