
বার্তাকন্ঠ ডেস্ক।।: দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব অনেকটাই কমে এসেছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও কমছে ধীরে ধীরে। এরই মধ্যে টিকাকরণও চলছে জোরকদমে। ভ্যাকসিনের ভরসায় রয়েছেন সবাই।
টিকা নেওয়ার পরে শরীরে কমবেশি অস্বস্তি দেখা দিতে পারে অনেকেরই। অনেকেরই হাতে ব্যথা হচ্ছে, হালকা থেকে বেশি। অনেকেরই ভ্যাকসিন নেওয়ার জায়গা কয়েক দিন ফুলেও থাকছে। ফলে সেই হাতে কাজ করতে সামান্য সমস্যা হছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। জ্বর, ক্লান্তি, মাথাব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এগুলি নিয়ে আতংকের কোনো কারণ নেই। কয়েক দিনের মধ্যে এ জাতীয় সমস্যা কেটে যাবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শরীর সুস্থ রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।
প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যে কোনো রকম শারীরিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতেই পারে। তাই টিকা নেওয়ার পর প্রথম কয়েক দিন খাদ্যাভ্যাসেও বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণ কিংবা সংযোজন জরুরি। খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললেই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পরিমাণ কমানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কী কী মেনে চলতে বলছেন চিকিৎকরা?
খাওয়াদাওয়ায় কিছু নিয়ম
টিকা নেওয়ার আগে থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। টিকা নেওয়ার পরেও সেই অভ্যাস বদলাবেন না। এ ছাড়াও যদি শসা বা তরমুজের মতো ফল খেতে পারেন তা হলে ভালো। এগুলিতে প্রচুর জল আছে, যা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাত্রা কমাবে।
টিকা নিতে যাওয়ার সময় খালি পেটে যাবেন না। পেট ভরে খাবার খেয়ে যান। তার সঙ্গে প্রচুর জল খাবেন।
ফাইবার খান বেশি করে
যে সব খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, সেই সব খাবার খান। বাইরের ভাজাভুজি এই সময় এড়িয়ে চলাই ভালো।
মদ্যপান নয়
টিকা নেওয়ার আগে থেকেই মদ্যপানে ইতি টানুন। মদে শরীর শুকিয়ে যায়। ফলে টিকা নেওয়ার পর শরীর খারাপ লাগতে পারে। অনেকেই অ্যালকোহল, গাঁজা ইত্যাদি নেশা করেন। সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের ডোজের ক্ষমতা লঘু হতে পারে। সাধারণত করোনা ভ্যাকসিনে ইমিউন রেসপন্স হতে সময় লাগবে দু-তিন মাস। সে ক্ষেত্রে প্রথম টিকা নেওয়ার পরবর্তী তিন মাস এমন নেশা থেকে দূরে থাকাই স্বাস্থ্যকর।
প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
প্যাকেটজাত খাবার একেবারে এড়িয়ে চলুন। প্যাকেটজাত চটজলদি খাবার বা বাইরের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। শুধু তা-ই নয়, হাই স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার খেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। এ ছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি মিষ্টি খাওয়াও এই সময় ঠিক নয়। এর ফলে আরও ও দুশ্চিন্তা বাড়ে। রাতের ঘুমও বিঘ্নিত হয়।
খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা জরুরি যেগুলি শরীরের ইমিউনিটিকে আরও জোরদার করে। ইমিউনিটি বাড়লে ভ্যাকসিনের কাজ করার ক্ষমতাও বাড়বে। তাই কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার সমানুপাতে ডায়েটে রাখুন। বিশেষ করে মরশুমের ফল, সবজি ইমিউনিটি বাড়াতে বেশি কার্যকর। এ ছাড়া ১৫-২০ মিনিট গায়ে রোদ লাগাতে হবে।
আরও কিছু নিয়ম
এ ছাড়াও চাই প্রতি দিন ৮ ঘণ্টা ঘুম। সারা দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটা। প্রতি দিন ১৫-২০ মিনিট গায়ে রোদ লাগাতে পারেন। ডায়েট চার্টে হলুদ, তুলসীপাতা, মধু, আখরোট, কাজুবাদাম ইত্যাদি রাখুন। যদি ডায়াবেটিস থাকে তা হলে টিকা নেওয়ার পর অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ডায়েট মেনে চলুন। যদি কিডনিজনিত সমস্যা থাকে তা হলে প্রোটিন, জল, পটাশিয়াম মেপে খাবেন। ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ফল ও শাকসবজি খেতে পারেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা 







































