বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দঃহলদিবুনিয়া শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু

বাগেরহাটে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।বাগেরহাট জেলায় এবার ৬৬৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।মোংলায় ৩৭ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিতএ হবে।এবারের দুর্গাপূজার প্রতিমা নিয়ে বৈদ্দমারী দক্ষিণ হলদিবুনিয়া মন্দিরে ঢাকে পড়েছে কাঠি,ধূপের ধোঁয়ায় মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে পূজামণ্ডপ।শনিবার(০১অক্টোবর) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।আগামী ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমী,ওইদিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ শারদীয় দুর্গোৎসব।শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বোধনের মাধ্যমে মণ্ডপে প্রতিমা থানে উঠেছে।শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পুরো মন্দির চত্বর হিন্দু শাস্ত্রের বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে,এ বছর পৃথিবীর মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা গজে (হাতি) চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যালোকে(পৃথিবী) এসেছেন।দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে কৈলাশে (স্বর্গে)ফিরে যাবেন নৌকায় চড়ে।শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় সায়াংকালে কল্পারম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে আজ উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হয়।এদিন সকাল থেকে চন্ডিপাঠে মুখরিত রয়েছে পূজা মণ্ডপ।
রোববার (২ অক্টোবর) উৎসবের দ্বিতীয় দিন মহাসপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে ভোর সাড়ে ৬টায়। সোমবার(০৩ অক্টোবর) মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা।সন্ধিপূজা শুরু হবে বিকেল পৌনে ৫টায় এবং সমাপন হবে সাড়ে ৫টার মধ্যেই।মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর)ভোর সাড়ে ৬টায় শুরু হবে নবমী পূজা।পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হবে সকাল সাড়ে ১০টায়।পরদিন বুধবার (০৬ অক্টোবর)সকাল সাড়ে ৬টায় মহাদশমী পূজা আরম্ভ হবে। সকাল ৮টায় পুষ্পাঞ্জলি এবং পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের মধ্যে।সন্ধ্যা আরাতির পর প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ শারদীয় উৎসব।চিলা ইউনিয়নের অরুন  মাস্টার বলেন,এত বড় আয়োজন আমরা আগে কখনো দেখিনি,স্থানীয় সবাই এক সঙ্গে মিলে আমরা এ উৎসব পালন করবো।
মন্দির কমিটির আয়োজক অন্জন বিশ্বাস বলেন,যতটুকু পেরেছি চেষ্টা করছি আশা করি দর্শনার্থী ও ভক্তদের ভালো লাগবে।চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন বলেন,শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়,মুসলিমরা আসছেন এ প্রতিমা দেখতে আশা করি আমারা এ উৎসব একসাথে উদযাপন করবো।দুর্গা মন্দিরের সভাপতি মিহির বাবু বলেন,করোনার কারনে দুই বছর দুর্গাপূজায় আমরা ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারিনি।এবার মনের মতো আয়োজন করেছি।আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ।আশা করি অনেক দর্শনার্থীর সমাগম হবে।এদিকে সনাতন ধর্মালম্বীরা যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারেন সেজন্য কাজ করছে পুলিশ,গ্রাম পুলিশ ও আনসার বাহিনী।
জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেছে বাংলাদেশ ন্যাপ

ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে দঃহলদিবুনিয়া শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু

প্রকাশের সময় : ১০:১৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
বাগেরহাটে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।বাগেরহাট জেলায় এবার ৬৬৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।মোংলায় ৩৭ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিতএ হবে।এবারের দুর্গাপূজার প্রতিমা নিয়ে বৈদ্দমারী দক্ষিণ হলদিবুনিয়া মন্দিরে ঢাকে পড়েছে কাঠি,ধূপের ধোঁয়ায় মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে পূজামণ্ডপ।শনিবার(০১অক্টোবর) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।আগামী ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমী,ওইদিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ শারদীয় দুর্গোৎসব।শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বোধনের মাধ্যমে মণ্ডপে প্রতিমা থানে উঠেছে।শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে পুরো মন্দির চত্বর হিন্দু শাস্ত্রের বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে,এ বছর পৃথিবীর মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা গজে (হাতি) চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যালোকে(পৃথিবী) এসেছেন।দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে কৈলাশে (স্বর্গে)ফিরে যাবেন নৌকায় চড়ে।শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় সায়াংকালে কল্পারম্ভ এবং বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে আজ উৎসবের প্রথম দিন ষষ্ঠী পূজা সম্পন্ন হয়।এদিন সকাল থেকে চন্ডিপাঠে মুখরিত রয়েছে পূজা মণ্ডপ।
রোববার (২ অক্টোবর) উৎসবের দ্বিতীয় দিন মহাসপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে ভোর সাড়ে ৬টায়। সোমবার(০৩ অক্টোবর) মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায় এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা।সন্ধিপূজা শুরু হবে বিকেল পৌনে ৫টায় এবং সমাপন হবে সাড়ে ৫টার মধ্যেই।মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর)ভোর সাড়ে ৬টায় শুরু হবে নবমী পূজা।পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হবে সকাল সাড়ে ১০টায়।পরদিন বুধবার (০৬ অক্টোবর)সকাল সাড়ে ৬টায় মহাদশমী পূজা আরম্ভ হবে। সকাল ৮টায় পুষ্পাঞ্জলি এবং পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের মধ্যে।সন্ধ্যা আরাতির পর প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ শারদীয় উৎসব।চিলা ইউনিয়নের অরুন  মাস্টার বলেন,এত বড় আয়োজন আমরা আগে কখনো দেখিনি,স্থানীয় সবাই এক সঙ্গে মিলে আমরা এ উৎসব পালন করবো।
মন্দির কমিটির আয়োজক অন্জন বিশ্বাস বলেন,যতটুকু পেরেছি চেষ্টা করছি আশা করি দর্শনার্থী ও ভক্তদের ভালো লাগবে।চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন বলেন,শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়,মুসলিমরা আসছেন এ প্রতিমা দেখতে আশা করি আমারা এ উৎসব একসাথে উদযাপন করবো।দুর্গা মন্দিরের সভাপতি মিহির বাবু বলেন,করোনার কারনে দুই বছর দুর্গাপূজায় আমরা ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারিনি।এবার মনের মতো আয়োজন করেছি।আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ।আশা করি অনেক দর্শনার্থীর সমাগম হবে।এদিকে সনাতন ধর্মালম্বীরা যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করতে পারেন সেজন্য কাজ করছে পুলিশ,গ্রাম পুলিশ ও আনসার বাহিনী।