সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়ায় ২০ জনের মৃত্যু

কুষ্টিয়া ব্যুরো ।।

কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনের করোনা পজিটিভ ও ৮ জনের করোনা উপসর্গ ছিল।

হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ মেজবাউল আলম জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ১৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী ও ৬৭ জন উপসর্গ নিয়ে মোট ২৫০ জন ভর্তি রয়েছে।

পিসিআর ল্যাব ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০৫ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২০.৭৪ শতাংশ।

টানা এক মাস কঠোর লকডাউনের পরেও সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা।

চিকিৎসকরা বলছেন মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব ও করোনা উপসর্গ থাকলেও দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসার কারণেই ঘটছে এত মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা।

তাদের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে করোনা মহামারী। জেলার একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপে অনেকের ঠাঁই হচ্ছে মেঝেতে ও বারান্দায়। নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে করোনা রোগীর সাথে হাসপাতালে থাকা স্বজনরা। আর এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

তবে হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলছে, এই মুহূর্তে অক্সিজেনের কোন সংকট নেই। যথাযথ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। রোগীর স্বজনেরা বলছেন সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট তারা।

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আব্দুল মোমেন বলেন, ঈদুল আযহার কারণে লকডাউন শিথিল করায় ঈদের দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে।

জনপ্রিয়

যশোর-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিএনপির প্রার্থী নুরুজ্জামান লিটন

করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়ায় ২০ জনের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

কুষ্টিয়া ব্যুরো ।।

কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনের করোনা পজিটিভ ও ৮ জনের করোনা উপসর্গ ছিল।

হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ মেজবাউল আলম জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ১৮৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী ও ৬৭ জন উপসর্গ নিয়ে মোট ২৫০ জন ভর্তি রয়েছে।

পিসিআর ল্যাব ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০৫ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২০.৭৪ শতাংশ।

টানা এক মাস কঠোর লকডাউনের পরেও সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় আশংকাজনক হারে বেড়েই চলেছে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা।

চিকিৎসকরা বলছেন মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব ও করোনা উপসর্গ থাকলেও দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসার কারণেই ঘটছে এত মৃত্যু ও আক্রান্তের ঘটনা।

তাদের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে করোনা মহামারী। জেলার একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপে অনেকের ঠাঁই হচ্ছে মেঝেতে ও বারান্দায়। নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে করোনা রোগীর সাথে হাসপাতালে থাকা স্বজনরা। আর এসব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

তবে হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলছে, এই মুহূর্তে অক্সিজেনের কোন সংকট নেই। যথাযথ সেবা পাচ্ছেন রোগীরা। রোগীর স্বজনেরা বলছেন সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট তারা।

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আব্দুল মোমেন বলেন, ঈদুল আযহার কারণে লকডাউন শিথিল করায় ঈদের দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে।