
নরসিংদী জেলার মাধবদীতে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে তিন নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ জুন) বিকেলে মাধবদীর নুরালাপুর এলাকায় গদাইচর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় বাসাইল এলাকার মৃত এরশাদ মিয়ার ছেলে স্যানিটারি মিস্ত্রি জাহিদ মিয়া (৩২), উত্তর সাটিরপাড়া এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে রং মিস্ত্রি বায়েজিদ (২২) এবং মাধবদীর গদাইরচর এলাকার কাউছার মিয়ার ছেলে আনিছ মিয়ার (১৬) মৃত্যু হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বিকেলে গদাইরচর আফিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার নবনির্মিত চারতলা ভবনের পূর্ব পাশের দেয়ালে দড়ি বেঁধে মিস্ত্রিরা রং করছিলেন। এ সময় একটি যন্ত্র মাদরাসার সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। পরে স্যানিটারি মিস্ত্রী জাহিদ তা তুলতে বাঁশ দিয়ে ট্যাংকের ভেতরে নামেন। তিনি সেখানে নেমে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করেন। পরে তাকে উদ্ধার করতে বায়েজিদ ট্যাংকে নামলে তারও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে তাদের উদ্ধার করতে আনিছ ভেতরে নামলে তিনিও আর উঠে আসেনি। পরে মাধবদী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে তারা ট্যাংক থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে জাহিদ ও বায়েজিদকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আর আনিসকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সুলতান মিয়া বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করি। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দু’জন ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই মারা যান। আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে তিনিও মারা যান। মূলত বিষাক্ত গ্যাসের কারণে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে তাদের মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুজ্জামান বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
ডেস্ক রিপোর্ট 







































