বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনি ব্যবস্থা ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল খুশিমতো চলে না: কাদের

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন–নির্বাচনি ব্যবস্থা ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল খুশিমতো চলে না। তিনি বলেন, অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায় বলেই বিএনপি নেতারা নির্বাচন ও সংবিধান নিয়ে তাদের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক এবং বেআইনি বক্তব্য দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।

শনিবার (৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বক্তব্যের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেন কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ বছর রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে অসাংবিধানিক ও অনির্বাচিত স্বৈরতান্ত্রিক সরকার এবং তাদের লেগ্যাসি বিএনপি ও জাতীয় পার্টি কর্তৃক। এ কারণে ৫০ বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনি ব্যবস্থা টেকসইভাবে বিকশিত হয়নি বরং বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের পর একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এবং তার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুবিহীন স্বাধীন দেশে টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এবং সংবিধানের আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পন্থা নির্ধারণে স্থায়ী সমাধান করেছেন।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে এবং আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা করি। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বদা নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানায়। আমরা চাই, দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

কাদের বলেন, পাশাপাশি জনগণের রায় গ্রহণ করার মানসিকতা গড়ে উঠুক। ভোটের রায় পক্ষে না গেলে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। বিএনপি তো হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না; আর কখনো কখনো করলেও তারা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার দূরভিসন্ধিমূলক অভিপ্রায়ে অংশগ্রহণ করে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্য যদি এই হয় তাহলে তো কোনো দিন গণতন্ত্র টেকসই হবে না। নির্বাচনি ব্যবস্থার একটি স্থায়ী কাঠামো তৈরি হবে না। নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে বরাবরের মতো তারা কোনো না কোনো প্রশ্ন তুলবে।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সংবিধান এবং নির্বাচনি ব্যবস্থা ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল খুশিমতো চলে না। বাংলাদেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এরশাদ নিজেদের স্বার্থে অবৈধভাবে দখলকৃত ক্ষমতাকে সাংবিধানিক বৈধতা দেয়ার জন্য বার বার সংবিধান সংশোধন করেছিল। সংবিধানের সেই সমস্ত সংশোধনী দেশের উচ্চ আদালত অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। এখন সেই জায়গায় যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের বক্তব্য যারা প্রদান করছে তারা বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক এবং অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায়। এই অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায় বলেই বিএনপি নেতৃবৃন্দ নির্বাচন ও সংবিধান নিয়ে তাদের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক এবং বেআইনি বক্তব্য প্রদান অব্যাহত রেখেছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

জনপ্রিয়

ডেইলি স্টার ভবনে হামলার ঘটনায় আকাশ গ্রেপ্তার

নির্বাচনি ব্যবস্থা ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল খুশিমতো চলে না: কাদের

প্রকাশের সময় : ০৭:২২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০২২

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন–নির্বাচনি ব্যবস্থা ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল খুশিমতো চলে না। তিনি বলেন, অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায় বলেই বিএনপি নেতারা নির্বাচন ও সংবিধান নিয়ে তাদের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক এবং বেআইনি বক্তব্য দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।

শনিবার (৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বক্তব্যের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেন কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ বছর রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে অসাংবিধানিক ও অনির্বাচিত স্বৈরতান্ত্রিক সরকার এবং তাদের লেগ্যাসি বিএনপি ও জাতীয় পার্টি কর্তৃক। এ কারণে ৫০ বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনি ব্যবস্থা টেকসইভাবে বিকশিত হয়নি বরং বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের পর একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এবং তার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুবিহীন স্বাধীন দেশে টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এবং সংবিধানের আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পন্থা নির্ধারণে স্থায়ী সমাধান করেছেন।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে এবং আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাশা করি। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বদা নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানায়। আমরা চাই, দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

কাদের বলেন, পাশাপাশি জনগণের রায় গ্রহণ করার মানসিকতা গড়ে উঠুক। ভোটের রায় পক্ষে না গেলে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। বিএনপি তো হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না; আর কখনো কখনো করলেও তারা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার দূরভিসন্ধিমূলক অভিপ্রায়ে অংশগ্রহণ করে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্য যদি এই হয় তাহলে তো কোনো দিন গণতন্ত্র টেকসই হবে না। নির্বাচনি ব্যবস্থার একটি স্থায়ী কাঠামো তৈরি হবে না। নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে বরাবরের মতো তারা কোনো না কোনো প্রশ্ন তুলবে।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সংবিধান এবং নির্বাচনি ব্যবস্থা ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল খুশিমতো চলে না। বাংলাদেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এরশাদ নিজেদের স্বার্থে অবৈধভাবে দখলকৃত ক্ষমতাকে সাংবিধানিক বৈধতা দেয়ার জন্য বার বার সংবিধান সংশোধন করেছিল। সংবিধানের সেই সমস্ত সংশোধনী দেশের উচ্চ আদালত অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। এখন সেই জায়গায় যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের বক্তব্য যারা প্রদান করছে তারা বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক এবং অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায়। এই অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায় বলেই বিএনপি নেতৃবৃন্দ নির্বাচন ও সংবিধান নিয়ে তাদের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক এবং বেআইনি বক্তব্য প্রদান অব্যাহত রেখেছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।