
ইউক্রেনে ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার হামলার চলছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের কয়েকটি শহর গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেন শক্তভাবে রুশ হামলা প্রতিহত করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দেশটির সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্টস।
ইউক্রেনের সেনাদের দাবি, গত ১৪ দিনে অন্তত ১২ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ৩৩৫ রুশ ট্যাংক, ১ হাজার ১০৫ সাঁজোয়া গাড়ি, ১২৩ কামান, ২৯ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪৯টি যুদ্ধবিমান, ৮১ হেলিকপ্টার, ২টি জাহাজ, জ্বালানি পরিবহনকারী ট্যাংক ৬০ হাজার ৫২৬টি যানবাহন, ৮১টি হেলিকপ্টার ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়েছে।
ইউক্রেনে আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা অনেক কমে যেতে পারে। তখন দেশটির রাজধানী কিয়েভ অভিমুখী ৪০ মাইল দীর্ঘ রাশিয়ার সামরিক বহরের ট্যাংকে থাকা সেনারা ঠান্ডায় জমে মারা যেতে পারেন। একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বাল্টিক সিকিউরিটি ফাউন্ডেশনের ওই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞের নাম গ্লেন গ্রান্ট।
এই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ বলেন, যদি ইঞ্জিন না চলে, তাহলে সামরিক বহরে থাকা ট্যাংকগুলো রুশ বাহিনীর জন্য বড় বড় রেফ্রিজারেটরে পরিণত হবে। গ্লেন গ্রান্ট আরও বলেন, ঠান্ডায় জমে মৃত্যু এড়াতে রুশ সেনারা ট্যাংক থেকে বেরিয়ে পড়তে পারেন। তারা হাঁটতে শুরু করতে পারেন।
একই ধরনের আশঙ্কার কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সেনা কর্মকর্তা কেভিন প্রাইস। তার ভাষ্য, তাপমাত্রা নিচে নেমে গেলে রাশিয়ার ট্যাংকগুলো ৪০ টন ফ্রিজারে পরিণত হবে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, রুশ সেনারা কিয়েভে সর্বাত্মক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রুশ বাহিনী কিয়েভে হামলার জন্য প্রয়োজনীয় যুদ্ধ সরঞ্জাম জড়ো করছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনে রুশ হামলায় শিশুসহ কয়েকশ বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ।
এদিকে যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে আজই তুরস্কের আন্তালিয়া শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 







































