সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরণখোলায় লোকালয়ে আবারো বাঘ, আতঙ্কে গ্রামবাসীর ঘুম হারাম

শরণখোলায় লোকালয়ে আবারো বাঘ আতংকে গ্রামবাসী সারারাত নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ৫ মে ) দিবাগত রাতে সুন্দরবন থেকে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার (বাঘ) উপজেলার খেজুরবাড়ীয়া গ্রামে চলে আসে। মসজিদ থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়।
শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের খেজুরবাড়ীয়া ওয়ার্ড মেম্বার আবুল হোসেন খান জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ও তার পুত্র শাহিন খেজুরবাড়ীয়া গ্রামে তার মৎস্য খামার পাহারায় গেলে মৎস্য খামারের পাশে টর্চ লাইটের আলোয় খোলা মাঠে একটি বাঘকে শুইয়ে থাকতে দেখেন। তারা ডাক চিৎকার শুরু করায় এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। এসময় বাঘটি পাশেই একটি ছোটনালা খাল লাফিয়ে সুন্দরবনের দিকে দৌড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে সুন্দরবনের দুরত্ব দুই কিলোমিটারেরও বেশী বলে ঐ মেম্বার জানান। খেজুরবাড়ীয়া গ্রামের এনামুল হক খান বাঘ আতংকে নির্ঘুম রাত কাটানোর কথা জানিয়ে বলেন, এলাকার মসজিদগুলো থেকে গ্রামে বাঘ ঢোকার খবর মাইকিং করে জানিয়ে মানুষজনকে সাবধানে থাকতে বলা হয়।
ধানসাগর এলাকার গ্রাম পুলিশ তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ধারনা করা হচ্ছে বাঘটি পূর্ব সুন্দরবনের ধানসাগর ষ্টেশনের টগড়াবাড়ী এলাকার বন থেকে লোকালয়ে প্রবেশ করে থাকতে পারে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাদঁপাই রেঞ্জের ধানসাগর ফরেষ্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা আব্দুস সবুর বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে বনরক্ষী, সিপিজি ও ভিটিআরটি সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামাবাসীদের কাছ থেকে বাঘ আসার খবর পেয়ে তাদেরকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বনরক্ষীরা বাঘটিকে তল্লাশীর কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে ঐ বন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

 

জনপ্রিয়

মরহুম মোসলেম উদ্দিন মাস্টারের স্মরণে বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল

শরণখোলায় লোকালয়ে আবারো বাঘ, আতঙ্কে গ্রামবাসীর ঘুম হারাম

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৭:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২

শরণখোলায় লোকালয়ে আবারো বাঘ আতংকে গ্রামবাসী সারারাত নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ৫ মে ) দিবাগত রাতে সুন্দরবন থেকে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার (বাঘ) উপজেলার খেজুরবাড়ীয়া গ্রামে চলে আসে। মসজিদ থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়।
শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের খেজুরবাড়ীয়া ওয়ার্ড মেম্বার আবুল হোসেন খান জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ও তার পুত্র শাহিন খেজুরবাড়ীয়া গ্রামে তার মৎস্য খামার পাহারায় গেলে মৎস্য খামারের পাশে টর্চ লাইটের আলোয় খোলা মাঠে একটি বাঘকে শুইয়ে থাকতে দেখেন। তারা ডাক চিৎকার শুরু করায় এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। এসময় বাঘটি পাশেই একটি ছোটনালা খাল লাফিয়ে সুন্দরবনের দিকে দৌড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে সুন্দরবনের দুরত্ব দুই কিলোমিটারেরও বেশী বলে ঐ মেম্বার জানান। খেজুরবাড়ীয়া গ্রামের এনামুল হক খান বাঘ আতংকে নির্ঘুম রাত কাটানোর কথা জানিয়ে বলেন, এলাকার মসজিদগুলো থেকে গ্রামে বাঘ ঢোকার খবর মাইকিং করে জানিয়ে মানুষজনকে সাবধানে থাকতে বলা হয়।
ধানসাগর এলাকার গ্রাম পুলিশ তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ধারনা করা হচ্ছে বাঘটি পূর্ব সুন্দরবনের ধানসাগর ষ্টেশনের টগড়াবাড়ী এলাকার বন থেকে লোকালয়ে প্রবেশ করে থাকতে পারে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাদঁপাই রেঞ্জের ধানসাগর ফরেষ্ট ষ্টেশন কর্মকর্তা আব্দুস সবুর বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে বনরক্ষী, সিপিজি ও ভিটিআরটি সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামাবাসীদের কাছ থেকে বাঘ আসার খবর পেয়ে তাদেরকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বনরক্ষীরা বাঘটিকে তল্লাশীর কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে ঐ বন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।