শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফয়জারের ‘পোড়া চা’

গাইবান্ধায় তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফয়জার রহমানের ‘পোড়া চা’। বিশেষ দক্ষতায় মাটির কাপ পুড়িয়ে তাতে দুধ চিনি চা পাতার সংমিশ্রণে তৈরি হয় এই পোড়া চা। দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন ছুটে আসছে শুধু মাত্র এই চায়ের স্বাদ গ্রহণ করতে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বোয়ালির রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামে ফয়জার রহমান (৫৫) এর বাড়ি। গাইবান্ধা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এই গ্রাম। তার নিজ এলাকাতেই তার চায়ের দোকান। সাত জন দক্ষ কর্মী নিয়ে তিনি নিজের দোকান চালান। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত তার দোকানে লোকজনের ভিড় দেখা যায়। নিজস্ব দক্ষতার ফলে ফয়জারের ব্যবসার সফলতা এসেছে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের এক পাশে মাটির চায়ের কাপ পোড়ানো হচ্ছে আরেক পাশে একটি পাত্রের উপর সারিবদ্ধ ভাবে সেই পোড়া কাপ রাখা। অন্যদিকে চুলায় রাখা পাতিলে দুধ চা পাতা চিনি দিয়ে তৈরি হচ্ছে চা। সেই চা আগুনে পোড়া মাটির কাপে ঢেলে ক্রেতাদের দিচ্ছেন। স্থানীয় লোক জন এই চায়ের নাম দেয় ‘পোড়া চা বা মটকা চা’।
ফয়জার বলেন ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ মন দুধ, প্রায় ১ মন চিনি ও আধা মন চা পাতা লাগে এই চা বানাতে। দোকানের বাহিরে বাশেঁর টং য়ে বসে চা পান করতে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের মানুষকে।
প্রতি কাপ পোড়া চা  ১০-২৫ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। ফয়জার প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০০-৮০০ কাপ পোড়া চা বিক্রি করেন।
ফয়জার রহমান এর পোড়া চা পান করতে শহর থেকে আসা স্কুল শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির (১৬) বলেন, ফেসবুকে পোড়া চা এর কথা  শুনে তিনি এই পোড়া চা এর স্বাদ নিতে এসেছেন।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীর এক কলেজ শিক্ষক বলেন, তার অনেক সহকর্মীর কাছে  এই পোড়া চা এর প্রশংশা শুনে তিনি ছুটে এসেছেন এই ভিন্ন স্বাদের চা পান করতে। তিনি নাকি জীবনে প্রথম এই ধরনের পোড়া চা খাচ্ছেন।
চা দোকানি ফয়জার রহমান দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় চায়ের দোকান চালাচ্ছেন। দেড় বছর আগে তিনি তার নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তৈরি করেন বিশেষ পোড়া চা। এখন তিনি এই পোড়া চা বিক্রি করেই মাসে ২০ হাজারের ও বেশি টাকা উপার্জন করছেন।
বার্তা /এন
জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলের শাড়ি পরে বড়দিন উদযাপন করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার

গাইবান্ধায় তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফয়জারের ‘পোড়া চা’

প্রকাশের সময় : ১১:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
গাইবান্ধায় তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফয়জার রহমানের ‘পোড়া চা’। বিশেষ দক্ষতায় মাটির কাপ পুড়িয়ে তাতে দুধ চিনি চা পাতার সংমিশ্রণে তৈরি হয় এই পোড়া চা। দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন ছুটে আসছে শুধু মাত্র এই চায়ের স্বাদ গ্রহণ করতে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বোয়ালির রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামে ফয়জার রহমান (৫৫) এর বাড়ি। গাইবান্ধা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এই গ্রাম। তার নিজ এলাকাতেই তার চায়ের দোকান। সাত জন দক্ষ কর্মী নিয়ে তিনি নিজের দোকান চালান। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত তার দোকানে লোকজনের ভিড় দেখা যায়। নিজস্ব দক্ষতার ফলে ফয়জারের ব্যবসার সফলতা এসেছে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের এক পাশে মাটির চায়ের কাপ পোড়ানো হচ্ছে আরেক পাশে একটি পাত্রের উপর সারিবদ্ধ ভাবে সেই পোড়া কাপ রাখা। অন্যদিকে চুলায় রাখা পাতিলে দুধ চা পাতা চিনি দিয়ে তৈরি হচ্ছে চা। সেই চা আগুনে পোড়া মাটির কাপে ঢেলে ক্রেতাদের দিচ্ছেন। স্থানীয় লোক জন এই চায়ের নাম দেয় ‘পোড়া চা বা মটকা চা’।
ফয়জার বলেন ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ মন দুধ, প্রায় ১ মন চিনি ও আধা মন চা পাতা লাগে এই চা বানাতে। দোকানের বাহিরে বাশেঁর টং য়ে বসে চা পান করতে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের মানুষকে।
প্রতি কাপ পোড়া চা  ১০-২৫ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। ফয়জার প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০০-৮০০ কাপ পোড়া চা বিক্রি করেন।
ফয়জার রহমান এর পোড়া চা পান করতে শহর থেকে আসা স্কুল শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির (১৬) বলেন, ফেসবুকে পোড়া চা এর কথা  শুনে তিনি এই পোড়া চা এর স্বাদ নিতে এসেছেন।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীর এক কলেজ শিক্ষক বলেন, তার অনেক সহকর্মীর কাছে  এই পোড়া চা এর প্রশংশা শুনে তিনি ছুটে এসেছেন এই ভিন্ন স্বাদের চা পান করতে। তিনি নাকি জীবনে প্রথম এই ধরনের পোড়া চা খাচ্ছেন।
চা দোকানি ফয়জার রহমান দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় চায়ের দোকান চালাচ্ছেন। দেড় বছর আগে তিনি তার নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তৈরি করেন বিশেষ পোড়া চা। এখন তিনি এই পোড়া চা বিক্রি করেই মাসে ২০ হাজারের ও বেশি টাকা উপার্জন করছেন।
বার্তা /এন