শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় কেন?

ছবি-সংগৃহীত

ঘুমের না হওয়ার কষ্ট তারাই বোঝেন, অনিদ্রা যাদের নিত্যসঙ্গী। ঘুম আমাদের শরীরের পক্ষে খুব দরকারী। ভালো ঘুম না হলে সারা দিন আমাদের ক্লান্তি অনুভূত হয়। ঘুম মানে একরকম প্রশান্তি। ঘুমের মধ্যে দিয়ে মানুষ পরবর্তী দিনের জন্য শক্তি সংগ্রহ করে। ঘুমের কারণে আমরা পরবর্তী দিনের যাবতীয় কাজ করার ক্ষমতা বা শক্তি পেয়ে থাকি। কিন্তু এই সময় এরকম ঘুম অনেকেরই ভাগ্যে জোটে না।

অনেক সময় হঠাত্‍ই মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। এমনটা শুধু এক দিনই নয় দিনের পর দিন হতেই থাকে। আর তার প্রভাব পড়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। ঘুম না হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। অল্প তে রাগ হয়ে যায়। ক্লান্তিভাব থেকে যায়।

ঘুম না হওয়ার কারণগুলি জেনে নিন-

আপনি কোথায় ঘুমাচ্ছেন সেটি কিন্তু অনেকাংশে আপনার ভালো ঘুম হওয়ার কে প্রভাবিত করে। অর্থাত্‍ আপনি যেখানে ঘুমোবেন সেখানকার পরিবেশ যদি ঘুম সহায়ক হয় তবেই আপনার ঘুম ভালো হবে। তাই ঘুমোনোর আগে ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে তবেই ঘুমোতে যান। মাঝ রাতে যদি আপনার ঘুম ভেঙে যাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে তবে ঘরের সব আলো নিভিয়ে দিন ।ঘর অন্ধকার করে ঘুমান। এসি চালালেও তার তাপমাত্রা যেন খুব কম না হয়ে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

ছোট ছোট কারণ নিয়ে চিন্তা করার স্বভাব থাকলে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে ।তাই আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন তখন দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখুন ।প্রয়োজন পড়লে ঘুমের আগে মেডিটেশন করুন। ঘুম ভালো না হলে শরীরে অনেক জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম আমাদের সকলেরই খুব দরকার।

যাদের থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে ঘুমের অভাব দেখা যায় ।তাই এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন এবং থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে ঘুমানোর সময় পায়ের যন্ত্রণা কখনো কখনো খুব তীব্র আকার ধারণ করে যার ফলে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই সমস্যা সমাধানে প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে গোসল করা উচিত।

রাতে ঘুমের সমস্যা হলে ঘুমানোর আগের অভ্যাসগুলোতে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করতে হবে। ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগেই রাতের খাবার সেরে ফেলতে হবে, টেলিভিশন বা মোরাইলের বৈদ্যুতিক পর্দা থেকে দূরে থাকতে হবে। অভ্যাস পরিবর্তনে উপকৃত না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

জনপ্রিয়

চিকিৎসকরা বললেই লন্ডন নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে: ডা. জাহিদ

রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় কেন?

প্রকাশের সময় : ০৩:৪১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

ঘুমের না হওয়ার কষ্ট তারাই বোঝেন, অনিদ্রা যাদের নিত্যসঙ্গী। ঘুম আমাদের শরীরের পক্ষে খুব দরকারী। ভালো ঘুম না হলে সারা দিন আমাদের ক্লান্তি অনুভূত হয়। ঘুম মানে একরকম প্রশান্তি। ঘুমের মধ্যে দিয়ে মানুষ পরবর্তী দিনের জন্য শক্তি সংগ্রহ করে। ঘুমের কারণে আমরা পরবর্তী দিনের যাবতীয় কাজ করার ক্ষমতা বা শক্তি পেয়ে থাকি। কিন্তু এই সময় এরকম ঘুম অনেকেরই ভাগ্যে জোটে না।

অনেক সময় হঠাত্‍ই মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। এমনটা শুধু এক দিনই নয় দিনের পর দিন হতেই থাকে। আর তার প্রভাব পড়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। ঘুম না হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। অল্প তে রাগ হয়ে যায়। ক্লান্তিভাব থেকে যায়।

ঘুম না হওয়ার কারণগুলি জেনে নিন-

আপনি কোথায় ঘুমাচ্ছেন সেটি কিন্তু অনেকাংশে আপনার ভালো ঘুম হওয়ার কে প্রভাবিত করে। অর্থাত্‍ আপনি যেখানে ঘুমোবেন সেখানকার পরিবেশ যদি ঘুম সহায়ক হয় তবেই আপনার ঘুম ভালো হবে। তাই ঘুমোনোর আগে ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে তবেই ঘুমোতে যান। মাঝ রাতে যদি আপনার ঘুম ভেঙে যাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে তবে ঘরের সব আলো নিভিয়ে দিন ।ঘর অন্ধকার করে ঘুমান। এসি চালালেও তার তাপমাত্রা যেন খুব কম না হয়ে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

ছোট ছোট কারণ নিয়ে চিন্তা করার স্বভাব থাকলে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে ।তাই আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন তখন দুশ্চিন্তাকে দূরে রাখুন ।প্রয়োজন পড়লে ঘুমের আগে মেডিটেশন করুন। ঘুম ভালো না হলে শরীরে অনেক জটিল রোগের সৃষ্টি হয়। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম আমাদের সকলেরই খুব দরকার।

যাদের থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে ঘুমের অভাব দেখা যায় ।তাই এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন এবং থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে ঘুমানোর সময় পায়ের যন্ত্রণা কখনো কখনো খুব তীব্র আকার ধারণ করে যার ফলে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই সমস্যা সমাধানে প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে গোসল করা উচিত।

রাতে ঘুমের সমস্যা হলে ঘুমানোর আগের অভ্যাসগুলোতে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করতে হবে। ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগেই রাতের খাবার সেরে ফেলতে হবে, টেলিভিশন বা মোরাইলের বৈদ্যুতিক পর্দা থেকে দূরে থাকতে হবে। অভ্যাস পরিবর্তনে উপকৃত না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।