
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য অনির্বান মন্ডল বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বৈত নাগরিক। এই ইউপি সদস্য চিতলমারী উপজেলার বেন্নাবাড়ি গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ মন্ডলের ছেলে। তাঁর বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিরুদ্ধে চিতলমারী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা অনন্ত ভক্তর ছেলে জিৎ ভক্ত বাদী হয়ে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার এবং জেলা নির্বাচন কমিশন সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রবিবার দুপুরে অভিযোগকারী জিৎ ভক্ত সাংবাদিকদের জানান, ‘বাগেরহাটের চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য অনির্বান মন্ডল বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বৈত নাগরিক। তিনি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেন্নাবাড়ি গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ মন্ডলের ছেলে। বাংলাদেশে তাঁর জাতীয় পরিচপত্র নং-৯১২৮৭৪৭৯৯৬ এবং ভোটার নং-০১০৩০৭০৬৬৫৫৭। অনির্বান মন্ডল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার দমদম উত্তরের বাসিন্দা (১১০)। তাঁর ভারতের পরিচয়পত্র নম্বর/ঊচওঈ ঘঙ-ঢঠগ২১৭৬৬৪২, পার্ট নম্বর-৩৪, অংশের নাম-তপতী বালিকা বিদ্যাবীথির কক্ষ নং-২, ভোটার ক্রমিক নম্বর-৮৮৬, ভোট দানের স্থান আগাপুর উত্তর। এই দ্বৈত নাগরিক অনির্বান মন্ডল আগামী ১৭ অক্টোবরের বাগেরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী টিটো সরদারের প্রস্তাবকারী। একজন দ্বৈত নাগরিক কি ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও একজন জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থীর প্রস্তাবকারী হলেন এটা আমাদের বোধগোম্য নয়। এবিষয়ে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক), বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার এবং জেলা নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
অনির্বান মন্ডল বলেন, ‘আমার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে ভারতে বসবাস করে। ছেলে ও মেয়ে ওখানে পড়াশুনা করে। আমি কি ভাবে ভারতে ভোটার হলাম এটা বুঝতে পারছিনা।’
এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রাজিবুল হাসান বলেন,অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পেরেছি অনির্বান মন্ডল ভারত ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। পরবর্তী ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।’
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন,এ ধরনের কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। অভিযোগ পেলে আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করব।’
জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রিটানিং অফিসার সেক মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন এ ধরণের একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ভারত ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক হওয়ার সুযোগ নেই। জনপ্রতিনিধি হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। বিষয়টি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
বার্তাকণ্ঠ/এন
বাগেরহাট প্রতিনিধি 







































