বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেবীগঞ্জ-ভাউলাগঞ্জ রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম, দেখার কেউ নেই

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড় জেলায় নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ – ভাউলাগঞ্জ রাস্তার কাজও সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এই সড়কে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যাবহার সহ রাস্তার পুরোনো পিচ না তুলে নতুন ঢালাই দেওয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের।সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনটি অংশে তিন জন সাব ঠিকাদার এই রাস্তার কাজ করছে । চলমান কাজের বিভিন্ন সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ, ছবি ও স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী নিম্নমানের মেটেরিয়াল ব্যবহার করে এই রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে । পূর্বের ঢালাই করা পিচের অংশ ভালোভাবে না উঠিয়ে তার উপরে দেওয়া হয়েছে নতুন পিচের ঢালাই । অনেক স্থানে বালি মিশ্রিত ইটের খোয়ার পরিবর্তে পাথর ও মাটির উপরেই বিটুমিন ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন পিচ ঢালাই । বিশেষ করে রাস্তার দুই সাইটে । যার ফলস্বরূপ ইতিমধ্যে নতুন করে সংস্কার করা রাস্তার বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । ক্ষতিগ্রস্ত এসব স্থানে পুনরায় ঢালাই করা অংশ তুলে ফেলে সংস্কার করা হচ্ছে ।এ বিষয়ে জানতে একাধিক বার দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলি শাহরিয়ার ইসলাম শাকিল ও উপজেলা সহকারী প্রকৌশলি আবু বক্কর সিদ্দিক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি । পরবর্তীতে লিখিত আবেদনে রাস্তার কাজের ধরন এর প্রাককলন এর কপি চাওয়া হয় । কিন্তু এতেও কোন লাভ হয়নি । পরবর্তীতে একবার উপজেলা প্রকৌশলির সাথে তার কার্যালয়ে দেখা হলে তিনি বলেন, সকল মেটেরিয়াল এর দাম বেড়েছে । ঠিকাদার কাজ করতে চাচ্ছে না । কিন্তু যেভাবে হোক কাজ করতে হবে । রাস্তা সম্পর্কিত সকল তথ্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা এলজিইডি অফিসে দেওয়া আছে । উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর সাথে দেখা করে তথ্যগুলো নেন ।

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চিসতি বলেন, আমি তো ইঞ্জিনিয়ার নই । আমার কাছে রাস্তার কাজের কোন কাগজ পত্র নাই । এ বিষয়ে এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলি আব্দুর রহিম আকন্দ বলেন, কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে কাজ করা হচ্ছে । পরে চলমান কাজের কিছু ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখানো হলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রকৌশলিকে বলে দিচ্ছি। আপনারা তার কাছে গেলেই তথ্য পেয়ে যাবেন। এলজিইডির সিমিয়র সহকারী প্রকৌশলির সাথে কথা বলার পর মুঠোফোনে আবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেন নি দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী । অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের কাছে উপজেলা প্রকৌশলি ও উপসহকারি প্রকৌশলির অবস্থান জানতে চাইলে তারা সঠিক ভাবে বলার পরিবর্তে বলছেন, তারা মাঠে পরিদর্শন করতে গেছেন । দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও বিষয়টি সন্দেহ জনক মনে হলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা প্রকৌশলির বাড়ি পার্শবর্তী উপজেলা ডোমারে । তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অফিস চলাকালীন সময় বেশিরভাগ নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন। উপজেলা উপসহকারি প্রকৌশলি তিনি ডোমার ও দেবীগঞ্জ দুই উপজেলাতেই অবস্থান করেন ।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তা সংস্কার যেভাবে হয়েছে তাতে রাস্তা ক’দিন টেকসই হবে সেটাই দেখার বিষয় । লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে এই রাস্তায় । আমরা বার বার বলার পরেও তাদের ইচ্ছে মত তার কাজ করেছে । রাস্তার কাজ শেষ হবার আগেই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে ।সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই

