সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালমনিরহাটে ২৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

লালমনিরহাট  প্রতিনিধি।।

সত্তরোর্ধ্ব রহিমার খাতুন হাটতে পারেন না ভালমত, চোখে ঝাপসা দেখেন, কানেও কম শুনেন। পেট চলে কখনও অন্যর বাড়িতে আবার কখনও ভিক্ষার ভাতে। এই করোনা মহামারি আর লকডাউনে তা-ও বন্ধ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় খাদ্যসহায়তা পেয়ে খুশি তিনি।

আল্লাহ তোংগো ভালা করবো এই খাবার মুই ৫ দিন ধরি খাবার খাইম। আগের মত আর হাটির পাং না। মোর খোজঁ কাহ করে না। দুই পোলা থাকলেও তাদের চলে না আমারে কি খাওয়াইবো। এভাবে কথা গুলো বলছিলেন, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা রমনীগঞ্জ গ্রামের খাদ্য সহায়তা পাওয়া রহিমার খাতুন।লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় করোনায় বিপর্যস্ত অসহায় দুইশত ৫০টি পরিবারের মাঝেখাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

জানা গেছে, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটবৃন্দ তাঁদের সংগৃহীত যাকাত ও সদকার অর্থ হতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় করোনায় বিপর্যস্ত অসহায় ২৫০টি পরিবারের মাঝেখাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, তেল, আলু, পিয়াজ, লবন বিতরণ করেছেন। বিতরণে সহায়তা করেছেন আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকগণ। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসহায় মানুষদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছে।রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন কলেজ প্রিফেক্ট ও আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার হোসেন মাসুদ বিতরণ কার্যক্রমটি পরিচালনা করেন।অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইফতেখার হোসেন মাসুদ বলেন,‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ প্রাক্তন ক্যাডেটবৃন্দ দেশের যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারীতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান। এই কঠিন দুঃসময়ে আমাদের সকল সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসা উচিত।’খাদ্য সহায়তা পাওয়া হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তার চরের নিজ গড্ডিমারী গ্রামে বামন পরিবার প্রতিবন্ধী ফরিদার(৩৫) বলেন, পরিবারের ১০ জন সদস্য নিয়া অনেক কষ্ট করি খাচ্চি। কোন বেলা খাই আবার কোন বেলা না খেয়ে থাকি। আমার পরিবার ৫ দিনে খাবার পাইছি। খাবার পেয়া আমাগোর একটু উপকার হইল।

হাতীবান্ধার পশ্চিম সারডুবীর গ্রামের ভ্যান চালক আমের আলী বলেন, এই কলডাউনোত কোন ভাড়া নাই বসি বসি আছি। বাচ্চার দের নিয়া কষ্ট দিন কাটাচ্ছি। যে খাবার পাইচি তাতে তিন দিন খাবার পামো।পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের দিন মজুর আব্দুল জলিল বলেন, চাউল,ডাল, আলু,পিয়াজ,তেল পেয়া মোর ভাল হইল। আল্লাহ তোমাদের ভাল করবে।উল্লেখ্য যে, করোনাকালীন সময়ে আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন চার হাজারেরও অধিক অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।

জনপ্রিয়

চৌগাছার ইজিবাইক–প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীসহ আহত ৭

লালমনিরহাটে ২৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অগাস্ট ২০২১

লালমনিরহাট  প্রতিনিধি।।

সত্তরোর্ধ্ব রহিমার খাতুন হাটতে পারেন না ভালমত, চোখে ঝাপসা দেখেন, কানেও কম শুনেন। পেট চলে কখনও অন্যর বাড়িতে আবার কখনও ভিক্ষার ভাতে। এই করোনা মহামারি আর লকডাউনে তা-ও বন্ধ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় খাদ্যসহায়তা পেয়ে খুশি তিনি।

আল্লাহ তোংগো ভালা করবো এই খাবার মুই ৫ দিন ধরি খাবার খাইম। আগের মত আর হাটির পাং না। মোর খোজঁ কাহ করে না। দুই পোলা থাকলেও তাদের চলে না আমারে কি খাওয়াইবো। এভাবে কথা গুলো বলছিলেন, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা রমনীগঞ্জ গ্রামের খাদ্য সহায়তা পাওয়া রহিমার খাতুন।লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় করোনায় বিপর্যস্ত অসহায় দুইশত ৫০টি পরিবারের মাঝেখাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

জানা গেছে, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটবৃন্দ তাঁদের সংগৃহীত যাকাত ও সদকার অর্থ হতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় করোনায় বিপর্যস্ত অসহায় ২৫০টি পরিবারের মাঝেখাদ্য সামগ্রী চাল, ডাল, তেল, আলু, পিয়াজ, লবন বিতরণ করেছেন। বিতরণে সহায়তা করেছেন আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকগণ। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসহায় মানুষদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছে।রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন কলেজ প্রিফেক্ট ও আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার হোসেন মাসুদ বিতরণ কার্যক্রমটি পরিচালনা করেন।অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইফতেখার হোসেন মাসুদ বলেন,‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ প্রাক্তন ক্যাডেটবৃন্দ দেশের যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারীতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান। এই কঠিন দুঃসময়ে আমাদের সকল সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসা উচিত।’খাদ্য সহায়তা পাওয়া হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তার চরের নিজ গড্ডিমারী গ্রামে বামন পরিবার প্রতিবন্ধী ফরিদার(৩৫) বলেন, পরিবারের ১০ জন সদস্য নিয়া অনেক কষ্ট করি খাচ্চি। কোন বেলা খাই আবার কোন বেলা না খেয়ে থাকি। আমার পরিবার ৫ দিনে খাবার পাইছি। খাবার পেয়া আমাগোর একটু উপকার হইল।

হাতীবান্ধার পশ্চিম সারডুবীর গ্রামের ভ্যান চালক আমের আলী বলেন, এই কলডাউনোত কোন ভাড়া নাই বসি বসি আছি। বাচ্চার দের নিয়া কষ্ট দিন কাটাচ্ছি। যে খাবার পাইচি তাতে তিন দিন খাবার পামো।পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের দিন মজুর আব্দুল জলিল বলেন, চাউল,ডাল, আলু,পিয়াজ,তেল পেয়া মোর ভাল হইল। আল্লাহ তোমাদের ভাল করবে।উল্লেখ্য যে, করোনাকালীন সময়ে আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন চার হাজারেরও অধিক অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।