শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি এখন দিশেহারা পথিক: কাদের

ছবি-সংগৃহীত

এককভাবে আন্দোলন করার সক্ষমতা হারিয়ে বিএনপি এখন অন্যদের দলে টানার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এ দেশের কোনও প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি’র এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বুধবার (২০ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনও সংকটে নেই। বিএনপিই এখন গভীর সংকটে আছে। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন দিশেহারা পথিক।

নেতৃত্ব সংকটে ভুগতে থাকা বিএনপির সামনে এখন শুধুই মরীচিকা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতারা এখন দিনের আলোতেই অমাবশ্যার অন্ধকার দেখে, কারণ তাদের চেয়ারপারসন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

সরকার নাকি তারেক রহমানকে নির্বাসনে রেখেছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সরকার তারেক রহমানকে নির্বাসনে রাখেনি, বরং সে নিজেই রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে।’

বিএনপিকে হাতের তালু দিয়ে আকাশ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা না করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ অবিরাম মিথ্যাচার শুনতে শুনতে এখন আপনাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত নির্বাচনের আগেও বিএনপির ঐক্যের কিম্ভুতকিমাকার চেহারা দেশের মানুষ দেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘ঐক্যের নামে বিএনপি ও তার শরিকদের মধ্যে লেজেগোবরে অবস্থা দেশের মানুষের স্মৃতি থেকে এখনই মুছে যাওয়ার কথা নয়। একঘরে হয়ে বিএনপি আসলে এখন হতাশাগ্রস্ত।’

বিবেকবান, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ও গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক কোনও নেতৃত্ব ‘গণতন্ত্রের হন্তারক বিএনপির নেতৃত্বাধীন উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে’ সমর্থন করবে না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘এ বিষয়টি বোঝার সক্ষমতাও তারা হারিয়েছে। কিন্তু বিএনপি না বুঝলেও জনগণ ঠিকই বোঝে।

তিনি বলেন, ‘নিজ দলের মধ্যেই যাদের ঐক্য নেই, তারা আবার অন্যদের নিয়ে ঐক্য করবে কীভাবে? বিএনপি ও তার সমমানদের মধ্যে ঐক্যের চেয়ে বরং দূরত্বই বেশি দৃশ্যমান।’

ওবায়দুল কাদের আবারও পরিষ্কারভাবে বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এ নিয়ে সংশয়ের কোনও অবকাশ নেই।’

ওবায়দুল কাদের সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ‘বরং বিএনপি নির্বাচন দাবি করলেও নির্বাচনের মাঠ থেকে শেষ পর্যন্ত সরে যায় কিনা তা নিয়ে দেশের মানুষ শঙ্কায় আছেন। কারণ বিএনপি নির্বাচন ও জনগণকে ভয় পায়, তাই তারা গণরায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।

জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলের শাড়ি পরে বড়দিন উদযাপন করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার

বিএনপি এখন দিশেহারা পথিক: কাদের

প্রকাশের সময় : ০৩:২০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২

এককভাবে আন্দোলন করার সক্ষমতা হারিয়ে বিএনপি এখন অন্যদের দলে টানার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এ দেশের কোনও প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন বিএনপি’র এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বুধবার (২০ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনও সংকটে নেই। বিএনপিই এখন গভীর সংকটে আছে। আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন দিশেহারা পথিক।

নেতৃত্ব সংকটে ভুগতে থাকা বিএনপির সামনে এখন শুধুই মরীচিকা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতারা এখন দিনের আলোতেই অমাবশ্যার অন্ধকার দেখে, কারণ তাদের চেয়ারপারসন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।

সরকার নাকি তারেক রহমানকে নির্বাসনে রেখেছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সরকার তারেক রহমানকে নির্বাসনে রাখেনি, বরং সে নিজেই রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে।’

বিএনপিকে হাতের তালু দিয়ে আকাশ ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা না করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ অবিরাম মিথ্যাচার শুনতে শুনতে এখন আপনাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত নির্বাচনের আগেও বিএনপির ঐক্যের কিম্ভুতকিমাকার চেহারা দেশের মানুষ দেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘ঐক্যের নামে বিএনপি ও তার শরিকদের মধ্যে লেজেগোবরে অবস্থা দেশের মানুষের স্মৃতি থেকে এখনই মুছে যাওয়ার কথা নয়। একঘরে হয়ে বিএনপি আসলে এখন হতাশাগ্রস্ত।’

বিবেকবান, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন ও গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক কোনও নেতৃত্ব ‘গণতন্ত্রের হন্তারক বিএনপির নেতৃত্বাধীন উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে’ সমর্থন করবে না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘এ বিষয়টি বোঝার সক্ষমতাও তারা হারিয়েছে। কিন্তু বিএনপি না বুঝলেও জনগণ ঠিকই বোঝে।

তিনি বলেন, ‘নিজ দলের মধ্যেই যাদের ঐক্য নেই, তারা আবার অন্যদের নিয়ে ঐক্য করবে কীভাবে? বিএনপি ও তার সমমানদের মধ্যে ঐক্যের চেয়ে বরং দূরত্বই বেশি দৃশ্যমান।’

ওবায়দুল কাদের আবারও পরিষ্কারভাবে বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এ নিয়ে সংশয়ের কোনও অবকাশ নেই।’

ওবায়দুল কাদের সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ‘বরং বিএনপি নির্বাচন দাবি করলেও নির্বাচনের মাঠ থেকে শেষ পর্যন্ত সরে যায় কিনা তা নিয়ে দেশের মানুষ শঙ্কায় আছেন। কারণ বিএনপি নির্বাচন ও জনগণকে ভয় পায়, তাই তারা গণরায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।