জনপ্রিয়

সজীব-আপনের নেতৃত্বে কুবির পূজা উদযাপন পরিষদ 

দেবীগঞ্জ-ভাউলাগঞ্জ রাস্তা সংস্কারে অনিয়ম, দেখার কেউ নেই

প্রকাশের সময় : ০৮:২৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড় জেলায় নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ – ভাউলাগঞ্জ রাস্তার কাজও সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এই সড়কে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যাবহার সহ রাস্তার পুরোনো পিচ না তুলে নতুন ঢালাই দেওয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের।সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনটি অংশে তিন জন সাব ঠিকাদার এই রাস্তার কাজ করছে । চলমান কাজের বিভিন্ন সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ, ছবি ও স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী নিম্নমানের মেটেরিয়াল ব্যবহার করে এই রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে । পূর্বের ঢালাই করা পিচের অংশ ভালোভাবে না উঠিয়ে তার উপরে দেওয়া হয়েছে নতুন পিচের ঢালাই । অনেক স্থানে বালি মিশ্রিত ইটের খোয়ার পরিবর্তে পাথর ও মাটির উপরেই বিটুমিন ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন পিচ ঢালাই । বিশেষ করে রাস্তার দুই সাইটে । যার ফলস্বরূপ ইতিমধ্যে নতুন করে সংস্কার করা রাস্তার বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । ক্ষতিগ্রস্ত এসব স্থানে পুনরায় ঢালাই করা অংশ তুলে ফেলে সংস্কার করা হচ্ছে ।এ বিষয়ে জানতে একাধিক বার দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলি শাহরিয়ার ইসলাম শাকিল ও উপজেলা সহকারী প্রকৌশলি আবু বক্কর সিদ্দিক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি । পরবর্তীতে লিখিত আবেদনে রাস্তার কাজের ধরন এর প্রাককলন এর কপি চাওয়া হয় । কিন্তু এতেও কোন লাভ হয়নি । পরবর্তীতে একবার উপজেলা প্রকৌশলির সাথে তার কার্যালয়ে দেখা হলে তিনি বলেন, সকল মেটেরিয়াল এর দাম বেড়েছে । ঠিকাদার কাজ করতে চাচ্ছে না । কিন্তু যেভাবে হোক কাজ করতে হবে । রাস্তা সম্পর্কিত সকল তথ্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা এলজিইডি অফিসে দেওয়া আছে । উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর সাথে দেখা করে তথ্যগুলো নেন ।

এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চিসতি বলেন, আমি তো ইঞ্জিনিয়ার নই । আমার কাছে রাস্তার কাজের কোন কাগজ পত্র নাই । এ বিষয়ে এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলি আব্দুর রহিম আকন্দ বলেন, কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে কাজ করা হচ্ছে । পরে চলমান কাজের কিছু ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখানো হলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রকৌশলিকে বলে দিচ্ছি। আপনারা তার কাছে গেলেই তথ্য পেয়ে যাবেন। এলজিইডির সিমিয়র সহকারী প্রকৌশলির সাথে কথা বলার পর মুঠোফোনে আবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেন নি দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী । অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের কাছে উপজেলা প্রকৌশলি ও উপসহকারি প্রকৌশলির অবস্থান জানতে চাইলে তারা সঠিক ভাবে বলার পরিবর্তে বলছেন, তারা মাঠে পরিদর্শন করতে গেছেন । দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরেও বিষয়টি সন্দেহ জনক মনে হলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা প্রকৌশলির বাড়ি পার্শবর্তী উপজেলা ডোমারে । তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অফিস চলাকালীন সময় বেশিরভাগ নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন। উপজেলা উপসহকারি প্রকৌশলি তিনি ডোমার ও দেবীগঞ্জ দুই উপজেলাতেই অবস্থান করেন ।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তা সংস্কার যেভাবে হয়েছে তাতে রাস্তা ক’দিন টেকসই হবে সেটাই দেখার বিষয় । লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে এই রাস্তায় । আমরা বার বার বলার পরেও তাদের ইচ্ছে মত তার কাজ করেছে । রাস্তার কাজ শেষ হবার আগেই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে ।সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই