শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরণখোলায় পাওনাদারের চাপে এলাকাছাড়া সরোয়ার

বাগেরহাটের শরণখোলায় আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে বাড়ির জমি বিক্রি ও ধার দেনা করে কাতারে গিয়েছিলেন সরোয়ার হাওলাদার। কাজনা পেয়ে বিদেশের মাটিতে ৩ মাস জেল খেটে ফিরেছেন। পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সে এখন এলাকাছাড়া।

শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের আঃজব্বার হাওলাদারের ছেলে মোঃ সরোয়ার হাওলাদার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগে বলেন, কাতারে ভালোকাজের প্রলোভন দেখিয়ে শরণখোলার ধানসাগর ইউনিয়নের ছোটনলবুনিয়া গ্রামের কাশেম আলী মাঝির ছেলে আদম ব্যবসায়ী টিপু মাঝি ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তাকে (সরোয়ার) কাতারে নিয়ে যায়। কাতারে যাওয়ার পরে টিপু মাঝি সরোয়ারের কাছ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। টিপু মাঝির কোন খোঁজনা পেয়ে সরোয়ার প্রবাসী কয়েকজন লোকের আশ্রয়ে থেকে রান্নাবান্নার কাজ করতে থাকে। এভাবে ১৫ মাস লুকিয়ে থাকার পরে টিপু মাঝির সন্ধান পেয়ে সরোয়ার তার কাছে গিয়ে টাকা ও পাসপোর্ট ফেরত চায় এনিয়ে টিপুর সাথে সরোয়ারের ঝগড়াঝাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে টিপু সরোয়ারকে  কাতারের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয় বলে সরোয়ার অভিযোগে বলেন। ৩ মাস কাতারে জেল খেটে গত ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে সে দেশে ফিরে আসে।

দেশে ফিরে সরোয়ার টিপু মাঝির কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে নানা বিধ হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়ভাবে শালিশ দরবার হলেও টিপু মাঝি শালিশির কোন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি বলে সরোয়ার জানান। বিদেশ যাওয়ার সময় ধার দেনা করা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পাওনাদারদেরম চাপে সরোয়ারন হাওলাদার এখন এলাকা ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

টিপু মাঝির কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, সরোয়ারকে কাতারে নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল।

এব্যাপারে ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলামটি পুবলেন, টিপু মাঝি দীর্ঘদিন কাতারে থাকেন। এলাকা থেকে কাতারে লোকজন নিয়ে যায় এবং তাদের সাথে টিপু মাঝির মাঝে মাঝে ঝামেলা হয় বলে শুনেছি।

বার্তাকণ্ঠ/এন

জনপ্রিয়

রাণীশংকৈলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর, থানায় মামলা 

শরণখোলায় পাওনাদারের চাপে এলাকাছাড়া সরোয়ার

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

বাগেরহাটের শরণখোলায় আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে বাড়ির জমি বিক্রি ও ধার দেনা করে কাতারে গিয়েছিলেন সরোয়ার হাওলাদার। কাজনা পেয়ে বিদেশের মাটিতে ৩ মাস জেল খেটে ফিরেছেন। পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সে এখন এলাকাছাড়া।

শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের আঃজব্বার হাওলাদারের ছেলে মোঃ সরোয়ার হাওলাদার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগে বলেন, কাতারে ভালোকাজের প্রলোভন দেখিয়ে শরণখোলার ধানসাগর ইউনিয়নের ছোটনলবুনিয়া গ্রামের কাশেম আলী মাঝির ছেলে আদম ব্যবসায়ী টিপু মাঝি ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তাকে (সরোয়ার) কাতারে নিয়ে যায়। কাতারে যাওয়ার পরে টিপু মাঝি সরোয়ারের কাছ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। টিপু মাঝির কোন খোঁজনা পেয়ে সরোয়ার প্রবাসী কয়েকজন লোকের আশ্রয়ে থেকে রান্নাবান্নার কাজ করতে থাকে। এভাবে ১৫ মাস লুকিয়ে থাকার পরে টিপু মাঝির সন্ধান পেয়ে সরোয়ার তার কাছে গিয়ে টাকা ও পাসপোর্ট ফেরত চায় এনিয়ে টিপুর সাথে সরোয়ারের ঝগড়াঝাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে টিপু সরোয়ারকে  কাতারের পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয় বলে সরোয়ার অভিযোগে বলেন। ৩ মাস কাতারে জেল খেটে গত ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে সে দেশে ফিরে আসে।

দেশে ফিরে সরোয়ার টিপু মাঝির কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে নানা বিধ হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়ভাবে শালিশ দরবার হলেও টিপু মাঝি শালিশির কোন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি বলে সরোয়ার জানান। বিদেশ যাওয়ার সময় ধার দেনা করা টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পাওনাদারদেরম চাপে সরোয়ারন হাওলাদার এখন এলাকা ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

টিপু মাঝির কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, সরোয়ারকে কাতারে নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছিল।

এব্যাপারে ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলামটি পুবলেন, টিপু মাঝি দীর্ঘদিন কাতারে থাকেন। এলাকা থেকে কাতারে লোকজন নিয়ে যায় এবং তাদের সাথে টিপু মাঝির মাঝে মাঝে ঝামেলা হয় বলে শুনেছি।

বার্তাকণ্ঠ/এন