বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেধাবী ছাত্র আকাশের পাশে মানবিক পুলিশ

আমি লেখাপড়া করতে চাই কিন্তু আমার বাবা আমাকে লেখাপড়া করতে দিতে চায় না। এমনই এক মৌখিক অভিযোগ নিয়ে থানায় হাজির ১৪ বছর বয়সের ছোট্ট আকাশ।
আকাশ আমিনপুর থানার টাংবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
আজ শুক্রবার (১৩ মে) সকাল ৯ টার দিকে থানায় এসে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে বলে আমি কাশিনাথপুর আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করি  কিন্তু আমার বাবা আমাকে লেখাপড়া করাবে না আমাকে কাজ করতে  বলে। আমি লেখাপড়া করলে বাবা আমাকে  মারধর করে।
আকাশের এমনই মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমিনপুর থানার এসআই শাহীন জরুরী ডিউটিতে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি  জানতে তার বাড়িতে যান। আশেপাশের লোকজনের কাছে জানতে পারেন আকাশ অত্যন্ত মেধাবী এবং পড়াশোনা করার খুবই  ইচ্ছা। এদিকে আকাশের বাবা বলেন, আমি গরীব মানুষ স্যার অভাব অনটনে থাকি, সপ্তাহে কিস্তি পরিশোধ করতে হয় অনেক সমস্যা আমার। আকাশের লেখাপড়া করানোর মতো সামর্থ্য আমার নাই। তাই ওকে কাজ করতে বলি।
কিন্তু, আকাশ পড়ালেখা করে বড় হতে চায়, অনেক বুঝানোর পর আকাশের বাবা মা  তাকে লেখাপড়া করাতে রাজি হয়, পরে আকাশের হাতে কিছু টাকা  দেয় এস আই শাহীন  এবং তার লেখাপড়ার বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া সহ আকাশ যাতে এ বছরের জেএসসি পরীক্ষা ভালোভাবে দিতে পারে সে জন্য পরীক্ষার সময় আকাশকে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
উপস্থিতি সকলেই খুব খুশি হয় এবং আকাশকে ভালোভাবে লেখাপড়া করার উৎসাহ প্রদান করেন সবাই।
জনপ্রিয়

দেশের উদ্দেশ্যে বাসভবন ছাড়লেন তারেক রহমান

মেধাবী ছাত্র আকাশের পাশে মানবিক পুলিশ

প্রকাশের সময় : ০৭:১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মে ২০২২
আমি লেখাপড়া করতে চাই কিন্তু আমার বাবা আমাকে লেখাপড়া করতে দিতে চায় না। এমনই এক মৌখিক অভিযোগ নিয়ে থানায় হাজির ১৪ বছর বয়সের ছোট্ট আকাশ।
আকাশ আমিনপুর থানার টাংবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
আজ শুক্রবার (১৩ মে) সকাল ৯ টার দিকে থানায় এসে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে বলে আমি কাশিনাথপুর আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করি  কিন্তু আমার বাবা আমাকে লেখাপড়া করাবে না আমাকে কাজ করতে  বলে। আমি লেখাপড়া করলে বাবা আমাকে  মারধর করে।
আকাশের এমনই মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমিনপুর থানার এসআই শাহীন জরুরী ডিউটিতে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি  জানতে তার বাড়িতে যান। আশেপাশের লোকজনের কাছে জানতে পারেন আকাশ অত্যন্ত মেধাবী এবং পড়াশোনা করার খুবই  ইচ্ছা। এদিকে আকাশের বাবা বলেন, আমি গরীব মানুষ স্যার অভাব অনটনে থাকি, সপ্তাহে কিস্তি পরিশোধ করতে হয় অনেক সমস্যা আমার। আকাশের লেখাপড়া করানোর মতো সামর্থ্য আমার নাই। তাই ওকে কাজ করতে বলি।
কিন্তু, আকাশ পড়ালেখা করে বড় হতে চায়, অনেক বুঝানোর পর আকাশের বাবা মা  তাকে লেখাপড়া করাতে রাজি হয়, পরে আকাশের হাতে কিছু টাকা  দেয় এস আই শাহীন  এবং তার লেখাপড়ার বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া সহ আকাশ যাতে এ বছরের জেএসসি পরীক্ষা ভালোভাবে দিতে পারে সে জন্য পরীক্ষার সময় আকাশকে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
উপস্থিতি সকলেই খুব খুশি হয় এবং আকাশকে ভালোভাবে লেখাপড়া করার উৎসাহ প্রদান করেন সবাই।