মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনুপ্রবেশকারীতে সয়লাব কিশোরগঞ্জ আ. লীগের সকল সহযোগী সংগঠন 

টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকায় বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাবাদীদের দাপট বাড়ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জেলার এসব ঘটনা সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নীতি-নির্ধারণী মহল। হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও অনুপ্রবেশ ও পৃষ্ঠপোষকতা জড়িত নেতাদের থামানো যাচ্ছে না। এদের বিতর্কিত কর্মকান্ডে বিব্রতকর অবস্থায় আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড। আসছে নির্বাচন সামনে রেখে সংগঠনটির জেলাসহ উপজেলা পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং ও কোন্দল নিরসন করে গতিশীলতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
দেশের অন্যান্য জেলার মতোই কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলার ইউনিটের একই চিত্র। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী প্রতিটি সংগঠনই বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে। দুর্দিনে যারা ত্যাগীর ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তারা বর্তমান সময়ে এসে অনুপ্রবেশকারী দ্বারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এতে দলের ত্যাগী নেতারা এখন কোণঠাসা। শারীরিক লাঞ্ছিত ও আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে অনেকেই সক্রিয় রাজনীতি থেকেই বিদায় নিয়েছেন। কেউ কেউ দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিজের সম্পৃক্ততা সীমিত করে নিচ্ছেন। সঙ্গত কারণে এ সমস্যা নিয়ে জেলার নীতিনির্ধারকরা চিন্তিত এবং অনেকেই আতঙ্কিত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতে অনুপ্রবেশকারীরা শুধু জেলার ১৩টি উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলেই নয়, দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম ও প্রতিটি সহযোগী সংগঠনেই ঢুকে পড়ছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের পর থেকেই অনুপ্রবেশ নিয়ে দলের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। জেলার বিভিন্ন ইউনিটের কোন্দল ও গ্রুপিং বৃদ্ধি ফলেই কয়েকজন সংসদ সদস্যসহ জেলার শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা অনুপ্রবেশে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। পৃষ্ঠপোষক নেতারা এলাকায় নিজদের গ্রুপের প্রভাব বৃদ্ধি ও আধিপত্য বিস্তারে নোংরা অপকৌশলের পন্থা অবলম্বন করছেন। গ্রুপের পেশিশক্তি বাড়াতে কেউ আবার অনুপ্রবেশে পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণের মতো জঘন্য কাজেও দ্বিধাবোধ করছেন না। উঠতি বয়সী সঙ্ঘবদ্ধ তরুণদের পেশিশক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন টেন্ডার, চাঁদাবাজি এবং দলীয় নানা সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছেন পৃষ্ঠপোষকতাকারী নেতারা।
সংগঠনে অনুপ্রবেশ ও পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ থাকলেও এ নিয়ে প্রকাশ্য কথা বলতে নারাজ জেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক মন্ডলীর এক সদস্য বলেন, দলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকারীদের দাপট ও দৌরাত্ম্যে নিজের সম্মান রক্ষায় চুপচাপ থাকাই শ্রেয়। জেলার রাজনীতিতে একাধিক গ্রুপ বিদ্যমান এবং প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়েও বিস্তৃত এই গ্রুপিং কোন্দল। জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই গ্রুপিং রাজনীতিতে আবদ্ধ হয়ে নিজেদের বিবেকবোধ ও দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। নয়ত চোখের সামনে স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির, বিএনপি’র ছাত্রদল ও যুবদল থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনে ঢুকে যাওয়া অনুপ্রবেশের দৃশ্য দেখেও নীরব দর্শকদের ভূমিকা পালন করেছেন। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি’র নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির নানামুখী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনে থাকা অনুপ্রবেশকারী নামক আবর্জনা মুক্ত না করলে হারিয়ে যাবে দলের দুর্দিনের ত্যাগী কর্মীরা।
এদিকে কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বেড়েই চলেছে অনুপ্রবেশকারী দ্বারা দুর্দিনের কর্মীদের উপর হামলা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা। গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শিল্পকলা একাডেমীতে হলরুমে আয়োজিত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই অনুপ্রবেশকারী দ্বারা দু’দফা হামলার শিকার হয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শামীম আহমদ। হামলাকারী সবাই সংগঠনটির জেলার সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফকে অনুসারী। কিছুদিন পূর্বে ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতিতে হামলাকারীরা সক্রিয় ছিল। তাদের বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমের উপর হামলার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্রই নিন্দার ঝড় উঠে ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর থেকে শনিবার সন্ধ্যায় পর্যন্ত জেলা শহরে দফায় দফায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করে প্রতিবাদ ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।
এ ঘটনায় গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফকে সভাপতি’র দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মুহূর্তেই প্রেস বিজ্ঞপ্তির সংবাদ ভাইরাল হলে দলের দুর্দিনের ত্যাগী কর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে।
কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের অনেকেই দলে অনুপ্রবেশকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের ঢুকে পড়া অনুপ্রবেশকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে বহিষ্কারের দাবি জানান। দলের চেইন অফ কমান্ড রক্ষায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সংগঠনের উপর সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেন প্রবীণ নেতারা।
বার্তা/এন
জনপ্রিয়

