রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে ইউপি সদস্য’র বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি বিক্রির অভিযোগ

বালিয়াকান্দিতে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারী খাস জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সাগর মন্ডল তিনি  উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য।
এ বিষয়ে প্রতারিত তিনজন ভুক্তভোগী প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মহারাজপুর গ্রামের চাঁদ আলী মন্ডলের মেয়ে সাবিনা বেগম। তিনি শুকনা মৌজার ১/১ খতিয়ানের ১০১২ নং দাগে ৪০ শতাংশের মধ্যে ৮ শতাংশ জমি ৮ হাজার টাকা করে প্রতি শতাংশ ক্রয় করেন। ৩দফায় ১১ হাজার, ৩৮ হাজার ও ৩৫ হাজার টাকা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রদান করেন। ওই জমি ক্রয় করার পর থেকে বাড়ী নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। কিন্তু অদ্যবদি ওই জমি সাগর মন্ডল রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে ঘোরাতে থাকে। এখন তিনি জানতে পেরেছেন ওই জমি সরকারী ভিপি সম্পত্তি।
একই রকম প্রতারনার শিকার হয়েছেন মহারাজপুর গ্রামের বীনা বেগম। তিনিও সাগর মন্ডলের নিকট থেকে ৮ হাজার টাকা প্রতি শতাংশ মূল্যে দিয়ে ৩শতাংশ ক্রয় করেন। কিন্তু সাগর মন্ডল জমি রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন। ওই একই জমি তিনি বিভিন্ন লোকের নিকট বিক্রি করে জটিলতার সৃষ্টি করেছেন। এরই মধ্যে বীনা ওই জমির মধ্যে ৫ শতাংশ ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ডিসিআর প্রাপ্ত হন। তবে সাগর মেম্বার তার টাকা ফেরত বা জমির দখল বুঝিয়ে দেন নাই।
মহারাজপুর গ্রামের শাপলা খাতুন। তিনিও সাগর মন্ডলের নিকট থেকে ৮ হাজার টাকা প্রতি শতাংশ করে ৭ শতাংশ ক্রয় করেন। টাকা পরিশোধ করলেও তার জমি রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে নানা ভাবে ঘোরাতে থাকেন। এখন জানতে পেরেছেন এ জমি সরকারী ভিপি সম্পত্তি।
এছাড়াও এভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে জমি বিক্রির নামে স্ট্যাম্প করে দিলেও তাদের জমি রেজিষ্ট্রিতো দুরের কথা টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য সাগর মন্ডলের কাছে প্রতারিত হয়ে সাবিনা বেগম, বীনা বেগম, শাপলা খাতুন গত ৭ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সাগর মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সরকারী জমি বিক্রি করিনি, করেছি ব্যক্তিগত জমি। ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছে, তিনি যা করবেন তা মেনে নিবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারঃ) মোঃ হাসিবুল হাসান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জনপ্রিয়

চিকিৎসকরা বললেই লন্ডন নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে: ডা. জাহিদ

বালিয়াকান্দিতে ইউপি সদস্য’র বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
বালিয়াকান্দিতে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারী খাস জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সাগর মন্ডল তিনি  উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য।
এ বিষয়ে প্রতারিত তিনজন ভুক্তভোগী প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মহারাজপুর গ্রামের চাঁদ আলী মন্ডলের মেয়ে সাবিনা বেগম। তিনি শুকনা মৌজার ১/১ খতিয়ানের ১০১২ নং দাগে ৪০ শতাংশের মধ্যে ৮ শতাংশ জমি ৮ হাজার টাকা করে প্রতি শতাংশ ক্রয় করেন। ৩দফায় ১১ হাজার, ৩৮ হাজার ও ৩৫ হাজার টাকা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রদান করেন। ওই জমি ক্রয় করার পর থেকে বাড়ী নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। কিন্তু অদ্যবদি ওই জমি সাগর মন্ডল রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে ঘোরাতে থাকে। এখন তিনি জানতে পেরেছেন ওই জমি সরকারী ভিপি সম্পত্তি।
একই রকম প্রতারনার শিকার হয়েছেন মহারাজপুর গ্রামের বীনা বেগম। তিনিও সাগর মন্ডলের নিকট থেকে ৮ হাজার টাকা প্রতি শতাংশ মূল্যে দিয়ে ৩শতাংশ ক্রয় করেন। কিন্তু সাগর মন্ডল জমি রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন। ওই একই জমি তিনি বিভিন্ন লোকের নিকট বিক্রি করে জটিলতার সৃষ্টি করেছেন। এরই মধ্যে বীনা ওই জমির মধ্যে ৫ শতাংশ ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ডিসিআর প্রাপ্ত হন। তবে সাগর মেম্বার তার টাকা ফেরত বা জমির দখল বুঝিয়ে দেন নাই।
মহারাজপুর গ্রামের শাপলা খাতুন। তিনিও সাগর মন্ডলের নিকট থেকে ৮ হাজার টাকা প্রতি শতাংশ করে ৭ শতাংশ ক্রয় করেন। টাকা পরিশোধ করলেও তার জমি রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে নানা ভাবে ঘোরাতে থাকেন। এখন জানতে পেরেছেন এ জমি সরকারী ভিপি সম্পত্তি।
এছাড়াও এভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে জমি বিক্রির নামে স্ট্যাম্প করে দিলেও তাদের জমি রেজিষ্ট্রিতো দুরের কথা টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য সাগর মন্ডলের কাছে প্রতারিত হয়ে সাবিনা বেগম, বীনা বেগম, শাপলা খাতুন গত ৭ ফেব্রুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সাগর মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সরকারী জমি বিক্রি করিনি, করেছি ব্যক্তিগত জমি। ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছে, তিনি যা করবেন তা মেনে নিবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারঃ) মোঃ হাসিবুল হাসান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।