বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণাধীন বেড়ীবাঁধে ফাটল

শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণাধীন বেরীবাঁধের কাজ শেষ হওয়ার আগেই উপজেলার গাবতলায় বলেশ্বর তীরে বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। তিন বছর মেয়াদী বাধঁ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ছয় বছরে গড়িয়েছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ সাউথখালী (গাবতলা) ওয়ার্ডের মেম্বার জাকির হোসেন হাওলাদার জানান, বুধবার বিকেলে হঠাৎ করে বলেশ্বর নদীর তীরে নির্মিত নতুন ওয়াপদা ভেড়ী বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় ২০/২৫ ফুট জায়গা জুড়ে বাঁধে ফাটল ধরায় এলাকাবাসীর মাঝে আতংক দেখা ছড়িয়েছে। বাধ নির্মাণে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে মাটির বদলে বাঁধে বেশিরভাগ বালি ব্যবহার করা হয়েছে এবং নদী শাসন না করায় বাঁধে ফাটল দেখা দেয় বলে ঐ মেম্বার জানিয়েছেন। গাবতলা গ্রামবাসী দুলাল হাং , খালেক হাওলাদার, আসাদ হাওলাদার, আসাদুল খান, হাফেজ কাজী ও তরিকুল ইসলামসহ অনেক গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, বেরিবাঁধ নির্মাণে ব্যপক দূর্ণীতি করায় বাঁধ মজবুত হয়নি তাছাড়া নদী শাসন না হওয়ায় শত শত কোটি টাকার বেরিবাঁধ মানুষের কাজে আসবেনা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সাড়ে তিনশত কোটি টাকা ব্যায়ে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জের ৩৫/১ পোল্ডারে ৬২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য টেকসই ভেড়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ ২০১৫ সালের জানুয়ারী মাসে শুরু হয়। তিন বছরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়ানো হয়েছে। চীনের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেরিবাঁধ নির্মাণের কাজ করছে।

সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, গাবতলাসহ বাঁেধর বিভিন্ন পয়েন্টে মাঝে মাঝে ফাটল ও দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বলেশ্বর নদী শাসন ছাড়াই পানি উন্নয়ন বোর্ডের শত কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মীত বেরিবাঁধ পানিতে বিলীন হয়ে যাবে বলে চেয়ারম্যান আশংকা ব্যক্ত করেছেন।।
উপকূলীয় বেরিবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের (সি.আই পি) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, শরণখোলার গাবতলায় বেরিবাধেঁ ফাটল দেখা দেওয়ায় বাঁধ মেরামতে লোক পাঠানো হয়েছে। করোনাসহ নানা জটিলতায় তিন বছর মেয়াদী ভেড়ী বাঁধের কাজের মেয়াদ দুইদফা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩০ জুন বেরিবাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে ঐ নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন।

জনপ্রিয়

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণাধীন বেড়ীবাঁধে ফাটল

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণাধীন বেরীবাঁধের কাজ শেষ হওয়ার আগেই উপজেলার গাবতলায় বলেশ্বর তীরে বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। তিন বছর মেয়াদী বাধঁ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ছয় বছরে গড়িয়েছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ সাউথখালী (গাবতলা) ওয়ার্ডের মেম্বার জাকির হোসেন হাওলাদার জানান, বুধবার বিকেলে হঠাৎ করে বলেশ্বর নদীর তীরে নির্মিত নতুন ওয়াপদা ভেড়ী বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রায় ২০/২৫ ফুট জায়গা জুড়ে বাঁধে ফাটল ধরায় এলাকাবাসীর মাঝে আতংক দেখা ছড়িয়েছে। বাধ নির্মাণে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে মাটির বদলে বাঁধে বেশিরভাগ বালি ব্যবহার করা হয়েছে এবং নদী শাসন না করায় বাঁধে ফাটল দেখা দেয় বলে ঐ মেম্বার জানিয়েছেন। গাবতলা গ্রামবাসী দুলাল হাং , খালেক হাওলাদার, আসাদ হাওলাদার, আসাদুল খান, হাফেজ কাজী ও তরিকুল ইসলামসহ অনেক গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, বেরিবাঁধ নির্মাণে ব্যপক দূর্ণীতি করায় বাঁধ মজবুত হয়নি তাছাড়া নদী শাসন না হওয়ায় শত শত কোটি টাকার বেরিবাঁধ মানুষের কাজে আসবেনা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে সাড়ে তিনশত কোটি টাকা ব্যায়ে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জের ৩৫/১ পোল্ডারে ৬২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য টেকসই ভেড়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ ২০১৫ সালের জানুয়ারী মাসে শুরু হয়। তিন বছরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়ানো হয়েছে। চীনের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেরিবাঁধ নির্মাণের কাজ করছে।

সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, গাবতলাসহ বাঁেধর বিভিন্ন পয়েন্টে মাঝে মাঝে ফাটল ও দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বলেশ্বর নদী শাসন ছাড়াই পানি উন্নয়ন বোর্ডের শত কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মীত বেরিবাঁধ পানিতে বিলীন হয়ে যাবে বলে চেয়ারম্যান আশংকা ব্যক্ত করেছেন।।
উপকূলীয় বেরিবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের (সি.আই পি) খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, শরণখোলার গাবতলায় বেরিবাধেঁ ফাটল দেখা দেওয়ায় বাঁধ মেরামতে লোক পাঠানো হয়েছে। করোনাসহ নানা জটিলতায় তিন বছর মেয়াদী ভেড়ী বাঁধের কাজের মেয়াদ দুইদফা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩০ জুন বেরিবাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে ঐ নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন।