
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেয়ালা নলতা জেলেপল্লীর অদম্য তরুণী মারুফা খাতুন। এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। কিন্তু আর্থিক সংকটে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার।
মৎস্যজীবী মো. আজিত বিশ্বাস ও গৃহিণী তাছলিমা বেগমের তিন সন্তানের মধ্যে বড় মারুফা খাতুন। শহীদ আলী আহম্মদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পান। তালা মহিলা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে একই ফল অর্জন করেন মারুফা। এমবিবিএস ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৪ স্কোর নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তিনি।
মারুফার বাবা আজিত বিশ্বাস বলেন, নদীতে মাছ ধরে পাঁচ সদস্যের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। মেয়ের পড়াশোনার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হয়। এ মুহূর্তে মারুফার ভর্তি খরচ, বই-খাতাসহ সাতক্ষীরায় স্থানান্তরের জন্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এত টাকা কীভাবে জোগাড় করবো জানি না।
মারুফা খাতুনের মা তাসলিমা বেগম বলেন, আমার মেয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। শুনেছি ডাক্তারি পড়তে অনেক টাকা লাগে। মেয়েটা ভর্তি হতে পারবে কি না জানি না। তবে অনেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
মেডিকেলে চান্সপ্রাপ্ত মারুফা খাতুন বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি। ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে ছিল। ভর্তির রেজাল্টে নাম এসেছে। কিন্তু আমাকে মেডিকেলে পড়ানোর মতো আর্থিক সচ্ছলতা নেই আমার পরিবারের।
তালা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় তালা মহিলা কলেজের কৃতি ছাত্রী মারুফা খাতুন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ হয়েছে। তবে মারুফার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। কিন্তু মেয়েটা খুব মেধাবী। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি অন্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আতাউর রহমান, সাতক্ষীরা ব্যুরো 







































