বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

’গুম হওয়া’ গৃহবধূ ২০ মাস পর নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার

সাতক্ষীরায় গুম-হত্যা অথবা বিদেশে পাচার করা হয়েছে.. এমন অভিযোগে মামলা করার ২০ মাস পর নারায়ণগঞ্জ থেকে শারমিন সুলতানা নামে এক গৃহবধূকে উদ্ধার ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা এক অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে সাতক্ষীরায়। এ বিষয়ে পিবিআই এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে।

শারমিন সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের হামিজউদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, শারমিন সুলতানাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অপহরণ করে হত্যা, গুম অথবা পাচার করেছে উল্লেখ করে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে গত  ২০২০ সালের ২০ জুন তারিখে একটি মামলা করেন তার বাবা হামিজউদ্দিন। এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে সাতক্ষীরা পিবিআইয়ের এসআই হাবিবুর রহমান সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা করেন। তবে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই অপর্না বিশ্বাস শারমিন সুলতানাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হন।

পরে পিবিআইয়ের এসআই মোর্শেদ আলম নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার একটি বাড়ি থেকে শারমিনকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধার করেন ও ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার হওয়া নারী শারমিন সুলতানা আদালতে একটি জবানবন্দি দিয়ে করে জানিয়েছেন, তিনি গুম হননি বা হত্যা অথবা পাচারও হননি। তাকে কৌশল করে সরিয়ে রাখা হয়েছিল।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় শারমিন সুলতানার স্বামী ইটাগাছার হাবিবুর রহমান ও সাতক্ষীরার কুখরালি গ্রামের ফয়জুর রহমানকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

জনপ্রিয়

দেশের উদ্দেশ্যে বাসভবন ছাড়লেন তারেক রহমান

’গুম হওয়া’ গৃহবধূ ২০ মাস পর নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০১:৫১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সাতক্ষীরায় গুম-হত্যা অথবা বিদেশে পাচার করা হয়েছে.. এমন অভিযোগে মামলা করার ২০ মাস পর নারায়ণগঞ্জ থেকে শারমিন সুলতানা নামে এক গৃহবধূকে উদ্ধার ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা এক অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে সাতক্ষীরায়। এ বিষয়ে পিবিআই এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে।

শারমিন সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের হামিজউদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, শারমিন সুলতানাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অপহরণ করে হত্যা, গুম অথবা পাচার করেছে উল্লেখ করে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে গত  ২০২০ সালের ২০ জুন তারিখে একটি মামলা করেন তার বাবা হামিজউদ্দিন। এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে সাতক্ষীরা পিবিআইয়ের এসআই হাবিবুর রহমান সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা করেন। তবে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই অপর্না বিশ্বাস শারমিন সুলতানাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হন।

পরে পিবিআইয়ের এসআই মোর্শেদ আলম নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার একটি বাড়ি থেকে শারমিনকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধার করেন ও ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার হওয়া নারী শারমিন সুলতানা আদালতে একটি জবানবন্দি দিয়ে করে জানিয়েছেন, তিনি গুম হননি বা হত্যা অথবা পাচারও হননি। তাকে কৌশল করে সরিয়ে রাখা হয়েছিল।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় শারমিন সুলতানার স্বামী ইটাগাছার হাবিবুর রহমান ও সাতক্ষীরার কুখরালি গ্রামের ফয়জুর রহমানকে আসামি করে মামলা হয়েছে।