মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ফাইল ছবি

বরগুনা প্রতিনিধি।।

রগুনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আরিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, আমার মেয়ের বাবা নেই, আমি তরকারি বিক্রি করে রোজগার করে খাই। কাজের প্রয়োজনে সারাক্ষণ বাইরে থাকতে হয়। আমার মেয়ে প্রায় সময়ই নুর ইসলামের ছোট মেয়ের সঙ্গে তাদের বাসায় থাকে। আমার মেয়েকে দিয়ে তারা কাজও করায়। কিন্তু তারা যে আমার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ করবে কখনোই ভাবিনি। বুঝতে পারলে আমি মেয়েকে ওখানে যেতে দিতাম না।

কিশোরীর মা জানান, নুর ইসলাম আমার থেকেও বয়সে অনেক বড়। তিনি আমার ছোট মেয়েটার দিকে কু-নজর দিতে পারে না। আমার মেয়ের এ অবস্থা যে করছে আমি তার কঠিন বিচার চাই।

ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাষ্য, ‘নুর ইসলামকে মুই খালু বোলাই, হ্যাগো ঘরে গেলে মোরে দোহানের সদায় আনতে দেতে আর হেরা খাইলে মোরেও খাওয়াইতে। তয় অনেক সময় খালু মোর দিগে ক্যামন হইরা যেন চাইতে। মাঝে মাঝে মোর গায় আত দেতে। এরপর হে কইতে তোরে মুই বিয়া হরমু। হেইলইগা মুই হের সব কতা হোনতাম।’

‘পরে একদিন হের পোয়া আরিফ ভাইয়ায় কয় তুই যা করছো তা কিন্তু আমি জানি, এখন আমার সঙ্গে না করলে সবাইকে বলে দিবো। হেইয়া কইয়া হে মোরে চাইপা ধরে এবং আরও দুই দিন মোর লগে এইয়া হরছে। এহন সবাই কয় মোর প্যাডে নাকি বাচ্চা অইছে। কিন্তু মোর খালু মোরে বিয়া হরে না।’

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম তারিকুল ইসলামকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে ওসি বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি টিম পাঠিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় প্রথমে নুর ইসলামকে থানায় ধরে আনে এবং আধা ঘণ্টা পরে তার ছেলে আরিফকে ধরে আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে ওসি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।

জনপ্রিয়

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০১:০৬:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২

বরগুনা প্রতিনিধি।।

রগুনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আরিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, আমার মেয়ের বাবা নেই, আমি তরকারি বিক্রি করে রোজগার করে খাই। কাজের প্রয়োজনে সারাক্ষণ বাইরে থাকতে হয়। আমার মেয়ে প্রায় সময়ই নুর ইসলামের ছোট মেয়ের সঙ্গে তাদের বাসায় থাকে। আমার মেয়েকে দিয়ে তারা কাজও করায়। কিন্তু তারা যে আমার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ করবে কখনোই ভাবিনি। বুঝতে পারলে আমি মেয়েকে ওখানে যেতে দিতাম না।

কিশোরীর মা জানান, নুর ইসলাম আমার থেকেও বয়সে অনেক বড়। তিনি আমার ছোট মেয়েটার দিকে কু-নজর দিতে পারে না। আমার মেয়ের এ অবস্থা যে করছে আমি তার কঠিন বিচার চাই।

ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাষ্য, ‘নুর ইসলামকে মুই খালু বোলাই, হ্যাগো ঘরে গেলে মোরে দোহানের সদায় আনতে দেতে আর হেরা খাইলে মোরেও খাওয়াইতে। তয় অনেক সময় খালু মোর দিগে ক্যামন হইরা যেন চাইতে। মাঝে মাঝে মোর গায় আত দেতে। এরপর হে কইতে তোরে মুই বিয়া হরমু। হেইলইগা মুই হের সব কতা হোনতাম।’

‘পরে একদিন হের পোয়া আরিফ ভাইয়ায় কয় তুই যা করছো তা কিন্তু আমি জানি, এখন আমার সঙ্গে না করলে সবাইকে বলে দিবো। হেইয়া কইয়া হে মোরে চাইপা ধরে এবং আরও দুই দিন মোর লগে এইয়া হরছে। এহন সবাই কয় মোর প্যাডে নাকি বাচ্চা অইছে। কিন্তু মোর খালু মোরে বিয়া হরে না।’

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করলে তিনি বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম তারিকুল ইসলামকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরে ওসি বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি টিম পাঠিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় প্রথমে নুর ইসলামকে থানায় ধরে আনে এবং আধা ঘণ্টা পরে তার ছেলে আরিফকে ধরে আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে ওসি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।