শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোংলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে বদলে যাচ্ছে আশ্রয়হীনদের জীবন

পল্লী কবি জসীম উদদীনের সেই বিখ্যাত উক্তি ‘আসমানী রে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,রহিমুদ্দীর ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি,একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি’।কবির সেই আসমানীরা এখন নিজের ঠিকানা পেয়ে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবন-মানের এই পরিবর্তন শুরু হয়েছে মোংলায়।
সরেজমিনে মোংলা উপজেলার মাকোরঢোন ও নারিকেলতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেখা গেছে,সময়ের সাথে এখন বদলেছে ছিন্নমূল মানুষের যাপিত জীবন।কবির ওই ভেন্না পাতার ছাউনি থেকে তারা এখন বসবাস করছে রঙিন টিন আর পাকা দেয়ালের আধাপাকা বাড়িতে। সেই বাড়িতেই করছেন শাক-সবজির আবাদ।কেউবা করছে হাঁস মুরগি-ছাগল-গরু পালন। সন্তানদের পাঠাচ্ছে স্কুলে।বসতির দুশ্চিন্তা ছেড়ে নিশ্চিন্ত মনে কাজ করে এগিয়ে নিচ্ছে সংসার। সংসারে এসেছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা।বসবাসের জন্য সরকারের দেওয়া এই সুবিধাটি পেয়ে খুশি আশ্রয়হীন মানুষগুলো।আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা গঠন করেছে সমবায় সমিতি।জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত তদারকিতে ক্রমেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়নের নানা দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া আকলিমা,জাফর হাওলাদার, শুকুরসহ আরো অনেকেই জানান, কিছু দিন আগেও ভাবিনি নিজের ভালো একটা ঠিকানা হবে।এখন সেটি হয়েছে,বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারছি।নিজের হাঁস-মুরগি পালনসহ নানা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি- সত্যিই এটা স্বপ্নের।এমনটি হবে ভাবিনি,সৃষ্টিকর্তার কাছে হাসিনার জন্য দোয়া করি।আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মিলন জানান,  প্রশাসন এতো বার আমাদের খবর নিবে আমরা ভাবতেও পারেনি।আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম বলেন,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হতদরিদ্র যাদের বসবাসের কোন ঠিকানা ছিল না, তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন।এটা সত্যিই বিস্ময়কর। ওই মানুষগুলো তাদের ভাগ্যে চাকা নতুনভাবে ঘুরাতে শুরু করেছে।মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা তাদের জীবন মান উন্নয়নে নিজেরাই এগিয়ে এসেছে,আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করছি।এই প্রকল্প পৃথিবীতে একটি রোল মডেল।কারণ এভাবে কোন দেশে আশ্রয়হীনদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপত ছাদ তৈরি করা হয়নি।ভুমিহীনদের পূর্নবাসন করা প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন।সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমাদের সবার পবিত্র দায়িত্ব আশ্রয়ণে বসবাসরত ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রীর মেহমান।এই মেহমানদের পাশে আছে সংসদ সদস্যসহ আমরা।
তিনি আরো বলেন,স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যোগ্যদের চিহ্নিত করে ঘর দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলের শাড়ি পরে বড়দিন উদযাপন করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার

মোংলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে বদলে যাচ্ছে আশ্রয়হীনদের জীবন

প্রকাশের সময় : ০১:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
পল্লী কবি জসীম উদদীনের সেই বিখ্যাত উক্তি ‘আসমানী রে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,রহিমুদ্দীর ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি,একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি’।কবির সেই আসমানীরা এখন নিজের ঠিকানা পেয়ে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবন-মানের এই পরিবর্তন শুরু হয়েছে মোংলায়।
সরেজমিনে মোংলা উপজেলার মাকোরঢোন ও নারিকেলতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেখা গেছে,সময়ের সাথে এখন বদলেছে ছিন্নমূল মানুষের যাপিত জীবন।কবির ওই ভেন্না পাতার ছাউনি থেকে তারা এখন বসবাস করছে রঙিন টিন আর পাকা দেয়ালের আধাপাকা বাড়িতে। সেই বাড়িতেই করছেন শাক-সবজির আবাদ।কেউবা করছে হাঁস মুরগি-ছাগল-গরু পালন। সন্তানদের পাঠাচ্ছে স্কুলে।বসতির দুশ্চিন্তা ছেড়ে নিশ্চিন্ত মনে কাজ করে এগিয়ে নিচ্ছে সংসার। সংসারে এসেছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা।বসবাসের জন্য সরকারের দেওয়া এই সুবিধাটি পেয়ে খুশি আশ্রয়হীন মানুষগুলো।আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা গঠন করেছে সমবায় সমিতি।জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত তদারকিতে ক্রমেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়নের নানা দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া আকলিমা,জাফর হাওলাদার, শুকুরসহ আরো অনেকেই জানান, কিছু দিন আগেও ভাবিনি নিজের ভালো একটা ঠিকানা হবে।এখন সেটি হয়েছে,বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারছি।নিজের হাঁস-মুরগি পালনসহ নানা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি- সত্যিই এটা স্বপ্নের।এমনটি হবে ভাবিনি,সৃষ্টিকর্তার কাছে হাসিনার জন্য দোয়া করি।আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মিলন জানান,  প্রশাসন এতো বার আমাদের খবর নিবে আমরা ভাবতেও পারেনি।আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তারিকুল ইসলাম বলেন,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে হতদরিদ্র যাদের বসবাসের কোন ঠিকানা ছিল না, তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন।এটা সত্যিই বিস্ময়কর। ওই মানুষগুলো তাদের ভাগ্যে চাকা নতুনভাবে ঘুরাতে শুরু করেছে।মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা তাদের জীবন মান উন্নয়নে নিজেরাই এগিয়ে এসেছে,আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করছি।এই প্রকল্প পৃথিবীতে একটি রোল মডেল।কারণ এভাবে কোন দেশে আশ্রয়হীনদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপত ছাদ তৈরি করা হয়নি।ভুমিহীনদের পূর্নবাসন করা প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন।সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমাদের সবার পবিত্র দায়িত্ব আশ্রয়ণে বসবাসরত ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রীর মেহমান।এই মেহমানদের পাশে আছে সংসদ সদস্যসহ আমরা।
তিনি আরো বলেন,স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যোগ্যদের চিহ্নিত করে ঘর দেওয়া হয়েছে।