
কিশোরগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় সৈয়দ সাফায়েত ও সৈয়দা মাহবুবা ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এ স্মরণ সভা জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সৈয়দ সাফায়েত ও সৈয়দা মাহবুবা ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান সৈয়দা মাহবুবা ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এড. জিল্লুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ আফজাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণ সভার শুরুতে একাডেমী প্রাঙ্গণে অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অডিটোরিয়াম হল রুমে এ সময় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, দলীয় নেতাকর্মী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির দুই সংগঠন বিটিএ ও বাশিস এর জেলা কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বক্তারা, ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম ও ঘৃণিত হত্যাকান্ড উল্লেখ করে শোককে শক্তিতে পরিণত করার আহ্বান জানান। একইসাথে জাতির জনকের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়াতে প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এমন জঘন্যতম হত্যাকান্ড ভবিষ্যতে যেন সংঘটিত না হয় সেই বিষয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়।
স্মরণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বিশিষ্ট সাহিত্যিক এবং কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ফারুকী, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, বিশিষ্ট চিকিৎসক দ্বীন মোহাম্মদ, হোসেনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোবারিছ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিফাত উদ্দিন আহমেদ বচনের সঞ্চালনায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক নেতা শামীম আহমেদ, যুবলীগ নেতা মো. মীর হোসেন মিরাস, ইঞ্জিঃ ওবায়দুর রহমান রনি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ শাফাত, জুলকার নাঈম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক বিবেকানন্দ রায়, হোসেনপুর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সজল মিয়া সহ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণসভা শেষে বেশ ক’জন শিক্ষকদের মাঝে প্রতীকী বিতরণ হিসেবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও জাতীয় চার নেতাকে নিয়ে লিখা বই বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে সদর-হোসেনপুর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বইগুলো পৌঁছে দেয়ার ঘোষণা দেন সৈয়দ সাফায়েত ও সৈয়দা মাহবুবা ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান সৈয়দা মাহবুবা ইসলাম।
বার্তা/এন
সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় - কিশোরগঞ্জ 







































