
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় অভাবী সাবিনা দম্পতির নিজস্ব কোনো বসতভিটে বাড়ী নেই৷ একটি ভালো ঘর দেওয়ার মতো টাকাও নেই ৷ প্রায় এক বছর ধরে পাকা সড়কের ধারে সরকারী জায়গায় ঝুপড়ি ঘর তুলে সাবিনা দম্পতি বসবাস করছেন ৷ এ দম্পতির সাথে আরো বসবাস করছেন তিন জেনারেশন সাবিনার বৃদ্ধা মাতা মিষ্ট খাতুন আর বিয়ে দেওয়া মেয়ে রোজিনার পরিবার ৷ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বসতঘর পেলে খুশী হবেন এ দম্পতি ৷ অনেক বছর ধরে জরাজীর্ণ বসতঘরে এই পরিবারটি মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছেন।
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের চৌবিলা গ্রামে আগে সপরিবারে সাবিনার পিতা রাহাত শেখের বসবাস ছিলো ৷ নিজস্ব বসতভিটে না থাকায় গ্রামের একজনের ভিটেবাড়ীতে ঘর তুলে বসবাস করতো বলে জানানো হয় ৷ প্রায় দশ বছর আগে রাহাত শেখ মারা গেছেন ৷ এদিকে উপজেলার বিনায়েকপুর গ্রামের রজব আলীর সাথে রাহাত শেখের মেয়ে সাবিনার বিয়ে হয়েছে ৷ তার স্বামী দিন আয়ের গাছি পেশায় কাজ করেন ৷ তারও নিজস্ব বসতভিটে নেই ৷ আগে চৌবিলা গ্রামে শশুরবাড়ীতে বসবাস করতেন ৷ এখন উপজেলার ধামাইলকান্দি – সলঙ্গা পাকা সড়কের ধারে জগজীবনপুর আলমের দহ সরকারী জায়গায় সাবিনা দম্পতি বসবাস করছেন ৷ এ দম্পতির ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান বলে জানানো হয় ৷ এর মধ্যে মেয়ে রোজিনার বিয়ে হয়েছে ৷ তার স্বামী রঞ্জু আহমেদ দিন আয়ের নানা পেশায় কাজ করেন ৷ তার নিজস্ব বসতভিটে না থাকায় সে স্ত্রী সন্তান নিয়ে আলমের দহ এলাকায় শশুরবাড়ীতে বসবাস করছেন ৷
উপজেলার জগজীবনপুর আলমের দহ এলাকায় সাবিনা দম্পতির বাড়ীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সড়কের ধারে সরকারী জায়গায় বসতঘর বলতে ভাঙ্গাচোরা টিনের ছাউনিতে ছাপড়া ঘর ও চাটাই পলিথিনের ছাউনির ঘরে সাবিনা দম্পতি এবং তাদের মেয়ে রোজিনা দম্পতি বসবাস করছেন ৷
প্রতিবেদককে সাবিনা জানান তারা প্রায় এক বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন ৷ প্রায় পচাত্তর বছর বয়সী তার মাতা মিষ্ট খাতুন এখন বয়সের ভারে তেমন চলাচল করতে পারেন না ৷ একেবারে পাকা সড়কের ধারে সরকারী জায়গায় কোনোমতে ভাঙ্গাচোরা ঘরে বসবাস করছেন ৷ প্রতিবেদককে সাবিনা আরো বলেন তার পিতার নিজস্ব বসতভিটে না থাকায় বছরের পর বছর বিভিন্নজনের আশ্রয়ে ভিটেবাড়ীতে বসবাস করেছেন ৷ আবার তাকে বিয়ে দেওয়া পরিবারের স্বামীর নিজস্ব বসতভিটে নেই ৷ নিজ মেয়েকেও নিজস্ব বসতভিটে না থাকা একজনের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তাদের বসতভিটে বাড়ী ঘর দরজা না থাকায় এভাবেই কোনোমতে বসবাস করছেন ৷ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বসতঘর পেলে তারা বেশ খুশী হবেন ৷ বেশ সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারবেন ৷
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও ) মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন , সলঙ্গা ইউনিয়নে সরকারী খাস জায়গা পেলে পরিবারটির জন্য সরকারী বরাদ্দের বসতঘর করে দেওয়া যেতে পারে ৷
বার্তা/এন
সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া ( সিরাজগঞ্জ ) 




































