শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তাল বঙ্গোপসাগর : শরণখোলায় নিরাপদ আশ্রয়ে তিন শতাধিক ফিশিং ট্রলার 

নাজমুল ইসলাম, শরনখোলা প্রতিনিধি।।
মৌসুমের শেষ মুহূর্তে এসে লঘুচাপের কবলে পড়েছে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণকারী জেলেরা। উত্তাল ঢেউয়ে টিকতে না পেরে সাগর ছাড়তে বাধ্য হন তারা। দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার ফিশিং ট্রলার রবিবার বিকেল থেকে ঘাটে ফিরতে শুরু করে। গত দুদিনে (রবি ও সোমবার) বাগেরহাটের শরণখোলার বেশিভাগ ট্রলার নিরাপদে ঘাটে ফিরে এসেছে। কিছু ট্রলার সুন্দরবনের মেহেরআলীর চর ও কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুমের শেষ দিকে এসে সাগরে ইলিশ পড়তে শুরু করায় তারা সারা বছরের লোকসান কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু এরই মধ্যে সাগর অশান্ত হয়ে ওঠায় তারা আবার হতাশ হয়েছেন। দু-একদিনে আবহাও স্বাভাবিক না হলে মারাত্মক ক্ষতি হবে তাদের।
মৎস্য আড়তদার সমিতির আহবায়ক মো. সরোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে তার এফবি সোনার মদিনা ট্রলার ৬৫মণ ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফেরে। সারা মৌসুমে এটাই তার বড় চালান। এফবি খয়রুল ইসলাম ট্রলারের মালিক মো. কবির আড়তদার জানান, তার ট্রলারেও ৩২মণ ইলিশ পায়। চলতি সপ্তাহে এভাবে সবার ট্র্রলারই আশানুরূপ ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। কিন্তু হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে সবাই।
বাগেরহাট জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সামতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় উপকূলের সকল জেলে সাগর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। শরণখোলা তিন শতাধিক ফিশিং ট্রলারের বেশিরভাগই রায়েন্দা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, রাজেস্বর, খোন্তাকাটা, তাফালবাড়ী ঘাটে অবস্থান করছে।
গভীর সাগর থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় কিছু ট্রলার সুন্দরবনের মেহেরআলীর চর ও কলাপাড়র মহিপুরে আশ্রয় নিয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকেই কয়েক দফা দুর্যোগ এবং ইলিশ না পাওয়ায় জেলে-মহাজনরা দেনাগ্রস্ত। শেষ সময় এসে আবার বৈরী আবহাওয়ায় ইলিশ আহরণখাত চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে হতাশা প্রকাশ করেন এই মৎস্যজীবী নেতা।
জনপ্রিয়

রাণীশংকৈলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর, থানায় মামলা 

উত্তাল বঙ্গোপসাগর : শরণখোলায় নিরাপদ আশ্রয়ে তিন শতাধিক ফিশিং ট্রলার 

প্রকাশের সময় : ১০:১৮:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
নাজমুল ইসলাম, শরনখোলা প্রতিনিধি।।
মৌসুমের শেষ মুহূর্তে এসে লঘুচাপের কবলে পড়েছে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণকারী জেলেরা। উত্তাল ঢেউয়ে টিকতে না পেরে সাগর ছাড়তে বাধ্য হন তারা। দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার ফিশিং ট্রলার রবিবার বিকেল থেকে ঘাটে ফিরতে শুরু করে। গত দুদিনে (রবি ও সোমবার) বাগেরহাটের শরণখোলার বেশিভাগ ট্রলার নিরাপদে ঘাটে ফিরে এসেছে। কিছু ট্রলার সুন্দরবনের মেহেরআলীর চর ও কলাপাড়া উপজেলার মহিপুরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুমের শেষ দিকে এসে সাগরে ইলিশ পড়তে শুরু করায় তারা সারা বছরের লোকসান কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু এরই মধ্যে সাগর অশান্ত হয়ে ওঠায় তারা আবার হতাশ হয়েছেন। দু-একদিনে আবহাও স্বাভাবিক না হলে মারাত্মক ক্ষতি হবে তাদের।
মৎস্য আড়তদার সমিতির আহবায়ক মো. সরোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে তার এফবি সোনার মদিনা ট্রলার ৬৫মণ ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফেরে। সারা মৌসুমে এটাই তার বড় চালান। এফবি খয়রুল ইসলাম ট্রলারের মালিক মো. কবির আড়তদার জানান, তার ট্রলারেও ৩২মণ ইলিশ পায়। চলতি সপ্তাহে এভাবে সবার ট্র্রলারই আশানুরূপ ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। কিন্তু হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে সবাই।
বাগেরহাট জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সামতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন জানান, সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় উপকূলের সকল জেলে সাগর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। শরণখোলা তিন শতাধিক ফিশিং ট্রলারের বেশিরভাগই রায়েন্দা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, রাজেস্বর, খোন্তাকাটা, তাফালবাড়ী ঘাটে অবস্থান করছে।
গভীর সাগর থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় কিছু ট্রলার সুন্দরবনের মেহেরআলীর চর ও কলাপাড়র মহিপুরে আশ্রয় নিয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকেই কয়েক দফা দুর্যোগ এবং ইলিশ না পাওয়ায় জেলে-মহাজনরা দেনাগ্রস্ত। শেষ সময় এসে আবার বৈরী আবহাওয়ায় ইলিশ আহরণখাত চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে হতাশা প্রকাশ করেন এই মৎস্যজীবী নেতা।