
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় পান্না আক্তার (১৮) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে শিমুহা নিহারদী গ্রামে স্বামীর বসতঘরে কার্নিশে ওরনা পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনাটিকে স্বামীর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বললেও পান্না’র স্বজনদের দাবি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
স্বজনরা জানান, নববধূ পান্না আক্তার জেলার নিকলী উপজেলার ধারিশ্বর গ্রামের আবু বাক্কারের মেয়ে। গত দুই মাস আগে শিমুহা গ্রামের হেকিম চৌকিদারের ছেলে মারফত আলী মারুফের (২৪) সাথে পান্না’র বিয়ে হয়।
স্বজনরা আরোও জানান, বিয়ের সময় মারুফকে মোটা অংকের যৌতুক দেয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর মারুফ আরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ হতো। টাকার জন্য নববধূ পান্নাকে নির্যাতনও করতেন স্বামী মারুফ। আজ শুক্রবার সকালে স্বামীর বসতঘরের কার্নিশে ওরনা পেচানো ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পান্না’র মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এদিকে, ঘটনায় পর থেকে মারুফ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাত হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় নববধূ পান্না’র পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় - কিশোরগঞ্জ 







































