শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন বন্ধুর হলুদ তরমুজের খামার, উৎসাহিত হচ্ছে তরুণরা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি।। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথমবারের মতো কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই চাষ হচ্ছে বারোমাসি হলুদ তরমুজ। আর এতে সফলতা পেয়েছেন কলেজ পড়ুয়া তিন বন্ধু। তাদের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এলাকার অনেকেই। তিন বন্ধুর হলুদ তরমুজের খামার, উৎসাহিত হচ্ছে তরুণরা
চলতি মৌসুমে খামার থেকে ১৫ লাখ টাকার গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ বিক্রির আশা করা হচ্ছে। সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কৃষি বিভাগের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হলুদের সমারোহ চোখে পড়ে কটিয়াদি উপজেলার করগাঁও এলাকার দেওপাশাবাগ গ্রামে। ব্যতিক্রমি ধরনের এ তরমুজের ফলনও বেশ ভাল হয়েছে এবার।
কলেজপড়ুয়া তিন বন্ধু রাকিব, আকাশ ও রহমত উল্লাহ—তিনজনের নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে গড়ে তোলেন ‘আর এ আর’ নামে কৃষি খামার।
গত রমজানে ৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন তরমুজ চাষ। প্রথমবারের উদ্যোগেই লাভের মুখ দেখায় এবার শুরু করেন, হলুদ রঙের গোল্ডেন ক্রাউন আবাদ। এবছর ৭ একর জমিতে থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির আশা উদ্যোক্তাদের।
উদ্যোক্তা আকাশ বলেন, এবছর যদি আবহাওয়া ও বাজার অনুকূলে থাকে তাহলে ভাল একটা লাভ হবে বলে আশা করছি।
একই আশা অপর উদ্যোক্তা রহমত উল্লাহরও। তিনি বলেন, এবছর ভাল ফলনের পাশাপাশি ভাল দাম পাবো বলে আশা করছি।
নিজেরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে এলাকার আরও ১০ যুবকের। আর তাদের সফলতা দেখে মারমাসি এ সুস্বাদু তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন, এলাকার অনেক তরুণ।
অপর উদ্যোক্তা রাকিব ভূঞা বলেন, গতবছর তরমুজের ভাল ফল পেয়েছি। আমরা ১০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি।
শিক্ষিত যুবকদের এমন উদ্যোগে খুশি কৃষি বিভাগ। পরামর্শ, নির্দেশনাসহ যে কোন সহযোগিতা করারও আশ্বাস তাদের। পাশাপাশি আগামীতে জেলার সব উপজেলায় উন্নত জাতের এ তরমুজ চাষের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল আলম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে তাদের নানা ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আশা করছি, তাদের সাফল্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীতা অব্যাহত রাখা হবে।
প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে, দেড়শো থেকে দুশো টাকায়। গত মৌসুমে ৮ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হয় এ খামার থেকে। তরমুজ ছাড়াও তাদের খামারে চান হচ্ছে উন্নত জাতের শশা ও পেঁপে।
জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বেনাপোলে কুলি-শ্রমিক ইউনিয়নের দোয়া মাহফিল

তিন বন্ধুর হলুদ তরমুজের খামার, উৎসাহিত হচ্ছে তরুণরা

প্রকাশের সময় : ০৪:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অগাস্ট ২০২১
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি।। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথমবারের মতো কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই চাষ হচ্ছে বারোমাসি হলুদ তরমুজ। আর এতে সফলতা পেয়েছেন কলেজ পড়ুয়া তিন বন্ধু। তাদের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এলাকার অনেকেই। তিন বন্ধুর হলুদ তরমুজের খামার, উৎসাহিত হচ্ছে তরুণরা
চলতি মৌসুমে খামার থেকে ১৫ লাখ টাকার গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ বিক্রির আশা করা হচ্ছে। সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস কৃষি বিভাগের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হলুদের সমারোহ চোখে পড়ে কটিয়াদি উপজেলার করগাঁও এলাকার দেওপাশাবাগ গ্রামে। ব্যতিক্রমি ধরনের এ তরমুজের ফলনও বেশ ভাল হয়েছে এবার।
কলেজপড়ুয়া তিন বন্ধু রাকিব, আকাশ ও রহমত উল্লাহ—তিনজনের নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে গড়ে তোলেন ‘আর এ আর’ নামে কৃষি খামার।
গত রমজানে ৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন তরমুজ চাষ। প্রথমবারের উদ্যোগেই লাভের মুখ দেখায় এবার শুরু করেন, হলুদ রঙের গোল্ডেন ক্রাউন আবাদ। এবছর ৭ একর জমিতে থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির আশা উদ্যোক্তাদের।
উদ্যোক্তা আকাশ বলেন, এবছর যদি আবহাওয়া ও বাজার অনুকূলে থাকে তাহলে ভাল একটা লাভ হবে বলে আশা করছি।
একই আশা অপর উদ্যোক্তা রহমত উল্লাহরও। তিনি বলেন, এবছর ভাল ফলনের পাশাপাশি ভাল দাম পাবো বলে আশা করছি।
নিজেরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে এলাকার আরও ১০ যুবকের। আর তাদের সফলতা দেখে মারমাসি এ সুস্বাদু তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন, এলাকার অনেক তরুণ।
অপর উদ্যোক্তা রাকিব ভূঞা বলেন, গতবছর তরমুজের ভাল ফল পেয়েছি। আমরা ১০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি।
শিক্ষিত যুবকদের এমন উদ্যোগে খুশি কৃষি বিভাগ। পরামর্শ, নির্দেশনাসহ যে কোন সহযোগিতা করারও আশ্বাস তাদের। পাশাপাশি আগামীতে জেলার সব উপজেলায় উন্নত জাতের এ তরমুজ চাষের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল আলম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে তাদের নানা ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আশা করছি, তাদের সাফল্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীতা অব্যাহত রাখা হবে।
প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে, দেড়শো থেকে দুশো টাকায়। গত মৌসুমে ৮ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হয় এ খামার থেকে। তরমুজ ছাড়াও তাদের খামারে চান হচ্ছে উন্নত জাতের শশা ও পেঁপে।