
চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কসপে গাঁজা সেবনে বাঁধা দেয়ায় দলবেঁধে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলার শিকার রেলওয়ের কার্পেন্ডার নাসির উদ্দীন (৩০) এমন অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনায় নগরীর খুলশী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সিআই একরামুল হক জানান, বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়াকসপ কারখানার ভিতরে গাঁজা সেবন কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কারখানাসপে সিগারেটের ভিতরে গাঁজা সেবন করছেন রাজীব দাশ। এসময় তাকে ওয়ার্কসপের ভিতরে গাঁজা সেবন না করে বাহিরে গিয়ে সেবন করার জন্য বললে সে উত্তেজিত হয়ে দলবল নিয়ে নাসিরের উপর হামলা করে।
এসময় নাসিরকে রক্ষা করতে এসে আহত হয় খালাসী জিয়াউর রহমান জুয়েল। তারা দুই জন সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আহত জিয়াউর রহমান জুয়েল বলেন, ‘রাজীব মাদকাসক্ত। তাকে সিগারেট খেতে নিষেধ করায় লোকমান সমর্থিত শাহীনুরের নেতৃত্বে নাসির ও আমার উপর রাজীবসহ শাহীনুরের নেতৃত্বে হামলা হয়।’
সম্প্রতি রেলওয়ে স্টেশন, প্লাটফর্ম এমনকি ট্রেনের কামরাসহ ধূমপান ও তামাকমুক্ত ঘোষণা করা এলাকায় এসব সেবনে শাস্তি দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রেলমন্ত্রী বলেছেন, ‘রেলওয়েতে প্রকাশ্যে বিড়ি সিগারেট খাওয়া নিষেধ। শুধু আইন করে, প্রচারণা বাড়িয়ে এটি বন্ধ করা সম্ভব নয়, যদি তামাকের উৎস বন্ধ করা না যায়। রেল ভ্রমণের শুরুতেই যাত্রীরা যাতে তামাক জাতীয় দ্রব্য নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করতে না পারে তার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। মাঠ পর্যায়ে পরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় এটি কার্যকর করা সম্ভব হবে।’
রেলমন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারির পরও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নানা অনিয়ম করে চলছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কিন্তু এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই দলবেঁধে হামলা করা হচ্ছে।
হামলার শিকার রেলওয়ের কার্পেন্ডার নাসির উদ্দীন খুলশী থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে রাজীব দাশ, শাহিনুর রহমান, তবারক উল্লাহ, মোঃ রিপন, সুজন দাশ, মাহবুবুর রহমান ও জামাল হোসেনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিবাদী করেছেন।
চট্টগ্রাম (মহানগর) প্রতিনিধি 





































