
ইউক্রেন ও রাশিয়ার তৃতীয় বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। কিয়েভ, খারকিভসহ একাধিক শহরে তীব্র লড়াই অব্যাহত। তারইমধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে কিয়েভ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে ইউক্রেনের গণমাধ্যমের খবর, জেলেনস্কি কিয়েভ ছেড়ে যেতে চাননি।
এদিকে জাতিসংঘে গতকাল সোমবারও (৭ মার্চ) ইউক্রেন সংকট নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেখানে মার্কিন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, লড়াই দীর্ঘ হবে। সহজে এই সংকট কাটবে না। রাশিয়া তার যোগ্য জবাব পাবে।
এদিকে পোল্যান্ড ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন যেন ওয়ারশতে নেটোর বিমান সরবরাহ করে সেজন্য চাপ দিচ্ছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা।
তবে নিজেদের বিমান ইউক্রেনে দেয়ার বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি পোল্যান্ড।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এটা সার্বভৌম পোল্যান্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়। আর এটা এমন নয় যে, চাইলেই বিমানগুলো সেখানে পাঠিয়ে দেয়া যাবে। এক্ষেত্রে সরঞ্জামগত চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, পোল্যান্ড এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্ষেপিয়ে তুলতে পারে এবং দুই দেশ যুদ্ধেও জড়িয়ে যেতে পারে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক সিনেট কমিটির প্রধান বব মেনেন্দেজ তার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, পোল্যান্ড বিমান সরবরাহ করলে যুক্তরাষ্ট্র যেন মার্কিন বিমান দিয়ে সেই শূন্যতা পূরণ করে দেয়।
বেলারুশের সীমান্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি তৃতীয়বার আলোচনায় বসেছিলেন। ইউক্রেন বলেছিল, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে পরিস্থিতি সামান্য হলেও সদর্থক দিকে ঘুরেছে। কিন্তু এরপরেই দুই দেশে দুইপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত আলোচনা ভেস্তে যায়। তবে অদূর ভবিষ্যতে ফের আলোচনার সম্ভাবনা আছে। দুই দেশই সে রাস্তা খোলা রেখেছে।
সূত্র-ডয়চে ভেলে ও বিবিসি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 







































