বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, তখন গাধাও হাসে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।ফাইল ছবি

ভারতে গিয়ে বিএনপিই দেশের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিল, আর ভারত থেকে যা অর্জন তা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সময়েই হয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, তখন মানুষও হাসে, গাধাও হাসে।

গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে যা বলেছেন, সেটি বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার বেলায় প্রযোজ্য। আপনাদের মনে আছে, খালেদা জিয়া ভারত সফর থেকে আসার পর তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কী কথা হয়েছে? তখন খালেদা জিয়া বলেন, আল্লাহ আমি তো ওটা ভুলেই গিয়েছিলাম। যাদের নেত্রী ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে ভুলে যায়, তারাই সবসময় ভারতকে সব দিয়েছে, কিছু আদায় করতে পারে নাই।

এর আগে সোমবার মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত সফরে প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রী কেবল দিয়ে এসেছেন, কিন্তু নিয়ে আসেননি কিছুই।

ফখরুল বলেন, ‘আমাকে সাংবাদিক ভাইয়েরা চিরকুট পাঠিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে কথা বলতে। আমি গতকাল বলেছি, এই বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। কারণ আমাদের অভিজ্ঞতা খুব তিক্ত, ফ্রাস্ট্রেশনের অভিজ্ঞতা, হতাশার অভিজ্ঞতা।

সাংবাদিকদের ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, রক্তের অক্ষরে লেখা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমাদের দুদেশের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমাদের সরকার ভারত থেকে অনেক কিছু আদায় করেছে। প্রধানমন্ত্রী পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার প্রথমবার তামাক জাতীয়সহ মাত্র ২০টি পণ্য বাদে সব পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা আদায় করেন।

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে’ এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, অগণতান্ত্রিকভাবে বন্দুকের নল থেকে বিএনপির উৎপত্তি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দল প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই দল যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন মানুষ হাসে, গাধাও হাসে।

তথ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যে মৈত্রী চুক্তি করেছিলেন সেটির অধিনেই কিন্তু আমাদের ছিটমহলগুলো আমাদের হস্তান্তর করার কথা ছিল। মাঝখানে বিএনপি কয়েকদফা ক্ষমতায় ছিল, এরশাদ ক্ষমতায় ছিল, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু কেউ এই ছিটমহলগুলোর অধিকার আদায় করতে পারেনি।

তিনি জানান, ছিটমহলে লাখ লাখ মানুষের কোনো দেশের পরিচয় ছিল না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সাথে আলাপ আলোচনা করে চুক্তি হওয়ার বহু দশক পরে সেটি আদায় করেছে, ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এসেছে, আমাদের দেশের আয়তন বেড়েছে। ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে আমরা সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছি। সুতরাং ভারতের কাছ থেকে যা কিছু আদায়, সেটি আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে, শেখ হাসিনাই করেছেন। আর বিএনপি ভারতকে সব দিয়ে এসেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত সফরে যাননি এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশে যান, তখন সবসময় সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সফরসঙ্গী হন না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা অসুস্থ, সে কারণেই তিনি যাননি। প্রশ্ন করতে পারেন…তাহলে তিনি গতকাল অফিসে গেলেন কীভাবে? কিছুটা অসুস্থ থাকলে অফিস করা যায় কিন্তু এরকম হাই লেভেল ভিজিট করা সম্ভব নয়।

জনপ্রিয়

ঝিকরগাছায় অস্ত্র ও ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেপ্তার

বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, তখন গাধাও হাসে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভারতে গিয়ে বিএনপিই দেশের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিল, আর ভারত থেকে যা অর্জন তা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সময়েই হয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, তখন মানুষও হাসে, গাধাও হাসে।

গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে যা বলেছেন, সেটি বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার বেলায় প্রযোজ্য। আপনাদের মনে আছে, খালেদা জিয়া ভারত সফর থেকে আসার পর তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কী কথা হয়েছে? তখন খালেদা জিয়া বলেন, আল্লাহ আমি তো ওটা ভুলেই গিয়েছিলাম। যাদের নেত্রী ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে ভুলে যায়, তারাই সবসময় ভারতকে সব দিয়েছে, কিছু আদায় করতে পারে নাই।

এর আগে সোমবার মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত সফরে প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রী কেবল দিয়ে এসেছেন, কিন্তু নিয়ে আসেননি কিছুই।

ফখরুল বলেন, ‘আমাকে সাংবাদিক ভাইয়েরা চিরকুট পাঠিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে কথা বলতে। আমি গতকাল বলেছি, এই বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। কারণ আমাদের অভিজ্ঞতা খুব তিক্ত, ফ্রাস্ট্রেশনের অভিজ্ঞতা, হতাশার অভিজ্ঞতা।

সাংবাদিকদের ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, রক্তের অক্ষরে লেখা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমাদের দুদেশের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমাদের সরকার ভারত থেকে অনেক কিছু আদায় করেছে। প্রধানমন্ত্রী পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার প্রথমবার তামাক জাতীয়সহ মাত্র ২০টি পণ্য বাদে সব পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা আদায় করেন।

বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে’ এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, অগণতান্ত্রিকভাবে বন্দুকের নল থেকে বিএনপির উৎপত্তি। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দল প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই দল যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন মানুষ হাসে, গাধাও হাসে।

তথ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যে মৈত্রী চুক্তি করেছিলেন সেটির অধিনেই কিন্তু আমাদের ছিটমহলগুলো আমাদের হস্তান্তর করার কথা ছিল। মাঝখানে বিএনপি কয়েকদফা ক্ষমতায় ছিল, এরশাদ ক্ষমতায় ছিল, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু কেউ এই ছিটমহলগুলোর অধিকার আদায় করতে পারেনি।

তিনি জানান, ছিটমহলে লাখ লাখ মানুষের কোনো দেশের পরিচয় ছিল না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সাথে আলাপ আলোচনা করে চুক্তি হওয়ার বহু দশক পরে সেটি আদায় করেছে, ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এসেছে, আমাদের দেশের আয়তন বেড়েছে। ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে আমরা সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছি। সুতরাং ভারতের কাছ থেকে যা কিছু আদায়, সেটি আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে, শেখ হাসিনাই করেছেন। আর বিএনপি ভারতকে সব দিয়ে এসেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত সফরে যাননি এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশে যান, তখন সবসময় সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সফরসঙ্গী হন না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা অসুস্থ, সে কারণেই তিনি যাননি। প্রশ্ন করতে পারেন…তাহলে তিনি গতকাল অফিসে গেলেন কীভাবে? কিছুটা অসুস্থ থাকলে অফিস করা যায় কিন্তু এরকম হাই লেভেল ভিজিট করা সম্ভব নয়।