মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী হত্যার দায়ে এক যুগ পরে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায়  স্ত্রীকে হত্যার  দায়ে৷ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন একই সঙ্গে আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন।আসামির নাম মো. নুরুজ্জামান (৫০)। তিনি উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের শালামারা গ্রামের মো. আনছার আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার কালে   তাকে  আদালতে উপস্থিত করা হয় এবং কান্নায় ভেঙে পরেন। পর তাঁকে আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১ যুগ  আগে উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের শালামারা গ্রামের নুরজ্জামানের সঙ্গে একই গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে রহিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান আছে।  পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নুরজ্জামান ও রহিমার মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত।এই কলহের জেরে নুরুজ্জামান রহিমা বেগমকে হত্যা করে  জমির পানির নালায় লুকিয়ে রাখেন। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর নালা থেকে রহিমা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ১৩ ডিসেম্বর রহিমা বেগমের বাবা সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় হত্যা মামলা করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আকমল হোসেন আহমেদ বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল বিকেলে আদালত নুরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।  আসামি পক্ষের আইনজীবী জানান আইন অনুযায়ী  রায়ের বিরুদ্ধে আপিল উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

জনপ্রিয়

মরহুম মোসলেম উদ্দিন মাস্টারের স্মরণে বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল

স্ত্রী হত্যার দায়ে এক যুগ পরে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৬:১৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুন ২০২২

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায়  স্ত্রীকে হত্যার  দায়ে৷ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন একই সঙ্গে আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন।আসামির নাম মো. নুরুজ্জামান (৫০)। তিনি উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের শালামারা গ্রামের মো. আনছার আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার কালে   তাকে  আদালতে উপস্থিত করা হয় এবং কান্নায় ভেঙে পরেন। পর তাঁকে আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১ যুগ  আগে উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের শালামারা গ্রামের নুরজ্জামানের সঙ্গে একই গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে রহিমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান আছে।  পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নুরজ্জামান ও রহিমার মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত।এই কলহের জেরে নুরুজ্জামান রহিমা বেগমকে হত্যা করে  জমির পানির নালায় লুকিয়ে রাখেন। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর নালা থেকে রহিমা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ১৩ ডিসেম্বর রহিমা বেগমের বাবা সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় হত্যা মামলা করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আকমল হোসেন আহমেদ বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল বিকেলে আদালত নুরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।  আসামি পক্ষের আইনজীবী জানান আইন অনুযায়ী  রায়ের বিরুদ্ধে আপিল উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।