১০ দলীয় সমঝোতায় সিরাজগঞ্জের তিন আসনে এনসিপির প্রার্থিতা প্রত্যাহার

অনুপ্রবেশকারীতে সয়লাব কিশোরগঞ্জ আ. লীগের সকল সহযোগী সংগঠন 

প্রকাশের সময় : ০৯:৩২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকায় বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাবাদীদের দাপট বাড়ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জেলার এসব ঘটনা সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নীতি-নির্ধারণী মহল। হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও অনুপ্রবেশ ও পৃষ্ঠপোষকতা জড়িত নেতাদের থামানো যাচ্ছে না। এদের বিতর্কিত কর্মকান্ডে বিব্রতকর অবস্থায় আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড। আসছে নির্বাচন সামনে রেখে সংগঠনটির জেলাসহ উপজেলা পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং ও কোন্দল নিরসন করে গতিশীলতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
দেশের অন্যান্য জেলার মতোই কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলার ইউনিটের একই চিত্র। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী প্রতিটি সংগঠনই বহিরাগত অনুপ্রবেশকারী সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে। দুর্দিনে যারা ত্যাগীর ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তারা বর্তমান সময়ে এসে অনুপ্রবেশকারী দ্বারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এতে দলের ত্যাগী নেতারা এখন কোণঠাসা। শারীরিক লাঞ্ছিত ও আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে অনেকেই সক্রিয় রাজনীতি থেকেই বিদায় নিয়েছেন। কেউ কেউ দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিজের সম্পৃক্ততা সীমিত করে নিচ্ছেন। সঙ্গত কারণে এ সমস্যা নিয়ে জেলার নীতিনির্ধারকরা চিন্তিত এবং অনেকেই আতঙ্কিত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতে অনুপ্রবেশকারীরা শুধু জেলার ১৩টি উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলেই নয়, দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম ও প্রতিটি সহযোগী সংগঠনেই ঢুকে পড়ছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের পর থেকেই অনুপ্রবেশ নিয়ে দলের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। জেলার বিভিন্ন ইউনিটের কোন্দল ও গ্রুপিং বৃদ্ধি ফলেই কয়েকজন সংসদ সদস্যসহ জেলার শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা অনুপ্রবেশে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। পৃষ্ঠপোষক নেতারা এলাকায় নিজদের গ্রুপের প্রভাব বৃদ্ধি ও আধিপত্য বিস্তারে নোংরা অপকৌশলের পন্থা অবলম্বন করছেন। গ্রুপের পেশিশক্তি বাড়াতে কেউ আবার অনুপ্রবেশে পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণের মতো জঘন্য কাজেও দ্বিধাবোধ করছেন না। উঠতি বয়সী সঙ্ঘবদ্ধ তরুণদের পেশিশক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন টেন্ডার, চাঁদাবাজি এবং দলীয় নানা সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছেন পৃষ্ঠপোষকতাকারী নেতারা।
সংগঠনে অনুপ্রবেশ ও পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ থাকলেও এ নিয়ে প্রকাশ্য কথা বলতে নারাজ জেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক মন্ডলীর এক সদস্য বলেন, দলে বহিরাগত অনুপ্রবেশকারীদের দাপট ও দৌরাত্ম্যে নিজের সম্মান রক্ষায় চুপচাপ থাকাই শ্রেয়। জেলার রাজনীতিতে একাধিক গ্রুপ বিদ্যমান এবং প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়েও বিস্তৃত এই গ্রুপিং কোন্দল। জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই গ্রুপিং রাজনীতিতে আবদ্ধ হয়ে নিজেদের বিবেকবোধ ও দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। নয়ত চোখের সামনে স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির, বিএনপি’র ছাত্রদল ও যুবদল থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনে ঢুকে যাওয়া অনুপ্রবেশের দৃশ্য দেখেও নীরব দর্শকদের ভূমিকা পালন করেছেন। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি’র নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির নানামুখী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনে থাকা অনুপ্রবেশকারী নামক আবর্জনা মুক্ত না করলে হারিয়ে যাবে দলের দুর্দিনের ত্যাগী কর্মীরা।
এদিকে কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বেড়েই চলেছে অনুপ্রবেশকারী দ্বারা দুর্দিনের কর্মীদের উপর হামলা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা। গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শিল্পকলা একাডেমীতে হলরুমে আয়োজিত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই অনুপ্রবেশকারী দ্বারা দু’দফা হামলার শিকার হয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শামীম আহমদ। হামলাকারী সবাই সংগঠনটির জেলার সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফকে অনুসারী। কিছুদিন পূর্বে ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতিতে হামলাকারীরা সক্রিয় ছিল। তাদের বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমের উপর হামলার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্রই নিন্দার ঝড় উঠে ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর থেকে শনিবার সন্ধ্যায় পর্যন্ত জেলা শহরে দফায় দফায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করে প্রতিবাদ ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।
এ ঘটনায় গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফকে সভাপতি’র দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মুহূর্তেই প্রেস বিজ্ঞপ্তির সংবাদ ভাইরাল হলে দলের দুর্দিনের ত্যাগী কর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে।
কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের অনেকেই দলে অনুপ্রবেশকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের ঢুকে পড়া অনুপ্রবেশকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে বহিষ্কারের দাবি জানান। দলের চেইন অফ কমান্ড রক্ষায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সংগঠনের উপর সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করেন প্রবীণ নেতারা।
বার্তা/এন