বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরীকে ধর্ষণের পর ৭ লাখ টাকায় রফাদফার চেষ্টা, গ্রেপ্তার১

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। 

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নে বাড়িতে একা পেয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর ৭ লাখ টাকায় রফাদফার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক কয়লা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের তেলীগাঁও (কৃষ্ণতলা) গ্রামের প্রয়াত ঝুনু পালের ছেলে সুমন পাল (৩৫)। তিনি কয়লা ব্যবসায়ী।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুন উপজেলার তেলীগাঁও (কৃষ্ণতলা) গ্রামের সুমন পাল একই গ্রামের দরিদ্র সবজি বিক্রেতার ঘরে প্রবেশ করে। সবজি বিক্রেতার স্ত্রী ঝি এর কাজ করতে অন্যের বাড়িতে চলে যান। এ সময় ফাঁকা বাড়িতে ওই দম্পতির কিশোরীকে (১৭) জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন সুমন। এরপর পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করা, লোক সমাজে ফাঁসিয়ে দেবার কথা বলে মুখ না খুলতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সুমন।

পরে ওই কিশোরী তার বাবা ও মাকে জানায়। এরপর বিষয়টি গ্রাম্য সালিশে অবহিত করা হয়। পরে ওই কিশোরীর অন্যত্র সাতপাকে বাঁধার দিনক্ষণ নির্ধারিত থাকলেও সেই বিয়ে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকায় রফাদফার মাধ্যমে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে কয়লা ব্যবসায়ী সুমন পাল, তার সহোদর মহান্ত পাল। তবে সেই চেষ্টাও ভেস্তে যায়।

এদিকে সম্প্রতি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা নিতে গেলে ওই কিশোরী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি চিকিৎসকগণ নিশ্চিত করেন।

ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, সুমন পালকে সুনামগঞ্জ পৌর শহর থেকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে এ ব্যাপারে থানায় মামলা করেন। মামলার পর পরই আসামির পরিবারের লোকজন ৭ লাখ টাকায় রফারফার চেষ্টা করে। তবে তারপরও তা ভেস্তে যায় বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।

জনপ্রিয়

রাণীশংকৈলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর, থানায় মামলা 

কিশোরীকে ধর্ষণের পর ৭ লাখ টাকায় রফাদফার চেষ্টা, গ্রেপ্তার১

প্রকাশের সময় : ০২:৫৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। 

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নে বাড়িতে একা পেয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর ৭ লাখ টাকায় রফাদফার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক কয়লা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের তেলীগাঁও (কৃষ্ণতলা) গ্রামের প্রয়াত ঝুনু পালের ছেলে সুমন পাল (৩৫)। তিনি কয়লা ব্যবসায়ী।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুন উপজেলার তেলীগাঁও (কৃষ্ণতলা) গ্রামের সুমন পাল একই গ্রামের দরিদ্র সবজি বিক্রেতার ঘরে প্রবেশ করে। সবজি বিক্রেতার স্ত্রী ঝি এর কাজ করতে অন্যের বাড়িতে চলে যান। এ সময় ফাঁকা বাড়িতে ওই দম্পতির কিশোরীকে (১৭) জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন সুমন। এরপর পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করা, লোক সমাজে ফাঁসিয়ে দেবার কথা বলে মুখ না খুলতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সুমন।

পরে ওই কিশোরী তার বাবা ও মাকে জানায়। এরপর বিষয়টি গ্রাম্য সালিশে অবহিত করা হয়। পরে ওই কিশোরীর অন্যত্র সাতপাকে বাঁধার দিনক্ষণ নির্ধারিত থাকলেও সেই বিয়ে ভেঙে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকায় রফাদফার মাধ্যমে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে কয়লা ব্যবসায়ী সুমন পাল, তার সহোদর মহান্ত পাল। তবে সেই চেষ্টাও ভেস্তে যায়।

এদিকে সম্প্রতি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাসেবা নিতে গেলে ওই কিশোরী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি চিকিৎসকগণ নিশ্চিত করেন।

ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, সুমন পালকে সুনামগঞ্জ পৌর শহর থেকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে এ ব্যাপারে থানায় মামলা করেন। মামলার পর পরই আসামির পরিবারের লোকজন ৭ লাখ টাকায় রফারফার চেষ্টা করে। তবে তারপরও তা ভেস্তে যায় বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।