বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ. লীগকে প্রতিটি মানুষ হত্যার হিসেব দিতে হবে: হুম্মাম কাদের 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, দেশের মানুষ হতে দেবে না। আর এই কমিশনের অধীনে কীসের নির্বাচন, যে নির্বাচন কমিশনকে ডিসি-এসপিরাও মানে না।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম-খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, দুর্নীতির প্রতিবাদ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সরকার-পতনের আন্দোলনের যে স্ফুলিঙ্গ তৈরি হয়েছে তা আজ থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আজকের এই গণসমাবেশ থেকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার। চট্টগ্রামের মানুষ ভয় পায় না। আপনারা এগিয়ে যান। কোনোকিছুই আপনাদেরকে থামাতে পারবে না।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম, শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি নেতা ইসরাক হোসেন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও মীর হেলাল।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকের পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির গণসমাবেশে চট্টগ্রামের মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে চট্টগ্রামের মাটি, খালেদা জিয়ায় ঘাঁটি। আজকের সমাবেশ থেকে সারাদেশে একটিই বার্তা পৌঁছাবে সেটি হচ্ছে শেখ হাসিনা পদত্যাগ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মাটি থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা জেলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। আমরা জীবন দেব, শেখ হাসিনার পতন ঘটাব। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
সমবেশে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর একবার বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। আজকে আবার তারা অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। অথচ এদেশ যখন গণতন্ত্র হুমকিতে পড়ে, বিপর্যয়ে পড়ে তখনই বিএনপি এগিয়ে আসে। দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে। তাদের দুর্নীতির কারণে আজকে লোডশেডিং হচ্ছে, জাতীয় বিপর্যয় হচ্ছে। আর তাই বিএনপির নেতৃত্বে এ সরকারকে হঠাতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। শেখ হাসিনার পতন চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হবে।
গণ সমাবেশে ‘নারায়ে তকবির’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রতিটি মানুষকে হত্যার হিসেব দিতে হবে। এসময় আওয়ামী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যখন ক্ষমতা ছেড়ে যাবেন, একা বাড়িতে যেতে পারবেন না। আমরা বাধ্য করবো, প্রতিটা শহীদ পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে যেতে হবে।’
হুম্মাম কাদের চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমি বেশি সময় নিতে চাই না, যাওয়ার আগে আমার বাবার সেই স্লোগান আপনাদের সামনে আরেকবার ধরে যেতে চাই। ‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর, নারায়ে তকবির, নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর। ইনশাআল্লাহ সামনের বার যখন আবার এই ময়দানে আসবো তখন সরকার গঠন করেই আসবো।’
বার্তাকণ্ঠ/এন
জনপ্রিয়

ডেইলি স্টার ভবনে হামলার ঘটনায় আকাশ গ্রেপ্তার

আ. লীগকে প্রতিটি মানুষ হত্যার হিসেব দিতে হবে: হুম্মাম কাদের 

প্রকাশের সময় : ১০:১৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, দেশের মানুষ হতে দেবে না। আর এই কমিশনের অধীনে কীসের নির্বাচন, যে নির্বাচন কমিশনকে ডিসি-এসপিরাও মানে না।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম-খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, দুর্নীতির প্রতিবাদ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সরকার-পতনের আন্দোলনের যে স্ফুলিঙ্গ তৈরি হয়েছে তা আজ থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আজকের এই গণসমাবেশ থেকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার। চট্টগ্রামের মানুষ ভয় পায় না। আপনারা এগিয়ে যান। কোনোকিছুই আপনাদেরকে থামাতে পারবে না।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম, শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি নেতা ইসরাক হোসেন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও মীর হেলাল।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকের পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির গণসমাবেশে চট্টগ্রামের মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে চট্টগ্রামের মাটি, খালেদা জিয়ায় ঘাঁটি। আজকের সমাবেশ থেকে সারাদেশে একটিই বার্তা পৌঁছাবে সেটি হচ্ছে শেখ হাসিনা পদত্যাগ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মাটি থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা জেলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। আমরা জীবন দেব, শেখ হাসিনার পতন ঘটাব। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
সমবেশে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর একবার বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। আজকে আবার তারা অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। অথচ এদেশ যখন গণতন্ত্র হুমকিতে পড়ে, বিপর্যয়ে পড়ে তখনই বিএনপি এগিয়ে আসে। দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে। তাদের দুর্নীতির কারণে আজকে লোডশেডিং হচ্ছে, জাতীয় বিপর্যয় হচ্ছে। আর তাই বিএনপির নেতৃত্বে এ সরকারকে হঠাতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। শেখ হাসিনার পতন চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হবে।
গণ সমাবেশে ‘নারায়ে তকবির’ স্লোগান দিয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রতিটি মানুষকে হত্যার হিসেব দিতে হবে। এসময় আওয়ামী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যখন ক্ষমতা ছেড়ে যাবেন, একা বাড়িতে যেতে পারবেন না। আমরা বাধ্য করবো, প্রতিটা শহীদ পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে যেতে হবে।’
হুম্মাম কাদের চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমি বেশি সময় নিতে চাই না, যাওয়ার আগে আমার বাবার সেই স্লোগান আপনাদের সামনে আরেকবার ধরে যেতে চাই। ‘নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর, নারায়ে তকবির, নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবর। ইনশাআল্লাহ সামনের বার যখন আবার এই ময়দানে আসবো তখন সরকার গঠন করেই আসবো।’
বার্তাকণ্ঠ/এন