
করোনার ‘লাল’ তালিকা ভুক্ত ঘোষনাও স্বাস্থ্যবিধি পালনের নিষেধাজ্ঞার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ‘ধারণক্ষমতার বেশি’ যাত্রী নিয়ে বেনাপোল-যশোর ও সাতক্ষীরা খুলনা, যশোর ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া মাগুরা, নড়াইলসহ অন্যান্য রুটে আন্তঃজেলার মধ্যে যানবাহন চলাচল করছে।
যশোর-বেনাপোল ও যশোর-সাতক্ষীরা, যশোর ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, যশোর নড়াইলসহ, মহাসড়কে আন্তঃজেলার মধ্যে চলাচলকারি বাস ও তিন চাকাগুলোতে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এইসব বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারিদের কারও মুখে মাস্ক নেই।এসব যানবাহনে হ্যান্ড সেনিটাইজার কিম্বা জীবানুনাশক স্প্রে করার কোন ব্যবস্থা না রেখেই গতানুগতিক ভাবে যাত্রী বহন করা হচ্ছে।
সরেজমিনএসব বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে এসব চিত্র। যশোর থেকে অভ্যন্তরে অন্তত ২০টি রুটে পরিবহন যাতায়াত করে। মহামারীর বিস্তার ঠেকানোর লক্ষ্যে বাস পরিবহন ও তিনচাকায় অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও চালকরা আগের মতোই যাত্রী বহন করছেন। চালক ও যাত্রীরা শারীরিক দূরত্বের বিষয়টি মোটেও তোয়াক্কা করছেন না।এমন কি মাস্কের ব্যবহারও উঠে গেছে।
চালকের সহকারি কে মাস্ক ব্যবহার না করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্রই তো বিধিনিষেধ শুরু হলো,আরেকটু বাড়ুক তখন আবার নিয়মিত মাস্ক পরবো। মাস্ক পরে কথা বলা যায় না!
বাসে এত যাত্রী তোলার কারণ জানতে চাইলে সুপারভাইজাররা (কন্ডাকটর) বলেন, আমরা তো প্রতিদিনই এমন যাত্রী বহন করি।তাছাড়া নাকি বিধিনিষেধ দিয়েছে।অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হবে,তারপরও তো এভাবে চলছি।কেউ তো কিছু কচ্ছে না।এই ক’দিন একটু যাত্রী বেশি হচ্ছে।
মাস্ক ব্যবহার না করার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে যাত্রীদের কেউ বলেন, মুখ থেকে পড়ে গেছে।কেউ বলেন,আনতে ভুলে গেছেন। আবার কেউ বলেন,খুলে পকেটে রেখেছি।
বাস যাত্রীরা বলেন, কেউ তো মাস্ক পরছে না। নাকের মদ্দি শিরশির করে তাই মাস্ক পরতি পারিনে।”
এমনই চিত্র দেখা গেছে বাসের অধিকাংশ যাত্রীর ক্ষেত্রে।সবারই বিধিনিষেধ মানায় অনীহা। অথচ প্রতিদিনই যশোরাঞ্চলে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।
সিভিল সার্জন ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান,যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গত কয়েকদিন নমুনা পরীক্ষা করে যশোরে নমুনা পরীক্ষা শনাক্তের হার প্রায় অনেকাংশ বেড়েছে।দরকার হলে মাক্স ব্যবহারে আরো সচেতনতা বৃদ্ধি করাসহ ভ্রাম্যমান আদালত নামানো হবে।
নিজস্ব সংবাদদাতা 







































