সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : ১০:২৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৪১

ফাইল ছবি

আগামীকাল শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে বাণী প্রদান করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে আমি দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

সরস্বতী পূজা বাংলাদেশে অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধর্মীয় উৎসব। ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে এই উৎসবে সকলের অংশগ্রহণ এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও ঐতিহ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। জ্ঞানচর্চার মাধ্যমেই মানবসভ্যতা ক্রমান্বয়ে বিকশিত হচ্ছে। জ্ঞানার্জনে শ্রী শ্রী সরস্বতী দেবীর কৃপা অর্জনের লক্ষ্যেই ভক্তবৃন্দ এ পূজা করে থাকেন। জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত হয়ে দেশের প্রতিটি মানুষ সাম্প্রদায়িকতা, অজ্ঞানতা, কূপমন্ডুকতা থেকে মুক্ত হয়ে একটি কল্যাণকর ও উন্নত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসবে-এটাই সকলের প্রত্যাশা।

বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আবহমান কাল থেকে এ দেশের মানুষ পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

আমি জ্ঞানালোকের প্রতীক সরস্বতী পূজা উৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

জনপ্রিয়

এই শীতে গাজরের উপকারিতা

সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রকাশের সময় : ১০:২৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আগামীকাল শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে বাণী প্রদান করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে আমি দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

সরস্বতী পূজা বাংলাদেশে অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধর্মীয় উৎসব। ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে এই উৎসবে সকলের অংশগ্রহণ এ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও ঐতিহ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। জ্ঞানচর্চার মাধ্যমেই মানবসভ্যতা ক্রমান্বয়ে বিকশিত হচ্ছে। জ্ঞানার্জনে শ্রী শ্রী সরস্বতী দেবীর কৃপা অর্জনের লক্ষ্যেই ভক্তবৃন্দ এ পূজা করে থাকেন। জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত হয়ে দেশের প্রতিটি মানুষ সাম্প্রদায়িকতা, অজ্ঞানতা, কূপমন্ডুকতা থেকে মুক্ত হয়ে একটি কল্যাণকর ও উন্নত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসবে-এটাই সকলের প্রত্যাশা।

বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আবহমান কাল থেকে এ দেশের মানুষ পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।

আমি জ্ঞানালোকের প্রতীক সরস্বতী পূজা উৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।