নগরীর গুরুত্বপূর্ণ উদ্যান, খেলার মাঠ, জলাধার ও উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের ডিপিপি তৈরি করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক)। যার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১১১৮ কোটি টাকা।
ফিজিবিলিটি স্টাডি এবং পরিবেশগত প্রতিবেদন পেলেই প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। শতভাগ সরকারি অর্থায়নে চসিক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চায়, প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে জনসাধারণের বিনোদন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ১০টি উদ্যান ও খেলার মাঠ উন্নয়ন, নাগরিক চিত্তবিনোদন সুবিধা সম্বলিত ৫টি জলাধার এবং দিঘির উন্নয়ন। এছাড়া ৯টি উন্মুক্ত স্থান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উন্নয়ন।
এছাড়া ৫০ কিলোমিটার সড়কের পাশের সসার ড্রেনসহ আড়াই মিটার ফুটপাত উন্নয়ন। রোডসমূহ হল, বায়েজিদ সড়ক, জুবলি রোড, নুর আহমদ সড়ক এবং মেহেদীবাগ সড়ক, হাটহাজারী রোড, স্টেশন রোড, আরাকান রোডের বহদ্দারহাট মোড় থেকে খায়ের ঘাট ব্রিজ পর্যন্ত, বিমান বন্দর হতে নেভাল একাডেমি পর্যন্ত সড়কের ভূ-নৈসর্গিক কাজসহ বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জার কাজ। সড়কের উভয় দিকের ফুটপাতে ২০ মিটার পর পর লাইটস্থাপন এবং বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জা,মাঠের মধ্যে রয়েছে আউটার স্টেডিয়াম, সিআরবি, বাটালি পাহাড়, জালালাবাদ পাহাড়, ঠান্ডাছড়ি, আমবাগান শেখ রাসেল পার্ক, পলোগ্রাউন্ড কলোনি মাঠ, হালিশহর বি ব্লক এস ক্লাব মাঠ, হালিশহর এ ব্লক খেলার মাঠ, হালিশহর হাউজিং এস্টেট মাঠ (বিডিআর মাঠ), হালিশহর শিশুপার্ক (আই এবং জে ব্লক), হালিশহর এইচ ব্লক পার্ক মাঠ উন্নয়ন। জলাধারের মধ্যে রয়েছে আগ্রাবাদ ডেবা, জোড় দিঘি/জোড় ডেবা, বহদ্দার বাড়ি মসজিদ দিঘি, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি বাড়ি পুকুর। এছাড়া ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বক্স আলী রোড নয়ারহাট বন্দর এলাকায় চসিকের নিজস্ব জায়গার উন্নয়ন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পোস্তার পাড় হতে দেওয়ানহাট ওভারব্রিজ পর্যন্ত, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফিরোজশাহ মিনারের নিকটবর্তী এলাকার উন্নয়ন, জাম্বুরি পার্কের পাশের জায়গা উন্নয়ন।
বার্তা/এন