
বাংলাদেশ বিপুল ভোটে আবারও জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় বিএনপি এবং দেশবিরোধীদের বিভিন্ন অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোটে পঞ্চমবারের মতো ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদে ১৮৯ ভোটের ১৬০টি পেয়ে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ। ৪৭ সদস্যের এই কাউন্সিলে বাংলাদেশ এর আগে ২০০৬, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬০ ভোট পেয়ে পুনরায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। আপনারা জানেন, বিএনপি, কিছু কিছু ব্যক্তিবিশেষ এবং চিহ্নিত কয়েকটি সংগঠন ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অপপ্রচার করছে। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভুল তথ্য-উপাত্ত পাঠিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছিল এবং সেই প্রেক্ষাপটের মধ্যেই বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তারা যে অপপ্রচার চালিয়ে এসেছে, যেভাবে বিদেশিদের বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে, সেগুলো অসার এবং কাজে আসেনি। বরং প্রমাণ হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সঠিক পথেই আছে।
‘বেগম খালেদা জিয়াও কম যাননি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, খুলনার মনজুর ইমামকে হত্যা, হুমায়ুন কবির বালু থেকে শুরু করে বহু সাংবাদিক হত্যার সঙ্গে খালেদা জিয়ার সরকার যুক্ত ছিল এবং তারা সেগুলোর কোনো সঠিক বিচার করেনি,’ বলেন হাছান মাহমুদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক 







































