সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাড়া পেলেন খায়রুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় আদালতের নির্দেশে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

সাবেক এ হাই কমিশনারের আইনজীবী জিও চো ইংকে উদ্ধৃত করে মালায়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম বিষয়টি জানিয়েছে। খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিটা রহমান ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদমাধ্যম পুত্রাজায়ায় ইমিগ্রেশন বিভাগের সদরদপ্তর থেকে বুধবার বিকালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

রিটা রহমান বলেন, তাঁ স্বামী তাকে ফোন দিয়ে মুক্তি পাওয়ার খবর দিয়েছেন। খায়রুজ্জামান তাকে বলেছেন, মুক্তির পর তাকে গ্রহণের জন্য ঘটনাস্থলে আইনজীবী রয়েছেন। তিনি বাসায় ফিরতে যাচ্ছেন।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ দেশটিতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে আটক করে। ইমিগ্রেশন আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে ইউএনএইচসিআর এর শরণার্থী কার্ড ব্যবহার করে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

যদিও আটকের পরদিন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাকে ধরতে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ ছিল।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, এম খায়রুজ্জামান যেহেতু রিফিউজি, কাজেই মালয়েশিয়া চাইলে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারবে না।

এ অবস্থায় জেল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এম খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ অবস্থায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এম খায়রুজ্জামানকে ফেরাতে প্রয়োজনে জাতিসংঘকেও বোঝাবো। তাদের ব্যাখ্যা দিলে তারা বুঝবে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর খায়রুজ্জামানকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি সেই নির্দেশ অমান্য করে মালয়েশিয়ায় থেকে যান। বর্তমানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) দেওয়া শরণার্থী মর্যাদায় খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় অবস্থান করেন। শরনার্থী হিসেবে তাকে দেওয়া কার্ডের মেয়াদ আছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।

জনপ্রিয়

এই শীতে গাজরের উপকারিতা

ছাড়া পেলেন খায়রুজ্জামান

প্রকাশের সময় : ০৬:০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় আদালতের নির্দেশে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

সাবেক এ হাই কমিশনারের আইনজীবী জিও চো ইংকে উদ্ধৃত করে মালায়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম বিষয়টি জানিয়েছে। খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিটা রহমান ফ্রি মালয়েশিয়া টুডেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদমাধ্যম পুত্রাজায়ায় ইমিগ্রেশন বিভাগের সদরদপ্তর থেকে বুধবার বিকালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

রিটা রহমান বলেন, তাঁ স্বামী তাকে ফোন দিয়ে মুক্তি পাওয়ার খবর দিয়েছেন। খায়রুজ্জামান তাকে বলেছেন, মুক্তির পর তাকে গ্রহণের জন্য ঘটনাস্থলে আইনজীবী রয়েছেন। তিনি বাসায় ফিরতে যাচ্ছেন।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ দেশটিতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে আটক করে। ইমিগ্রেশন আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে ইউএনএইচসিআর এর শরণার্থী কার্ড ব্যবহার করে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

যদিও আটকের পরদিন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাকে ধরতে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ ছিল।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, এম খায়রুজ্জামান যেহেতু রিফিউজি, কাজেই মালয়েশিয়া চাইলে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারবে না।

এ অবস্থায় জেল হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এম খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ অবস্থায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এম খায়রুজ্জামানকে ফেরাতে প্রয়োজনে জাতিসংঘকেও বোঝাবো। তাদের ব্যাখ্যা দিলে তারা বুঝবে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর খায়রুজ্জামানকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হলে তিনি সেই নির্দেশ অমান্য করে মালয়েশিয়ায় থেকে যান। বর্তমানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) দেওয়া শরণার্থী মর্যাদায় খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় অবস্থান করেন। শরনার্থী হিসেবে তাকে দেওয়া কার্ডের মেয়াদ আছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।