সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যু্ক্তরাজ্যের হাইকমিশনার প্যাটেলকে তলব করল বাংলাদেশ

ঢাকা ব্যুরো।।যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রিপোর্টে বাংলাদেশ সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্যের জেরে যু্ক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলকে তলব করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রিপোর্ট প্রকাশ করে, সেখানে বাংলাদেশের বিষয়েও তাদের পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘হাউজ অ্যারেস্ট’ করে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে যে,এটি চরম বিভ্রান্তিকর। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবগত করা হয়, খালেদা জিয়ার ভাই একটি আবেদন করেন এবং সরকার আইন অনুযায়ী, শাস্তি স্থগিত করে ২০২০ এর মার্চে তাকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে, তিনি দেশে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং বিদেশ সফর করবেন না। প্রথম অবস্থায় তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে দুই বার বাড়ানো হয়েছে।

এই ধরনের আইনি বিষয়ে কোনও বিভ্রান্তি থাকলে সরকারের দয়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কাছ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শ দেওয়া হয়। সরকার বা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিষয়ে কোনও ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যবহার না করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে আরও পরামর্শ দেওয়া হয়।এছাড়া কতজন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে— সে বিষয়ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত সরকারের বক্তব্য আমলে নিয়ে জানান, উদ্বেগের বিষয়টি তিনি তার সরকারকে জানাবেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে যুক্তরাজ্য মূল্য দেয়। তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে, মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে গঠনমূলক সংলাপ করতে তারা আগ্রহী।

তিনি বাংলাদেশকে একটি পরিপক্ক গণতন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং জানিয়েছেন, তার সরকার কোনও একটি দলের পক্ষ নেবে না বা কারও বিরোধিতা করবে না।

জনপ্রিয়

যশোরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক জখম

যু্ক্তরাজ্যের হাইকমিশনার প্যাটেলকে তলব করল বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৭:২১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

ঢাকা ব্যুরো।।যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রিপোর্টে বাংলাদেশ সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্যের জেরে যু্ক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলকে তলব করেছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রিপোর্ট প্রকাশ করে, সেখানে বাংলাদেশের বিষয়েও তাদের পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘হাউজ অ্যারেস্ট’ করে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে যে,এটি চরম বিভ্রান্তিকর। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবগত করা হয়, খালেদা জিয়ার ভাই একটি আবেদন করেন এবং সরকার আইন অনুযায়ী, শাস্তি স্থগিত করে ২০২০ এর মার্চে তাকে মুক্তি দেয়, এই শর্তে যে, তিনি দেশে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং বিদেশ সফর করবেন না। প্রথম অবস্থায় তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে দুই বার বাড়ানো হয়েছে।

এই ধরনের আইনি বিষয়ে কোনও বিভ্রান্তি থাকলে সরকারের দয়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কাছ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শ দেওয়া হয়। সরকার বা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিষয়ে কোনও ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যবহার না করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে আরও পরামর্শ দেওয়া হয়।এছাড়া কতজন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে— সে বিষয়ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত সরকারের বক্তব্য আমলে নিয়ে জানান, উদ্বেগের বিষয়টি তিনি তার সরকারকে জানাবেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে যুক্তরাজ্য মূল্য দেয়। তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে, মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে গঠনমূলক সংলাপ করতে তারা আগ্রহী।

তিনি বাংলাদেশকে একটি পরিপক্ক গণতন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং জানিয়েছেন, তার সরকার কোনও একটি দলের পক্ষ নেবে না বা কারও বিরোধিতা করবে না।