শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শার্শায় স্থায়ী ঠিকানা পেল ১২৭ টি ভূমিহীন পরিবার

শিশির কুমার সরকার।।

রাস্তার পাশে ঝুপড়িঘরে, বাসা ভাড়া করে, অন্যের জায়গায় আশ্রিত হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভাসমান পরিবারকে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে  প্রধানমন্ত্রী পূনর্বাসন করায় যশোরের শার্শার ১২৭ টি ভূমিহীন পরিবার পেল তাদের স্থায়ী ঠিকানা, কৃতজ্ঞচিত্তে করেছেন মন খুলে দোয়া। উপজেলা প্রশাসন জানান সকল প্রকার নিয়মনীতি মেনেই বিতরণ করা হয়েছে জমি বসতবাড়িসহ সকল প্রকার নাগরিক সুযোগ সুবিধা।

২০২০ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, সবার জন্য নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করাই হবে মুজিব বর্ষের ল্য। যাঁদের থাকার ঘর, ঠিকানা নেই, তাঁদের যেভাবেই হোক একটা ঠিকানা করে দেব। যাতে দেশের প্রত্যেক মানুষ উন্নত জীবন যাপন করতে পারেন। এই মহান ব্রতকে সামনে রেখেই উপকারভোগী প্রতিটি ভূমিহীন পরিবারই পেয়েছে দূর্যোগ সহনীয় ২ রুমের সেমিপাকা ঘর, টয়লেট, বারান্দা, বিদ্যুৎ, পানির নাগরিক সুবিধা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুই শতক জমি ও বাড়ির মালিকানা স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে।

অর্পনা সাহা বলেন, আমরা বেনাপোলে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতাম। এই দূর্মূল্যের বাজারে আমার স্বামীর অল্প পরিমান আয়ে আমরা খুব কষ্টে দিনাতিপাত করতাম। মাসের ভাড়া দিতে দেরি হলে অনেক সময় মালিক আমাদের সাথে বাজে আচরণ করতেন। আমাদের কোন জায়গা জমি ছিল না। এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমি ও ঘর পেয়ে নতুন করে পেয়েছি ঠিকানা। আমরা এখন মাথা উঁচু করে বলতে পারি আমাদের জায়গা আছে ঘর আছে। আমার মাথায় যত চুল আছে মহান সৃষ্টিকর্তা যেন ততদিন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আয়ু দেন।

লক্ষণপুরের আনোয়ারা খাতুন বলেন, অন্যের জমিতে কুঁড়ে বেধে বসবাস করতাম। শেখ হাসিনার উপহারের নতুন ঘরে ঠাঁই হয়েছে, ঝড় বৃষ্টির কোন ভয় নাই এবং এখানে এসে সম্পূর্ন ভালো আছি।

উলাশীর মতিউর রহমান বলেন, এ জমি ঘর আমার পক্ষে কোনদিন করা সম্ভব হতো না। শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে আজ আমাদের মাথা গোঁজার ঠাই হলো। তিনি যেন শত বছর বেঁচে থাকেন আমাদের মত অসহায়দের জন্য মন খুলে দোয়া করি।

 

উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যেভাবে ঘরগুলো করার নির্দেশনা পেয়েছি নকশাঁ ঠিক রেখে আমরা সেভাবেই করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলি দেশসেরা করার জন্য।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, গৃহহীনদের ১২৭ টি ঘর দেওয়ার কাজটি আমরা উপজেলা কমিটির মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করেছি। এক্ষেত্রে উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপি মহোদয়, ডিসি স্যারসহ জেলা কমিটির দিক নির্দেশনায় আশ্রয়ন প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী সুন্দরভাবে করেছি।

জনপ্রিয়

রাণীশংকৈলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর, থানায় মামলা 

শার্শায় স্থায়ী ঠিকানা পেল ১২৭ টি ভূমিহীন পরিবার

প্রকাশের সময় : ০১:১৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অগাস্ট ২০২১

শিশির কুমার সরকার।।

রাস্তার পাশে ঝুপড়িঘরে, বাসা ভাড়া করে, অন্যের জায়গায় আশ্রিত হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভাসমান পরিবারকে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে  প্রধানমন্ত্রী পূনর্বাসন করায় যশোরের শার্শার ১২৭ টি ভূমিহীন পরিবার পেল তাদের স্থায়ী ঠিকানা, কৃতজ্ঞচিত্তে করেছেন মন খুলে দোয়া। উপজেলা প্রশাসন জানান সকল প্রকার নিয়মনীতি মেনেই বিতরণ করা হয়েছে জমি বসতবাড়িসহ সকল প্রকার নাগরিক সুযোগ সুবিধা।

২০২০ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, সবার জন্য নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করাই হবে মুজিব বর্ষের ল্য। যাঁদের থাকার ঘর, ঠিকানা নেই, তাঁদের যেভাবেই হোক একটা ঠিকানা করে দেব। যাতে দেশের প্রত্যেক মানুষ উন্নত জীবন যাপন করতে পারেন। এই মহান ব্রতকে সামনে রেখেই উপকারভোগী প্রতিটি ভূমিহীন পরিবারই পেয়েছে দূর্যোগ সহনীয় ২ রুমের সেমিপাকা ঘর, টয়লেট, বারান্দা, বিদ্যুৎ, পানির নাগরিক সুবিধা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দুই শতক জমি ও বাড়ির মালিকানা স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে।

অর্পনা সাহা বলেন, আমরা বেনাপোলে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতাম। এই দূর্মূল্যের বাজারে আমার স্বামীর অল্প পরিমান আয়ে আমরা খুব কষ্টে দিনাতিপাত করতাম। মাসের ভাড়া দিতে দেরি হলে অনেক সময় মালিক আমাদের সাথে বাজে আচরণ করতেন। আমাদের কোন জায়গা জমি ছিল না। এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমি ও ঘর পেয়ে নতুন করে পেয়েছি ঠিকানা। আমরা এখন মাথা উঁচু করে বলতে পারি আমাদের জায়গা আছে ঘর আছে। আমার মাথায় যত চুল আছে মহান সৃষ্টিকর্তা যেন ততদিন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আয়ু দেন।

লক্ষণপুরের আনোয়ারা খাতুন বলেন, অন্যের জমিতে কুঁড়ে বেধে বসবাস করতাম। শেখ হাসিনার উপহারের নতুন ঘরে ঠাঁই হয়েছে, ঝড় বৃষ্টির কোন ভয় নাই এবং এখানে এসে সম্পূর্ন ভালো আছি।

উলাশীর মতিউর রহমান বলেন, এ জমি ঘর আমার পক্ষে কোনদিন করা সম্ভব হতো না। শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে আজ আমাদের মাথা গোঁজার ঠাই হলো। তিনি যেন শত বছর বেঁচে থাকেন আমাদের মত অসহায়দের জন্য মন খুলে দোয়া করি।

 

উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যেভাবে ঘরগুলো করার নির্দেশনা পেয়েছি নকশাঁ ঠিক রেখে আমরা সেভাবেই করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলি দেশসেরা করার জন্য।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, গৃহহীনদের ১২৭ টি ঘর দেওয়ার কাজটি আমরা উপজেলা কমিটির মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করেছি। এক্ষেত্রে উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপি মহোদয়, ডিসি স্যারসহ জেলা কমিটির দিক নির্দেশনায় আশ্রয়ন প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী সুন্দরভাবে করেছি।