শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপুরে রাতের আঁধারেও করোনার টিকা নিয়ে পথে পথে ক্যাম্পেইন

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একটি লোকও যেন করোনা টিকা আওতাভুক্ত না থাকে, সেজন্য রাতের আঁধারে করোনার টিকা ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে নিয়ে সোমেশ্বরী নদীতে গিয়ে টিকা প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে সদর ইউনিয়নের তিনআলী ও ফারংপাড়া এলাকায় এ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞ চিকিৎসক আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান, শ্রমজীবী পেশার লোকজন দিনভর কাজ করে। সরকার করোনার প্রথম ডোজ টিকা নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিলেও অনেকেই আমলে নিচ্ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী একটি লোকও যেন করোনা টিকার আওতাভুক্ত না থাকে। সেজন্যে পাড়া-মহল্লায় মাইকিং ও উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের সর্বাত্বক সম্পৃক্ততা নিয়ে গণ প্রচার চালিয়েও অনেককে টিকা নিতে সংশ্লিষ্ট ভ্যাকসিন কেন্দ্রে আসেননি।তাঁদেরকে খোঁজে বের করে টিকার আওতায় আনার একটি প্রয়াস থেকেই রাতের আঁধারে শ্রমিক ভাইদের কাছে গিয়ে ডেকে এনে ৬০জন লোককে টিকা প্রদান করা হয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে শতকরা ৪৩ ভাগ থেকে প্রায় ৬০ভাগে উন্নিত করেছি। দুর্গাপুর উপজেলায় এখন টিকার আওতায় এসেছে ১লাখ ৫৪ হাজার ৭শ ৪৮জন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ ক্যাম্পেইন এর আওতায় ৫১ হাজার ৫শ ৭২জনকে করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন মানুষ হিসেবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বোধ থকে সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করছি। ভিন্ন ধারার মত ও পথের মানুষ চলার পথে থাকবেই। তবে ভালো কাজের সাথে আমার সব সময় মিল খুঁজে পাই। ভালোর সাথে, সুন্দরের সাথে আমার বড় একাত্বতা রয়েছে। আমি জেলা সিভিল সার্জন স্যারের নির্দেশে উপজেলার সকল লোকদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সর্বাত্বক সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।
বার্তা/এন
জনপ্রিয়

চিকিৎসকরা বললেই লন্ডন নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে: ডা. জাহিদ

দুর্গাপুরে রাতের আঁধারেও করোনার টিকা নিয়ে পথে পথে ক্যাম্পেইন

প্রকাশের সময় : ১০:১৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানজিরুল ইসলাম রায়হান ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একটি লোকও যেন করোনা টিকা আওতাভুক্ত না থাকে, সেজন্য রাতের আঁধারে করোনার টিকা ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে নিয়ে সোমেশ্বরী নদীতে গিয়ে টিকা প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে সদর ইউনিয়নের তিনআলী ও ফারংপাড়া এলাকায় এ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞ চিকিৎসক আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান, শ্রমজীবী পেশার লোকজন দিনভর কাজ করে। সরকার করোনার প্রথম ডোজ টিকা নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিলেও অনেকেই আমলে নিচ্ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী একটি লোকও যেন করোনা টিকার আওতাভুক্ত না থাকে। সেজন্যে পাড়া-মহল্লায় মাইকিং ও উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের সর্বাত্বক সম্পৃক্ততা নিয়ে গণ প্রচার চালিয়েও অনেককে টিকা নিতে সংশ্লিষ্ট ভ্যাকসিন কেন্দ্রে আসেননি।তাঁদেরকে খোঁজে বের করে টিকার আওতায় আনার একটি প্রয়াস থেকেই রাতের আঁধারে শ্রমিক ভাইদের কাছে গিয়ে ডেকে এনে ৬০জন লোককে টিকা প্রদান করা হয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে শতকরা ৪৩ ভাগ থেকে প্রায় ৬০ভাগে উন্নিত করেছি। দুর্গাপুর উপজেলায় এখন টিকার আওতায় এসেছে ১লাখ ৫৪ হাজার ৭শ ৪৮জন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ ক্যাম্পেইন এর আওতায় ৫১ হাজার ৫শ ৭২জনকে করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন মানুষ হিসেবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বোধ থকে সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করছি। ভিন্ন ধারার মত ও পথের মানুষ চলার পথে থাকবেই। তবে ভালো কাজের সাথে আমার সব সময় মিল খুঁজে পাই। ভালোর সাথে, সুন্দরের সাথে আমার বড় একাত্বতা রয়েছে। আমি জেলা সিভিল সার্জন স্যারের নির্দেশে উপজেলার সকল লোকদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সর্বাত্বক সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।
বার্তা/এন